কামাল হোসেন, কয়রা
খুলনার কয়রা উপজেলার কয়রা-বেদকাশী উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটির অবস্থা বেহাল। এখানে নেই কোনো চিকিৎসক বা নার্স। রোগী দেখেন ফার্মাসিস্ট। এতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কয়রা ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের বাসিন্দারা। উপায় না থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভরসা করতে হচ্ছে ফার্মাসিস্টের ওপর। ফলে রোগ সারাতে এসে বিপাকে পড়তে হয় অনেক রোগীকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা শহর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১৫ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় এ অঞ্চলের হাজারো মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। উপকূলীয় অসহায়, বঞ্চিত রোগীদের কথা চিন্তা করে ১৯৮২ সালে সরকার কয়রা ইউনিয়নের শেষ সীমানায় এ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করে। শুধু কয়রা-বেদকাশি নয়, এখানে শ্যামনগর উপজেলার মানুষও চিকিৎসা নিতে আসেন।
বর্তমানে মেডিকেল অফিসার পদটি দুই বছর ও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদটি ৬ বছর যাবৎ শূন্য। একজন নার্স থাকলেও চিকিৎসক না থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছেন তিনি। ফার্মাসিস্ট দিয়ে চলছে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।
উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি আধা পাকা ভবন রয়েছে। টিনের ছাউনিতে মরিচা ধরা এবং কয়েক জায়গা ফাঁকা। আকাশ দেখা যাচ্ছে। ওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। মেঝেতে ফাটল ধরেছে। বাথরুমও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। জরাজীর্ণ বাথরুমের দরজা, প্যান, হাউস ভেঙে গেছে, যা ব্যবহার করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
সবকিছু দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই এটা একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। এরপরও জরাজীর্ণ একটি কক্ষে বসে রোগী দেখছেন এক ব্যক্তি। পাশের বেঞ্চে বসে আছেন কয়েকজন রোগী। ভেতরে ঢুকে জানা গেল তিনি চিকিৎসক নন, ফার্মাসিস্ট। তাঁর নাম শশাঙ্ক কুমার রায়।
শশাঙ্ক রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখানে প্রজ্ঞা লাবণী নামে একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা ছিলেন। কিন্তু তিনি এখানে আসতেন না। দুই বছর আগে বদলি হয়েছেন তিনি। এরপর আর কোনো চিকিৎসক আসেননি। কোনো চিকিৎসক না থাকায় আমি রোগী দেখি। তাও ভালোভাবে বসার ব্যবস্থা নেই। এখানে ৩৭ প্রকার ওষুধ আছে। সেগুলো রোগীরা পান। আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দিই।
চিকিৎসা নিতে আসা উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কাঠমারচর গ্রামের আবুল হোসেন (৫৫) বলেন, `অর্থের অভাবে ভালো চিকিৎসা নিতে পারি না। আমার কোনো অসুখ হলে চিকিৎসা ও ওষুধ নেওয়ার জন্য এই হাসপাতালে আসি। কিন্তু এখানেও ভালো ডাক্তার নেই। বাধ্য হয়ে এখানে যে থাকেন তাঁকে দেখিয়ে ওষুধ নিতে হয়। কখনো ভালো হয়, আবার কখনো বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।’
কয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম বলেন, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি মরহুম আব্দুল ওহাব শেখের জমির ওপর স্থাপিত হয়। তখন যেভাবে কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়েছে সেই অবস্থায় আজও আছে। আজও নতুন কোনো ভবন হয়নি। বর্তমানে যে টিনের ভবন আছে তা ব্যবহারের একেবারে অনুপযোগী। কয়রা, উত্তর বেদকাশী ও দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন তথা পার্শ্ববর্তী উপজেলার পাতাখালি ইউনিয়নের মানুষের চিকিৎসার জন্য যথাযথ চিকিৎসক ও দ্বিতলবিশিষ্ট একটি ভবন হওয়া একান্ত দরকার।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুরুল হুদা খান বলেন, এ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র সাধারণত দ্বিতল ভবন হয়ে থাকে কিন্তু এখানে কোনো ভবনই নেই। মেডিকেল অফিসার পদটিও দীর্ঘদিন ধরে খালি। মেডিকেল অফিসার এবং নতুন ভবন চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
খুলনার কয়রা উপজেলার কয়রা-বেদকাশী উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটির অবস্থা বেহাল। এখানে নেই কোনো চিকিৎসক বা নার্স। রোগী দেখেন ফার্মাসিস্ট। এতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কয়রা ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের বাসিন্দারা। উপায় না থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভরসা করতে হচ্ছে ফার্মাসিস্টের ওপর। ফলে রোগ সারাতে এসে বিপাকে পড়তে হয় অনেক রোগীকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা শহর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১৫ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় এ অঞ্চলের হাজারো মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। উপকূলীয় অসহায়, বঞ্চিত রোগীদের কথা চিন্তা করে ১৯৮২ সালে সরকার কয়রা ইউনিয়নের শেষ সীমানায় এ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করে। শুধু কয়রা-বেদকাশি নয়, এখানে শ্যামনগর উপজেলার মানুষও চিকিৎসা নিতে আসেন।
বর্তমানে মেডিকেল অফিসার পদটি দুই বছর ও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদটি ৬ বছর যাবৎ শূন্য। একজন নার্স থাকলেও চিকিৎসক না থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছেন তিনি। ফার্মাসিস্ট দিয়ে চলছে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।
উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি আধা পাকা ভবন রয়েছে। টিনের ছাউনিতে মরিচা ধরা এবং কয়েক জায়গা ফাঁকা। আকাশ দেখা যাচ্ছে। ওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। মেঝেতে ফাটল ধরেছে। বাথরুমও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। জরাজীর্ণ বাথরুমের দরজা, প্যান, হাউস ভেঙে গেছে, যা ব্যবহার করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
সবকিছু দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই এটা একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। এরপরও জরাজীর্ণ একটি কক্ষে বসে রোগী দেখছেন এক ব্যক্তি। পাশের বেঞ্চে বসে আছেন কয়েকজন রোগী। ভেতরে ঢুকে জানা গেল তিনি চিকিৎসক নন, ফার্মাসিস্ট। তাঁর নাম শশাঙ্ক কুমার রায়।
শশাঙ্ক রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখানে প্রজ্ঞা লাবণী নামে একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা ছিলেন। কিন্তু তিনি এখানে আসতেন না। দুই বছর আগে বদলি হয়েছেন তিনি। এরপর আর কোনো চিকিৎসক আসেননি। কোনো চিকিৎসক না থাকায় আমি রোগী দেখি। তাও ভালোভাবে বসার ব্যবস্থা নেই। এখানে ৩৭ প্রকার ওষুধ আছে। সেগুলো রোগীরা পান। আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দিই।
চিকিৎসা নিতে আসা উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কাঠমারচর গ্রামের আবুল হোসেন (৫৫) বলেন, `অর্থের অভাবে ভালো চিকিৎসা নিতে পারি না। আমার কোনো অসুখ হলে চিকিৎসা ও ওষুধ নেওয়ার জন্য এই হাসপাতালে আসি। কিন্তু এখানেও ভালো ডাক্তার নেই। বাধ্য হয়ে এখানে যে থাকেন তাঁকে দেখিয়ে ওষুধ নিতে হয়। কখনো ভালো হয়, আবার কখনো বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।’
কয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম বলেন, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি মরহুম আব্দুল ওহাব শেখের জমির ওপর স্থাপিত হয়। তখন যেভাবে কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়েছে সেই অবস্থায় আজও আছে। আজও নতুন কোনো ভবন হয়নি। বর্তমানে যে টিনের ভবন আছে তা ব্যবহারের একেবারে অনুপযোগী। কয়রা, উত্তর বেদকাশী ও দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন তথা পার্শ্ববর্তী উপজেলার পাতাখালি ইউনিয়নের মানুষের চিকিৎসার জন্য যথাযথ চিকিৎসক ও দ্বিতলবিশিষ্ট একটি ভবন হওয়া একান্ত দরকার।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুরুল হুদা খান বলেন, এ উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র সাধারণত দ্বিতল ভবন হয়ে থাকে কিন্তু এখানে কোনো ভবনই নেই। মেডিকেল অফিসার পদটিও দীর্ঘদিন ধরে খালি। মেডিকেল অফিসার এবং নতুন ভবন চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪