গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া প্রতিনিধি
রংপুরে বিশেষ করে গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলায় বিদায়ী বছরে নদীতীরের জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছিল তিস্তার ভাঙন আর আকস্মিক ঢল। এতে কয়েক শ পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি ও মাছের খামার।
গঙ্গাচড়ায় দফায় দফায় বন্যার পাশাপাশি ২০ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় তিস্তার আকস্মিক ঢলে তলিয়ে যায় তীরবর্তী এলাকা। এসব দুর্যোগ কেড়ে নিয়েছে কয়েক শ পরিবারের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি। অনেক পরিবার আশ্রয় হারিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছে।
সম্প্রতি লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলি, কেল্লারপার ও বাগেরহাট এবং কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর বিনবিনা, চর চিলাখাল ও মটুকপুর ঘুরে দেখা গেছে, পরিবারগুলো এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তাঁদের করুন অবস্থা বিরাজ করছে।
পশ্চিম ইচলি গ্রামের সাইদুল হক বলেন, ‘এক দিনের ভয়াবহ বন্যায় তিস্তা নদীর ঢেউয়ে আমরা তিনটি ঘর চোখের সামনে ভেসে যায়। কিছুই বাঁচাতে পারি নাই। দুই মাস হয়ে যাচ্ছে, কোনো সরকারি লোক খোঁজখবর নেয় নাই। এখন আমি আমার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে তার থাকার ঘরে ভাগাভাগি করে পরিবার নিয়ে আছি।’
একেই গ্রামের ফজলু মিয়া বলেন, ‘আমার থাকার ঘর ছিল দুটি, একটিও বাঁচাতে পারি নাই। এখন ইচলি গ্রামে আমার মামা মোকলেছুর রহমান একটি ঘর দিছে, সে ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনোরকমে আছি।’
উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই আকস্মিক ঢলের ফলে সৃষ্ট এক দিনের বন্যায় ২ হাজার ৯২১টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যায় ৩০২টি পরিবারের।
তিস্তার চর ছালাপাক গ্রামের কৃষক সহিদার রহমান জানান, তিনি ১ লাখ টাকা খরচ করে আড়াই হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ লাগিয়েছিলেন। বন্যায় এর সব ভেসে যায়।
আলমবিদিতরের লাবলু মিয়া বলেন, ‘চলতি বছর মাছ চাষে সব মিলিয়ে আমার খরচ হয় ৭ লাখ টাকা। বিক্রির আগ মুহূর্তে বন্যায় সব মাছ ভেসে গেছে।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বন্যায় ২১৫ হেক্টর জমির রোপা আমন, সবজি, মরিচ, চীনা বাদামখেতের ক্ষতি হয়। আর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় ৪৮৩টি পুকুরের মাছ ভেসে যায়।
কাউনিয়ায় বিদায়ী বছরে তিস্তায় বসতভিটা হারিয়েছে অন্তত দেড় শ পরিবার। এ ছাড়া বেশ কয়েকবারের বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
তিস্তা নদীভাঙন রোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে তিস্তার করাল গ্রাসে শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরেই প্রায় দেড় শ পরিবার ভাঙনে বসতভিটা আর আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এসব পরিবারের মানুষগুলো কেউ কেউ সরকারি বাঁধ ও রাস্তার ধারে আবার অনেকে অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আহসান হাবিব সরকার জানান, তিস্তা তীরবর্তী তালুকশাহাবজ, নিজপাড়া, পাঞ্চরভাঙ্গা, ঢুষমারা, আরাজী হরিশ্বর, চরহয়বৎখাঁ ও চরগনাই গ্রামের ১৪০টি পরিবারর ভিটা নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। এসব পরিবার ফসলি জমিও হারিয়েছে। এসব পরিবারকে সরকারিভাবে ঘর নির্মাণের জন্য ঢেউটিনসহ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারজানা রহমান জানান, বিদায়ী বছর বন্যায় বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ১৫ হেক্টর জমির ৬০টি মৎস্য খামার ও পুকুরের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ লাখ টাকা।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, হারাগাছ, শহীদবাগ, বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়নে তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রামে তিস্তার ভাঙনে প্রায় ১১ হেক্টর আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া গত অক্টোবরসহ বেশ কয়েকবার বন্যায় ৩৩০ হেক্টর আমন ধানসহ বিভিন্ন সবজিখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮৪ লাখ টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ধান, পাট, গম, বাদামসহ বিভিন্ন সবজির বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
রংপুরে বিশেষ করে গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলায় বিদায়ী বছরে নদীতীরের জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছিল তিস্তার ভাঙন আর আকস্মিক ঢল। এতে কয়েক শ পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি ও মাছের খামার।
গঙ্গাচড়ায় দফায় দফায় বন্যার পাশাপাশি ২০ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় তিস্তার আকস্মিক ঢলে তলিয়ে যায় তীরবর্তী এলাকা। এসব দুর্যোগ কেড়ে নিয়েছে কয়েক শ পরিবারের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি। অনেক পরিবার আশ্রয় হারিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছে।
সম্প্রতি লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের পশ্চিম ইচলি, কেল্লারপার ও বাগেরহাট এবং কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর বিনবিনা, চর চিলাখাল ও মটুকপুর ঘুরে দেখা গেছে, পরিবারগুলো এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তাঁদের করুন অবস্থা বিরাজ করছে।
পশ্চিম ইচলি গ্রামের সাইদুল হক বলেন, ‘এক দিনের ভয়াবহ বন্যায় তিস্তা নদীর ঢেউয়ে আমরা তিনটি ঘর চোখের সামনে ভেসে যায়। কিছুই বাঁচাতে পারি নাই। দুই মাস হয়ে যাচ্ছে, কোনো সরকারি লোক খোঁজখবর নেয় নাই। এখন আমি আমার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে তার থাকার ঘরে ভাগাভাগি করে পরিবার নিয়ে আছি।’
একেই গ্রামের ফজলু মিয়া বলেন, ‘আমার থাকার ঘর ছিল দুটি, একটিও বাঁচাতে পারি নাই। এখন ইচলি গ্রামে আমার মামা মোকলেছুর রহমান একটি ঘর দিছে, সে ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনোরকমে আছি।’
উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই আকস্মিক ঢলের ফলে সৃষ্ট এক দিনের বন্যায় ২ হাজার ৯২১টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যায় ৩০২টি পরিবারের।
তিস্তার চর ছালাপাক গ্রামের কৃষক সহিদার রহমান জানান, তিনি ১ লাখ টাকা খরচ করে আড়াই হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ লাগিয়েছিলেন। বন্যায় এর সব ভেসে যায়।
আলমবিদিতরের লাবলু মিয়া বলেন, ‘চলতি বছর মাছ চাষে সব মিলিয়ে আমার খরচ হয় ৭ লাখ টাকা। বিক্রির আগ মুহূর্তে বন্যায় সব মাছ ভেসে গেছে।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বন্যায় ২১৫ হেক্টর জমির রোপা আমন, সবজি, মরিচ, চীনা বাদামখেতের ক্ষতি হয়। আর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় ৪৮৩টি পুকুরের মাছ ভেসে যায়।
কাউনিয়ায় বিদায়ী বছরে তিস্তায় বসতভিটা হারিয়েছে অন্তত দেড় শ পরিবার। এ ছাড়া বেশ কয়েকবারের বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
তিস্তা নদীভাঙন রোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে তিস্তার করাল গ্রাসে শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরেই প্রায় দেড় শ পরিবার ভাঙনে বসতভিটা আর আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এসব পরিবারের মানুষগুলো কেউ কেউ সরকারি বাঁধ ও রাস্তার ধারে আবার অনেকে অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আহসান হাবিব সরকার জানান, তিস্তা তীরবর্তী তালুকশাহাবজ, নিজপাড়া, পাঞ্চরভাঙ্গা, ঢুষমারা, আরাজী হরিশ্বর, চরহয়বৎখাঁ ও চরগনাই গ্রামের ১৪০টি পরিবারর ভিটা নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। এসব পরিবার ফসলি জমিও হারিয়েছে। এসব পরিবারকে সরকারিভাবে ঘর নির্মাণের জন্য ঢেউটিনসহ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারজানা রহমান জানান, বিদায়ী বছর বন্যায় বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ১৫ হেক্টর জমির ৬০টি মৎস্য খামার ও পুকুরের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ লাখ টাকা।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, হারাগাছ, শহীদবাগ, বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়নে তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রামে তিস্তার ভাঙনে প্রায় ১১ হেক্টর আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া গত অক্টোবরসহ বেশ কয়েকবার বন্যায় ৩৩০ হেক্টর আমন ধানসহ বিভিন্ন সবজিখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮৪ লাখ টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ধান, পাট, গম, বাদামসহ বিভিন্ন সবজির বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪