পপেল চন্দ্র সাহা
২০২১ সালের প্রিয় পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা থেকে ‘সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার কৌশল’ নিয়ে আলোচনা করব।
সৃজনশীল প্রশ্ন কাঠামো
বোর্ড পরীক্ষায় ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থেকে ৭টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। সৃজনশীল প্রশ্নের শুরুতে একটি নতুন পরিস্থিতিযুক্ত উদ্দীপক এবং উদ্দীপকসংশ্লিষ্ট চারটি প্রশ্ন (ক, খ, গ ও ঘ) থাকে। সৃজনশীল প্রশ্নের চারটি স্তর নিম্নরূপ:
জ্ঞান স্তরের প্রশ্ন: সৃজনশীল প্রশ্নের প্রথম অংশ (ক) হলো জ্ঞান স্তরের, যা নিতান্তই স্মৃতিনির্ভর; অর্থাৎ এর অর্থ হলো আগের কোনো জানা বিষয় স্মরণ করা। উদাহরণ:
১। ব্যবসায় কী? ২। প্রেষণা কী?
অনুধাবন স্তরের প্রশ্ন: এরূপ প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশ (খ) হলো অনুধাবন স্তরের প্রশ্ন। এর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু অনুধাবন করার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। এ ধরনের প্রশ্নে সরাসরি পাঠ্যবইয়ের অনুরূপ বিবরণ জানতে চাওয়া হয় না; বরং শিক্ষার্থীকে বিষয়বস্তু সম্পর্কে ব্যাখ্যা বা বর্ণনা দিতে বলা হয়। উদাহরণ:
১। অর্থনৈতিক পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো।
২। ‘ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন’–ব্যাখ্যা করো।
প্রয়োগ স্তরের প্রশ্ন: প্রশ্নের তৃতীয় স্তর (গ) হলো প্রয়োগ স্তরের প্রশ্ন। এ অংশটি ভালোমানের নতুন পরিস্থিতিযুক্ত উদ্দীপকের ওপর নির্ভরশীল। এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠ্যপুস্তকে থাকবে। পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু ভালোভাবে পড়লে শিক্ষার্থীর যে জ্ঞান বা ধারণার সৃষ্টি হবে, তা উদ্দীপকের পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে শিক্ষার্থী সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারবে। এ ক্ষমতাই হলো প্রয়োগ দক্ষতা। অর্থাৎ পাঠ্যপুস্তকের অর্জিত জ্ঞান নতুন কোনো পরিস্থিতিতে ব্যবহার করার দক্ষতাই হলো প্রয়োগ।
উদাহরণ: মি. সজীব চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম কিনে আকারভেদে ভাগ করে পরে তা ঢাকায় বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন।
সৃজনশীল প্রশ্ন গ অংশ: উদ্দীপকে বর্ণিত মি. সজীবের কাজকে কী বলে? ব্যাখ্যা করো।
উচ্চতর স্তরের প্রশ্ন: সৃজনশীল প্রশ্নের চতুর্থ অংশ (ঘ) হলো উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্ন। প্রশ্নের চতুর্থ অংশে যাচাই করে দেখা হয় ওই অংশের সঙ্গে সম্পর্কিত পাঠ্যবইয়ের অংশটুকু ও উদ্দীপকের ভেতরে চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, কল্পনাশক্তি, গভীরতা, ব্যাপকতা ইত্যাদিকে শিক্ষার্থীরা তুলনা করে বুঝতে পারছে কি না, এদের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য, উচিত-অনুচিত, ভালো-মন্দ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে নিজস্ব মতামত গড়ে তুলতে পারছে কি না।
উদাহরণ: জনাব এ হোসেন অনার্স পাস করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। অবশেষে বাড়িতে ফিরে নিজেদের তিন বিঘা আয়তনের পুকুরটি সংস্কার করেন। এরপর তাতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে স্তরভিত্তিক মাছ চাষ শুরু করেন। পুকুরে পানির ওপরের স্তর, মধ্যম স্তর ও নিম্ন স্তরের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। বর্তমানে জনাব এ হোসেন একজন জনপ্রিয় এবং সফল মাছচাষি। তাঁর এই কার্যক্রম এখন অনেকেই অনুসরণ করছে।
সৃজনশীল প্রশ্ন ঘ অংশ: জনাব এ হোসেন গৃহীত এমন উদ্যোগ কি দেশে বেকারত্ব হ্রাসে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে? মতামত দাও।
[এখানে উল্লেখ্য, প্রশ্নের ক ও খ অংশের উত্তর শুধু পাঠ্যবই থেকেই দেওয়া যায়। কিন্তু গ ও ঘ অংশের উত্তর উদ্দীপকের সহায়তা নিয়ে দিতে হয়। গ ও ঘ অংশের উত্তর দিতে উদ্দীপকের প্রয়োজন পড়বে না। এমন প্রশ্ন কোনো অবস্থাতেই করা যাবে না।]
সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নে বিবেচ্য বিষয়
১। যে বিষয়বস্তুকে নিয়ে প্রশ্ন হবে তা অবশ্যই শিক্ষাক্রমের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।
২। গুরুত্বহীন বিষয় জানার জন্য প্রশ্ন করা যাবে না।
৩। প্রশ্নের শুরুতে মৌলিক, আকর্ষণীয় ও সংক্ষিপ্ত উদ্দীপক তৈরি করতে হবে। উদ্দীপক পাঠ্যপুস্তক থেকে সরাসরি নেওয়া যাবে না। তবে উদ্দীপক অবশ্যই শিক্ষাক্রম/সিলেবাস/ পাঠ্যপুস্তকের কোনো বিষয়বস্তুর আলোকে প্রণীত হতে হবে।
৪। উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়বস্তুর আলোকে দুটি প্রশ্ন (গ ও ঘ) তৈরি করতে হবে।
৫। উদ্দীপকে কোনো প্রশ্নের উত্তর থাকবে না; বরং উদ্দীপক শিক্ষার্থীকে চিন্তা করতে উৎসাহিত করবে।
৬। উদ্দীপক বিবেচনা না করে ক ও খ অংশের উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে।
৭। উদ্দীপক বিবেচনায় না রেখে গ ও ঘ অংশের উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে না।
৮। সৃজনশীল প্রশ্নের বিভিন্ন অংশ ক, খ, গ ও ঘ এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে যেন বিভিন্ন অংশের উত্তরে পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
এখানে উল্লেখ্য, কোনো জাতি, নৃগোষ্ঠী, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, রাজনৈতিক আদর্শ, দেশ, অঞ্চল, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, ভাষা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে হেয় করে বা আঘাত করে উদ্দীপক এবং প্রশ্ন প্রণয়ন করা যাবে না। রাজনৈতিক বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব অথবা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে অবজ্ঞা বা অশ্রদ্ধা করেও উদ্দীপক তৈরি এবং প্রশ্ন প্রণয়ন করা যাবে না। হিংসা বা বিদ্বেষ ছড়াতে পারে, মানহানির ঘটনা ঘটতে পারে, এমন উদ্দীপক বা প্রশ্ন কোনোভাবেই প্রণয়ন করা যাবে না।
সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নের ক্ষেত্রে করণীয়
১। সৃজনশীল প্রশ্নের গ ও ঘ প্রশ্নের জন্য বিষয়বস্তু কী হবে, আগেই ঠিক করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, প্রতিটি প্রশ্নে জ্ঞানের বিষয়টা পরীক্ষার্থী তার পাঠ্য বিষয়ের মধ্যে পাবে কি না? বইয়ে নেই এমন বিষয়ে ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ বা মূল্যায়ন চাওয়া হলে উত্তরপত্র মূল্যায়নে কষ্ট হবে এবং পরীক্ষার্থীরাও ফল খারাপ করবে।
২। প্রতিটি অধ্যায়ে প্রকারভেদ বা শ্রেণিবিভাগ, কার্যাবলি, পদক্ষেপ, বৈশিষ্ট্য, নীতি ইত্যাদি থেকে গ ও ঘ প্রশ্নের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করলে ভালো হয়। গ ও ঘ প্রশ্ন ঠিক করার পর ওই অধ্যায় থেকে ক ও খ প্রশ্ন ঠিক করতে হবে। অবশ্য অন্য অধ্যায় থেকে কোনো মৌলিক প্রশ্নও দেওয়া যেতে পারে।
একটা সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়মাবলি উপস্থাপন করা হলো:
নরসিংদী জেলা কলা ও লটকনের জন্য বিখ্যাত। এখানকার অধিকাংশ কৃষক কলা ও লটকন চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ফলে এখানে কলা ও লটকন বাগান ব্যাপক হারে গড়ে উঠছে। কিন্তু লটকনের বর্তমান বাজারমূল্য প্রতিবছর ওঠানামার কারণে চাষিরা লটকন চাষের চেয়ে কলা চাষের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ছেন। লটকন ব্যবসায়ীরা এতে প্রত্যাশিত লাভ করতে পারছেন না।
(ক) দেশীয় ঐতিহ্য কোন ধরনের পরিবেশের মধ্যে পড়ে? ১
(খ) সামাজিক পরিবেশ ব্যবসায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
(গ) উদ্দীপকে কোন পরিবেশের উপাদান বিদ্যমান রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
(ঘ) উদ্দীপকে কৃষকদের লটকন চাষ বাদ দিয়ে কলা চাষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া কি সমর্থনযোগ্য? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো। ৪
লেখক: পপেল চন্দ্র সাহা
সহকারী অধ্যাপক
আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, নরসিংদী।
২০২১ সালের প্রিয় পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা থেকে ‘সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার কৌশল’ নিয়ে আলোচনা করব।
সৃজনশীল প্রশ্ন কাঠামো
বোর্ড পরীক্ষায় ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থেকে ৭টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। সৃজনশীল প্রশ্নের শুরুতে একটি নতুন পরিস্থিতিযুক্ত উদ্দীপক এবং উদ্দীপকসংশ্লিষ্ট চারটি প্রশ্ন (ক, খ, গ ও ঘ) থাকে। সৃজনশীল প্রশ্নের চারটি স্তর নিম্নরূপ:
জ্ঞান স্তরের প্রশ্ন: সৃজনশীল প্রশ্নের প্রথম অংশ (ক) হলো জ্ঞান স্তরের, যা নিতান্তই স্মৃতিনির্ভর; অর্থাৎ এর অর্থ হলো আগের কোনো জানা বিষয় স্মরণ করা। উদাহরণ:
১। ব্যবসায় কী? ২। প্রেষণা কী?
অনুধাবন স্তরের প্রশ্ন: এরূপ প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশ (খ) হলো অনুধাবন স্তরের প্রশ্ন। এর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু অনুধাবন করার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। এ ধরনের প্রশ্নে সরাসরি পাঠ্যবইয়ের অনুরূপ বিবরণ জানতে চাওয়া হয় না; বরং শিক্ষার্থীকে বিষয়বস্তু সম্পর্কে ব্যাখ্যা বা বর্ণনা দিতে বলা হয়। উদাহরণ:
১। অর্থনৈতিক পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো।
২। ‘ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন’–ব্যাখ্যা করো।
প্রয়োগ স্তরের প্রশ্ন: প্রশ্নের তৃতীয় স্তর (গ) হলো প্রয়োগ স্তরের প্রশ্ন। এ অংশটি ভালোমানের নতুন পরিস্থিতিযুক্ত উদ্দীপকের ওপর নির্ভরশীল। এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠ্যপুস্তকে থাকবে। পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু ভালোভাবে পড়লে শিক্ষার্থীর যে জ্ঞান বা ধারণার সৃষ্টি হবে, তা উদ্দীপকের পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে শিক্ষার্থী সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারবে। এ ক্ষমতাই হলো প্রয়োগ দক্ষতা। অর্থাৎ পাঠ্যপুস্তকের অর্জিত জ্ঞান নতুন কোনো পরিস্থিতিতে ব্যবহার করার দক্ষতাই হলো প্রয়োগ।
উদাহরণ: মি. সজীব চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম কিনে আকারভেদে ভাগ করে পরে তা ঢাকায় বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন।
সৃজনশীল প্রশ্ন গ অংশ: উদ্দীপকে বর্ণিত মি. সজীবের কাজকে কী বলে? ব্যাখ্যা করো।
উচ্চতর স্তরের প্রশ্ন: সৃজনশীল প্রশ্নের চতুর্থ অংশ (ঘ) হলো উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্ন। প্রশ্নের চতুর্থ অংশে যাচাই করে দেখা হয় ওই অংশের সঙ্গে সম্পর্কিত পাঠ্যবইয়ের অংশটুকু ও উদ্দীপকের ভেতরে চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, কল্পনাশক্তি, গভীরতা, ব্যাপকতা ইত্যাদিকে শিক্ষার্থীরা তুলনা করে বুঝতে পারছে কি না, এদের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য, উচিত-অনুচিত, ভালো-মন্দ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে নিজস্ব মতামত গড়ে তুলতে পারছে কি না।
উদাহরণ: জনাব এ হোসেন অনার্স পাস করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। অবশেষে বাড়িতে ফিরে নিজেদের তিন বিঘা আয়তনের পুকুরটি সংস্কার করেন। এরপর তাতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে স্তরভিত্তিক মাছ চাষ শুরু করেন। পুকুরে পানির ওপরের স্তর, মধ্যম স্তর ও নিম্ন স্তরের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। বর্তমানে জনাব এ হোসেন একজন জনপ্রিয় এবং সফল মাছচাষি। তাঁর এই কার্যক্রম এখন অনেকেই অনুসরণ করছে।
সৃজনশীল প্রশ্ন ঘ অংশ: জনাব এ হোসেন গৃহীত এমন উদ্যোগ কি দেশে বেকারত্ব হ্রাসে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে? মতামত দাও।
[এখানে উল্লেখ্য, প্রশ্নের ক ও খ অংশের উত্তর শুধু পাঠ্যবই থেকেই দেওয়া যায়। কিন্তু গ ও ঘ অংশের উত্তর উদ্দীপকের সহায়তা নিয়ে দিতে হয়। গ ও ঘ অংশের উত্তর দিতে উদ্দীপকের প্রয়োজন পড়বে না। এমন প্রশ্ন কোনো অবস্থাতেই করা যাবে না।]
সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নে বিবেচ্য বিষয়
১। যে বিষয়বস্তুকে নিয়ে প্রশ্ন হবে তা অবশ্যই শিক্ষাক্রমের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।
২। গুরুত্বহীন বিষয় জানার জন্য প্রশ্ন করা যাবে না।
৩। প্রশ্নের শুরুতে মৌলিক, আকর্ষণীয় ও সংক্ষিপ্ত উদ্দীপক তৈরি করতে হবে। উদ্দীপক পাঠ্যপুস্তক থেকে সরাসরি নেওয়া যাবে না। তবে উদ্দীপক অবশ্যই শিক্ষাক্রম/সিলেবাস/ পাঠ্যপুস্তকের কোনো বিষয়বস্তুর আলোকে প্রণীত হতে হবে।
৪। উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়বস্তুর আলোকে দুটি প্রশ্ন (গ ও ঘ) তৈরি করতে হবে।
৫। উদ্দীপকে কোনো প্রশ্নের উত্তর থাকবে না; বরং উদ্দীপক শিক্ষার্থীকে চিন্তা করতে উৎসাহিত করবে।
৬। উদ্দীপক বিবেচনা না করে ক ও খ অংশের উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে।
৭। উদ্দীপক বিবেচনায় না রেখে গ ও ঘ অংশের উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে না।
৮। সৃজনশীল প্রশ্নের বিভিন্ন অংশ ক, খ, গ ও ঘ এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে যেন বিভিন্ন অংশের উত্তরে পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
এখানে উল্লেখ্য, কোনো জাতি, নৃগোষ্ঠী, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, রাজনৈতিক আদর্শ, দেশ, অঞ্চল, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, ভাষা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে হেয় করে বা আঘাত করে উদ্দীপক এবং প্রশ্ন প্রণয়ন করা যাবে না। রাজনৈতিক বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব অথবা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে অবজ্ঞা বা অশ্রদ্ধা করেও উদ্দীপক তৈরি এবং প্রশ্ন প্রণয়ন করা যাবে না। হিংসা বা বিদ্বেষ ছড়াতে পারে, মানহানির ঘটনা ঘটতে পারে, এমন উদ্দীপক বা প্রশ্ন কোনোভাবেই প্রণয়ন করা যাবে না।
সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নের ক্ষেত্রে করণীয়
১। সৃজনশীল প্রশ্নের গ ও ঘ প্রশ্নের জন্য বিষয়বস্তু কী হবে, আগেই ঠিক করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, প্রতিটি প্রশ্নে জ্ঞানের বিষয়টা পরীক্ষার্থী তার পাঠ্য বিষয়ের মধ্যে পাবে কি না? বইয়ে নেই এমন বিষয়ে ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ বা মূল্যায়ন চাওয়া হলে উত্তরপত্র মূল্যায়নে কষ্ট হবে এবং পরীক্ষার্থীরাও ফল খারাপ করবে।
২। প্রতিটি অধ্যায়ে প্রকারভেদ বা শ্রেণিবিভাগ, কার্যাবলি, পদক্ষেপ, বৈশিষ্ট্য, নীতি ইত্যাদি থেকে গ ও ঘ প্রশ্নের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করলে ভালো হয়। গ ও ঘ প্রশ্ন ঠিক করার পর ওই অধ্যায় থেকে ক ও খ প্রশ্ন ঠিক করতে হবে। অবশ্য অন্য অধ্যায় থেকে কোনো মৌলিক প্রশ্নও দেওয়া যেতে পারে।
একটা সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়মাবলি উপস্থাপন করা হলো:
নরসিংদী জেলা কলা ও লটকনের জন্য বিখ্যাত। এখানকার অধিকাংশ কৃষক কলা ও লটকন চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ফলে এখানে কলা ও লটকন বাগান ব্যাপক হারে গড়ে উঠছে। কিন্তু লটকনের বর্তমান বাজারমূল্য প্রতিবছর ওঠানামার কারণে চাষিরা লটকন চাষের চেয়ে কলা চাষের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ছেন। লটকন ব্যবসায়ীরা এতে প্রত্যাশিত লাভ করতে পারছেন না।
(ক) দেশীয় ঐতিহ্য কোন ধরনের পরিবেশের মধ্যে পড়ে? ১
(খ) সামাজিক পরিবেশ ব্যবসায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
(গ) উদ্দীপকে কোন পরিবেশের উপাদান বিদ্যমান রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
(ঘ) উদ্দীপকে কৃষকদের লটকন চাষ বাদ দিয়ে কলা চাষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া কি সমর্থনযোগ্য? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো। ৪
লেখক: পপেল চন্দ্র সাহা
সহকারী অধ্যাপক
আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, নরসিংদী।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪