Ajker Patrika

বাগাড়-রানি মাছ শিকার ও বিক্রি বন্ধের উদ্যোগ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
বাগাড়-রানি মাছ শিকার ও বিক্রি বন্ধের উদ্যোগ

মিঠাপানির মহাবিপন্ন বাগাড় ও রানি মাছ শিকার এবং বিক্রি বন্ধে সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। এ দুটি প্রজাতির মাছ শিকার ও বিক্রি বন্ধে ইতিমধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজ শুরু করেছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

এরই ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজার বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে গতকাল সোমবার থেকে জনসচেতনতামূলক প্রচার শুরু হয়েছে।

গতকাল সকাল থেকে জেলা শহরের পশ্চিমবাজার, টিসি মার্কেট, চাঁদনীঘাটসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম চলে। পর্যায়ক্রমে জেলার সব কটি বাজারে প্রচার ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া সিলেট বিভাগের সব কটি জেলার প্রতিটি হাট-বাজারে এই সচেতনতা কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তাঁরা।

জেলার হাকালুকি, কাউয়াদীঘি ও হাইল হাওর থেকে জেলেদের হাতে বাগাড় মাছ ও রানি মাছ ধরা পড়লে তা শহরের বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি হয় বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক বিক্রেতা। এই মাছগুলো ক্রয়-বিক্রির ব্যাপারে আইনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তাঁদের জানা নেই বলেও জানান তাঁরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) জেলা সমন্বয়ক আ স ম সালেহ সোহেল বলেন, মৌলভীবাজারের বিভিন্ন হাট-বাজারে অনেক সময় বাগাড় মাছ বিক্রি হয়, পাশাপাশি ডালায় সাজিয়ে রানি মাছও বিক্রি হয়। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মহাবিপন্ন ও বিক্রয়নিষিদ্ধ এই মাছ ঢালাওভাবে শিকার ও বিক্রি বন্ধ না করলে অচিরেই মাছগুলো একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, এই দুটি মাছ বিক্রি নিষিদ্ধ, তাই বন অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তর মাছ শিকার ও ক্রয়-বিক্রি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।

মৌলভীবাজার বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সরোয়ার বলেন, মিঠাপানির মহাবিপন্ন বাগাড় ও রানি মাছ শিকার ও ক্রয়-বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর ২ নম্বর তফসিলভুক্ত সংরক্ষিত বন্য প্রাণী। এই আইন অনুযায়ী এ দুটি মাছ শিকার, ক্রয়-বিক্রি, পরিবহন কিংবা দখলে রাখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

বন অধিদপ্তরের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বাগাড় বিক্রি বন্ধে কিছুদিন আগে মৌলভীবাজারে একটি অভিযান চালাতে গিয়ে আমরা বুঝেছি যে, অভিযান পরিচালনার আগে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো গুরুত্বপূর্ণ। মাছ দুটি সংরক্ষণের বিষয়ে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করেছি। আমরা জেলা শহরের হাট-বাজারে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে বর খুন, নিখোঁজ নববধূকে উদ্ধারে নেমেছে ড্রোন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচার ও কিছু প্রশ্ন

‘তাণ্ডব’ সিনেমার শো চলার সময় ছায়াবাণী হলে দর্শকদের ভাঙচুর, টাকা লুট

‘৫ মিনিট রুলস’ যেভাবে ইলন মাস্কের জীবনে সাফল্য আনল

যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের বাজার দখলের চেষ্টা ভারতে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত