জকিগঞ্জ প্রতিনিধি
জকিগঞ্জের খলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভবনের জায়গা সংক্রান্ত জটিলতার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন। তাই ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের ফলাফলে এ সমস্যাটি প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অনেকে।
জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমী আক্তার ইউনিয়নের শত শত নাগরিকের উপস্থিতিতে গণশুনানি করলেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। গত ১ সেপ্টেম্বর গণশুনানি শেষে উভয় পক্ষের সমঝোতা না হলে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়ে দেন।
খলাছড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে পৌর এলাকার নরসিংহপুর গ্রামে একটি টিনশেডের আধপাকা ঘরে চলে আসছে ওই ইউপির কার্যক্রম। এতে ভোগান্তির শেষ নাই ইউনিয়নবাসীর।
প্রতি পাঁচ বছর পর নির্বাচন হয়। কখনো চেয়ারম্যান বদল হয়, আবার কখনো পুরোনো চেয়ারম্যান থেকে যান। কিন্তু কিছুতেই ভাগ্য বদল হয় না এ ইউনিয়নের মানুষের। ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমদ ঈদগাহ বাজার এলাকায় ৩৮ শতক জায়গা ইউনিয়নের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন।
এ জায়গায় নতুন ইউপি কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে শুরু হয় দুই পক্ষের বিরোধ। এক পক্ষ বলছেন,৬টি ওয়ার্ডের মাঝামাঝি স্থানে ইউপির সবচেয়ে বড় ঈদগাহ বাজার। জকিগঞ্জ-শেওলা সড়কের পাশে বাজারটি হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত। এ ছাড়া বাজারে বিজিবি ক্যাম্প, পোস্ট অফিস ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ স্কুল ও মাদ্রাসা রয়েছে। ফলে ঈদগাহ বাজারকে ইউপি ভবনের জন্য উপযোগী মনে করেন এ পক্ষ।
অপর পক্ষ ঈদগাহ বাজার বীরশ্রী ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষা দাবি করে বলেন, ঈদগাহ বাজার ইউনিয়নের এক প্রান্তে। তাই ইউপিতে যেতে গরিব, অসহায় ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হবেন। এ ছাড়া ঈদগাহ বাজার বলে ইউপিকে যে জায়গা দেওয়া হয়েছে তা ঈদগাহ বাজারে নয়। এটি ঈদগাহ বাজারের অদূরে ধানখেতে। এ কারণে ঈদগাহ বাজারের চেয়ে অনেকটা মধ্যবর্তী স্থান ভূঁইয়ার বাজারে নতুন ভবন হলে জনসাধারণের সুবিধা হবে।
তাঁদের মতে, ঈদগাহ বাজারে যেসব সুবিধা রয়েছে কম বেশি ভূঁইয়ার বাজারে সেসব সুবিধা রয়েছে। মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, ক্লিনিক ও রাইস মিলসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ভূঁইয়ার বাজারে। তাই ভূঁইয়ার বাজারে ভবন হলে সব ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। তাঁদের দাবি অনুযায়ী ভূঁইয়ার বাজারে নতুন ভবন করলে যে কোনো সময় তাঁরা জায়গা দিতে প্রস্তুত।
বর্তমান চেয়ারম্যান কবির আহমদ বলেন, ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি পরিষদের বৈঠকে রেজুলেশনের মাধ্যমে দান করা ভূমিতে ইউপি কমপ্লেক্স নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বছর ১৪ জানুয়ারি উপজেলা প্রকৌশলী ও ১২ মার্চ উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে সরেজমিন তদন্ত করে মতামতসহ প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন ইউএনও।
তদন্ত শেষে তাঁরা দুজনেই ঈদগাহ বাজারের পাঁশে ইউপি কমপ্লেক্স করতে অনাপত্তি জানালে তৎকালীন ইউএনও বিজন কুমার সিংহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠান। বিষয়টি জানতে পেরে অপরপক্ষ আপত্তি করার পাশাপাশি সিলেটের জেলা প্রশাসক ও ইউএনও বরাবার লিখিত অভিযোগ করেন।
ইউএনও সুমী আক্তার বলেন, ইউপির নতুন ভবনের স্থান নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় গণশুনানি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও পরিপত্র অনুযায়ী নির্বাচনের পরে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জকিগঞ্জের খলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভবনের জায়গা সংক্রান্ত জটিলতার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন। তাই ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের ফলাফলে এ সমস্যাটি প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অনেকে।
জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমী আক্তার ইউনিয়নের শত শত নাগরিকের উপস্থিতিতে গণশুনানি করলেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। গত ১ সেপ্টেম্বর গণশুনানি শেষে উভয় পক্ষের সমঝোতা না হলে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়ে দেন।
খলাছড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে পৌর এলাকার নরসিংহপুর গ্রামে একটি টিনশেডের আধপাকা ঘরে চলে আসছে ওই ইউপির কার্যক্রম। এতে ভোগান্তির শেষ নাই ইউনিয়নবাসীর।
প্রতি পাঁচ বছর পর নির্বাচন হয়। কখনো চেয়ারম্যান বদল হয়, আবার কখনো পুরোনো চেয়ারম্যান থেকে যান। কিন্তু কিছুতেই ভাগ্য বদল হয় না এ ইউনিয়নের মানুষের। ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমদ ঈদগাহ বাজার এলাকায় ৩৮ শতক জায়গা ইউনিয়নের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন।
এ জায়গায় নতুন ইউপি কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে শুরু হয় দুই পক্ষের বিরোধ। এক পক্ষ বলছেন,৬টি ওয়ার্ডের মাঝামাঝি স্থানে ইউপির সবচেয়ে বড় ঈদগাহ বাজার। জকিগঞ্জ-শেওলা সড়কের পাশে বাজারটি হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত। এ ছাড়া বাজারে বিজিবি ক্যাম্প, পোস্ট অফিস ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ স্কুল ও মাদ্রাসা রয়েছে। ফলে ঈদগাহ বাজারকে ইউপি ভবনের জন্য উপযোগী মনে করেন এ পক্ষ।
অপর পক্ষ ঈদগাহ বাজার বীরশ্রী ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষা দাবি করে বলেন, ঈদগাহ বাজার ইউনিয়নের এক প্রান্তে। তাই ইউপিতে যেতে গরিব, অসহায় ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হবেন। এ ছাড়া ঈদগাহ বাজার বলে ইউপিকে যে জায়গা দেওয়া হয়েছে তা ঈদগাহ বাজারে নয়। এটি ঈদগাহ বাজারের অদূরে ধানখেতে। এ কারণে ঈদগাহ বাজারের চেয়ে অনেকটা মধ্যবর্তী স্থান ভূঁইয়ার বাজারে নতুন ভবন হলে জনসাধারণের সুবিধা হবে।
তাঁদের মতে, ঈদগাহ বাজারে যেসব সুবিধা রয়েছে কম বেশি ভূঁইয়ার বাজারে সেসব সুবিধা রয়েছে। মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, ক্লিনিক ও রাইস মিলসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ভূঁইয়ার বাজারে। তাই ভূঁইয়ার বাজারে ভবন হলে সব ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। তাঁদের দাবি অনুযায়ী ভূঁইয়ার বাজারে নতুন ভবন করলে যে কোনো সময় তাঁরা জায়গা দিতে প্রস্তুত।
বর্তমান চেয়ারম্যান কবির আহমদ বলেন, ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি পরিষদের বৈঠকে রেজুলেশনের মাধ্যমে দান করা ভূমিতে ইউপি কমপ্লেক্স নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বছর ১৪ জানুয়ারি উপজেলা প্রকৌশলী ও ১২ মার্চ উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে সরেজমিন তদন্ত করে মতামতসহ প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন ইউএনও।
তদন্ত শেষে তাঁরা দুজনেই ঈদগাহ বাজারের পাঁশে ইউপি কমপ্লেক্স করতে অনাপত্তি জানালে তৎকালীন ইউএনও বিজন কুমার সিংহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠান। বিষয়টি জানতে পেরে অপরপক্ষ আপত্তি করার পাশাপাশি সিলেটের জেলা প্রশাসক ও ইউএনও বরাবার লিখিত অভিযোগ করেন।
ইউএনও সুমী আক্তার বলেন, ইউপির নতুন ভবনের স্থান নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় গণশুনানি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও পরিপত্র অনুযায়ী নির্বাচনের পরে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২০ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪