Ajker Patrika

মানিকগঞ্জ-১: আ.লীগের ছাড় পেয়েও অস্বস্তিতে জাপা প্রার্থী

মো. আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ) 
Thumbnail image

মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়) আসন জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া এক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে রয়েছেন শক্তিশালী অবস্থানে। কেননা দলীয় প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অনেকেই রয়েছেন তাঁর সঙ্গে। ফলে সমঝোতায় পাওয়া এই আসনে জাপার প্রার্থী রয়েছেন বেশ অস্বস্তিতে।

এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। ১৭ ডিসেম্বর দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. জহিরুল আলম রুবেলকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ।

জাপার প্রার্থীর বাড়ি জেলা সদরে। তাই মানিকগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে বেশ বেগ পেতে হবে স্বীকার করে জাপার জহিরুল আলম বলেন, ‘এই আসনটি আমার জন্য নতুন হওয়ায় নির্বাচিত হওয়া কিছুটা কঠিন হবে। তবে আমি বিজয়ী হব। কারণ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। মাঠে দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণ আছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ ঈগল প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ভোটারদের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।  

সালাউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই। দলের অনেক নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে আছেন। ভোটারদের সমর্থন ও ভালোবাসা পাচ্ছি। আমি শেখ হাসিনার প্রার্থী। আমি সাধারণ জনগণের প্রার্থী। সারাজীবন নেত্রীর আদেশ পালন করেছি। তাঁর আদেশেই প্রার্থী হয়েছি।’

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েও ছেড়ে দেওয়া আবদুস সালাম বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। যেহেতু দলের সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে জাপাকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছেন, তাই দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাপা প্রার্থীর জন্য কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে।

ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান আলাই এবং দৌলতপুর উপজেলা সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস বলেন, জোটের (জাপা) প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দলের নির্দেশনার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

এই আসনে আরও প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মোনায়েম খান (নোঙর প্রতীক) ও গণফ্রন্টের শাহজাহান খান (মাছ প্রতীক)।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত