মো. আব্দুল মোত্তালেব
২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন তুলে ধরা হলো:
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. কোয়ান্টাম তত্ত্ব কী?
উত্তর: যে তত্ত্বে আলো বা যেকোনো বিকিরণ অসংখ্য কোয়ান্টাম সমষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়, তাই কোয়ান্টাম তত্ত্ব।
২. অরবিটাল কী?
উত্তর: নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে অঞ্চলে ইলেকট্রন প্রাপ্তির সম্ভাবনা সর্বাধিক, সেই অঞ্চলকে অরবিটাল বলে।
৩. পলির বর্জননীতি কী?
উত্তর: একই পরমাণুতে যেকোনো দুটি ইলেকট্রনের জন্য চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনো এক হতে পারে না।
৪. বাফার দ্রবণ কী?
উত্তর: যে দ্রবণের সামান্য পরিমাণ অ্যাসিড বা ক্ষার যোগ করার পরেও ওই দ্রবণের pH-এর মান অপরিবর্তিত থাকে, তাকে বাফার দ্রবণ বলে।
৫. হুন্ডের নীতি কী?
উত্তর: একই শক্তিসম্পন্ন বিভিন্ন অরবিটালে ইলেকট্রনগুলো এমনভাবে অবস্থান করবে যেন তারা সর্বাধিক সংখ্যায় অযুগ্ম বা বিজোড় অবস্থায় থাকতে পারে; এসব অযুগ্ম ইলেকট্রনের স্পিন একমুখী হবে।
৬. পোলারন ক্ষমতা কী?
উত্তর: ক্যাটায়ন দ্বারা অ্যানায়নের ইলেকট্রন মেঘের বিকৃত হওয়ার ক্ষমতাকে পোলারন ক্ষমতা বলে।
৭. তড়িৎ ঋণাত্মকতা কী?
উত্তর: কোনো সমযোজী যৌগের অণুতে উপস্থিত দুটি ভিন্ন মৌলের পরমাণুর মধ্যে শেয়ারকৃত বন্ধন ইলেকট্রন যুগলকে একটি মৌলের পরমাণু কর্তৃক নিজের দিকে আকর্ষণ করার তুলনামূলক ক্ষমতাকে সেই মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে।
৮. সংকরায়ন কী?
উত্তর: কোনো পরমাণুর যোজ্যতা স্তরের বিভিন্ন অরবিটাল পরস্পরের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে সমশক্তির অরবিটাল সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে অরবিটালগুলোর সংকরায়ন বলে।
৯. ক্ষার ধাতু কী?
উত্তর: গ্রুপ-১-এর ধাতব মৌলগুলো অত্যন্ত সক্রিয় হওয়ায় পানির সঙ্গে বিক্রিয়া করে তীব্র ক্ষার উৎপন্ন করে। এ জন্য এদের ক্ষার ধাতু বলা হয়।
১০. আউফবাউ নীতি কী?
উত্তর: পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসের সময় ইলেকট্রনগুলো বিভিন্ন অরবিটালে তাদের শক্তির নিম্নস্তর থেকে উচ্চক্রম অনুসারে প্রবেশ করে ইলেকট্রন দ্বারা অরবিটাল পূর্ণ হওয়ার নিয়মকে আউফবাউ নীতি বলে।
১১. পর্যায়বৃত্ত ধর্ম কী?
উত্তর: মৌলগুলোর ইলেকট্রন বিন্যাসভিত্তিক পরিবর্তনশীল ধর্ম পর্যায়বৃত্ত ধর্ম।
১২. পর্যায় সূত্র কী?
উত্তর: বিভিন্ন মৌলের ভৌত রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।
১৩. আয়নিক বন্ধন কাকে বলে?
উত্তর: ধাতব ও অধাতব মৌলের রাসায়নিক বিক্রিয়া ধাতুর পরমাণুর বহিস্তরে থেকে অধাতু পরমাণুর বহিস্তরে এক বা একাধিক ইলেকট্রন স্থানান্তরের মাধ্যমে সৃষ্ট ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নের স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ দ্বারা যে বন্ধন গঠিত হয়, তাকে আয়নিক বন্ধন বা তড়িৎযোজী বন্ধন বলে।
১৪. দ্রাব্যতা কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 100 গ্রাম দ্রাবকে যে পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত হয়ে সম্পৃক্ত দ্রবণ তৈরি করে, সেই পরিমাণ দ্রব্যকে ওই দ্রব্যের
দ্রাব্যতা বলে।
১৫. সন্নিবেশ বন্ধন কী?
উত্তর: দুটি পরমাণুর মধ্যে বন্ধন সৃষ্টির সময় যখন একটি পরমাণু একজোড়া ইলেকট্রন দান করে কিন্তু উভয় পরমাণু বা আয়ন সেই একজোড়া ইলেকট্রন সমভাবে শেয়ার করে বন্ধন সৃষ্টি করে, তাকে সন্নিবেশ বন্ধন বলে।
১৬. পোলারিটি কী?
উত্তর: সমযোজী যৌগের অণুতে ডাইপোল সৃষ্টির ধর্মকে সেই যৌগের পোলারিটি বলে।
১৭. অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে?
উত্তর: পর্যায় তালিকায় d-ব্লক মৌলগুলো যাদের সুস্থিত আয়নের d অরবিটাল ইলেকট্রন দ্বারা আংশিকভাবে
পূর্ণ থাকে, তাদের অবস্থান্তর মৌল বলে।
১৮. লাশাতেলীয় নীতিটি লেখ।
উত্তর: যেসব নিয়ামকের ওপর কোনো অভিমুখী
বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা নির্ভরশীল, তাদের যেকোনো এক বা একাধিক নিয়ামকের পরিবর্তন ঘটে, সাম্যবস্থার অবস্থান ডানে বা বামে এমনভাবে স্থানান্তরিত হয়, যাতে নিয়ামক পরিবর্তনের ফলাফল প্রশমিত হয়।
১৯. ভর ক্রিয়ার সূত্রটি লেখো।
উত্তর: কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার বেগ বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি বিক্রিয়কের সক্রিয় ভরের সমানুপাতিক।
২০. হেসের সূত্রটি লেখো।
উত্তর: যদি কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রাম্ভিক ও শেষ অবস্থা স্থির বা একই থাকে, তবে সেই বিক্রিয়া এক বা একাধিক ধাপে সংগঠিত হোক না কেন প্রতি ক্ষেত্রেই এনথালপি বিক্রিয়া তাপ থাকবে।
মো. আব্দুল মোত্তালেব, সহকারী অধ্যাপক,বিএএফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা ঢাকা।
২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন তুলে ধরা হলো:
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. কোয়ান্টাম তত্ত্ব কী?
উত্তর: যে তত্ত্বে আলো বা যেকোনো বিকিরণ অসংখ্য কোয়ান্টাম সমষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়, তাই কোয়ান্টাম তত্ত্ব।
২. অরবিটাল কী?
উত্তর: নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে অঞ্চলে ইলেকট্রন প্রাপ্তির সম্ভাবনা সর্বাধিক, সেই অঞ্চলকে অরবিটাল বলে।
৩. পলির বর্জননীতি কী?
উত্তর: একই পরমাণুতে যেকোনো দুটি ইলেকট্রনের জন্য চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনো এক হতে পারে না।
৪. বাফার দ্রবণ কী?
উত্তর: যে দ্রবণের সামান্য পরিমাণ অ্যাসিড বা ক্ষার যোগ করার পরেও ওই দ্রবণের pH-এর মান অপরিবর্তিত থাকে, তাকে বাফার দ্রবণ বলে।
৫. হুন্ডের নীতি কী?
উত্তর: একই শক্তিসম্পন্ন বিভিন্ন অরবিটালে ইলেকট্রনগুলো এমনভাবে অবস্থান করবে যেন তারা সর্বাধিক সংখ্যায় অযুগ্ম বা বিজোড় অবস্থায় থাকতে পারে; এসব অযুগ্ম ইলেকট্রনের স্পিন একমুখী হবে।
৬. পোলারন ক্ষমতা কী?
উত্তর: ক্যাটায়ন দ্বারা অ্যানায়নের ইলেকট্রন মেঘের বিকৃত হওয়ার ক্ষমতাকে পোলারন ক্ষমতা বলে।
৭. তড়িৎ ঋণাত্মকতা কী?
উত্তর: কোনো সমযোজী যৌগের অণুতে উপস্থিত দুটি ভিন্ন মৌলের পরমাণুর মধ্যে শেয়ারকৃত বন্ধন ইলেকট্রন যুগলকে একটি মৌলের পরমাণু কর্তৃক নিজের দিকে আকর্ষণ করার তুলনামূলক ক্ষমতাকে সেই মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে।
৮. সংকরায়ন কী?
উত্তর: কোনো পরমাণুর যোজ্যতা স্তরের বিভিন্ন অরবিটাল পরস্পরের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে সমশক্তির অরবিটাল সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে অরবিটালগুলোর সংকরায়ন বলে।
৯. ক্ষার ধাতু কী?
উত্তর: গ্রুপ-১-এর ধাতব মৌলগুলো অত্যন্ত সক্রিয় হওয়ায় পানির সঙ্গে বিক্রিয়া করে তীব্র ক্ষার উৎপন্ন করে। এ জন্য এদের ক্ষার ধাতু বলা হয়।
১০. আউফবাউ নীতি কী?
উত্তর: পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাসের সময় ইলেকট্রনগুলো বিভিন্ন অরবিটালে তাদের শক্তির নিম্নস্তর থেকে উচ্চক্রম অনুসারে প্রবেশ করে ইলেকট্রন দ্বারা অরবিটাল পূর্ণ হওয়ার নিয়মকে আউফবাউ নীতি বলে।
১১. পর্যায়বৃত্ত ধর্ম কী?
উত্তর: মৌলগুলোর ইলেকট্রন বিন্যাসভিত্তিক পরিবর্তনশীল ধর্ম পর্যায়বৃত্ত ধর্ম।
১২. পর্যায় সূত্র কী?
উত্তর: বিভিন্ন মৌলের ভৌত রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।
১৩. আয়নিক বন্ধন কাকে বলে?
উত্তর: ধাতব ও অধাতব মৌলের রাসায়নিক বিক্রিয়া ধাতুর পরমাণুর বহিস্তরে থেকে অধাতু পরমাণুর বহিস্তরে এক বা একাধিক ইলেকট্রন স্থানান্তরের মাধ্যমে সৃষ্ট ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নের স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ দ্বারা যে বন্ধন গঠিত হয়, তাকে আয়নিক বন্ধন বা তড়িৎযোজী বন্ধন বলে।
১৪. দ্রাব্যতা কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 100 গ্রাম দ্রাবকে যে পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত হয়ে সম্পৃক্ত দ্রবণ তৈরি করে, সেই পরিমাণ দ্রব্যকে ওই দ্রব্যের
দ্রাব্যতা বলে।
১৫. সন্নিবেশ বন্ধন কী?
উত্তর: দুটি পরমাণুর মধ্যে বন্ধন সৃষ্টির সময় যখন একটি পরমাণু একজোড়া ইলেকট্রন দান করে কিন্তু উভয় পরমাণু বা আয়ন সেই একজোড়া ইলেকট্রন সমভাবে শেয়ার করে বন্ধন সৃষ্টি করে, তাকে সন্নিবেশ বন্ধন বলে।
১৬. পোলারিটি কী?
উত্তর: সমযোজী যৌগের অণুতে ডাইপোল সৃষ্টির ধর্মকে সেই যৌগের পোলারিটি বলে।
১৭. অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে?
উত্তর: পর্যায় তালিকায় d-ব্লক মৌলগুলো যাদের সুস্থিত আয়নের d অরবিটাল ইলেকট্রন দ্বারা আংশিকভাবে
পূর্ণ থাকে, তাদের অবস্থান্তর মৌল বলে।
১৮. লাশাতেলীয় নীতিটি লেখ।
উত্তর: যেসব নিয়ামকের ওপর কোনো অভিমুখী
বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা নির্ভরশীল, তাদের যেকোনো এক বা একাধিক নিয়ামকের পরিবর্তন ঘটে, সাম্যবস্থার অবস্থান ডানে বা বামে এমনভাবে স্থানান্তরিত হয়, যাতে নিয়ামক পরিবর্তনের ফলাফল প্রশমিত হয়।
১৯. ভর ক্রিয়ার সূত্রটি লেখো।
উত্তর: কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার বেগ বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি বিক্রিয়কের সক্রিয় ভরের সমানুপাতিক।
২০. হেসের সূত্রটি লেখো।
উত্তর: যদি কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রাম্ভিক ও শেষ অবস্থা স্থির বা একই থাকে, তবে সেই বিক্রিয়া এক বা একাধিক ধাপে সংগঠিত হোক না কেন প্রতি ক্ষেত্রেই এনথালপি বিক্রিয়া তাপ থাকবে।
মো. আব্দুল মোত্তালেব, সহকারী অধ্যাপক,বিএএফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা ঢাকা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪