নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
ভয়াবহ আগুনের মধ্যেই কয়েকবার দোকানের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু সঙ্গের মানুষজন তাঁকে আটকে দেন। একপর্যায়ে তাঁকে ধরে এনে বসানো হয় একটি গলিতে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান সেখানেই চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘আমার আর ঘুইরা খাড়ানোর অবস্থা নাই। পরিবার লইয়া কই যামু।’
রাজধানীতে পুড়ে যাওয়া ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জিনস প্যান্টের একটি দোকান আছে হাবিবুরের। এ দোকানে তাঁর একজন অংশীদারও আছেন। শুক্রবার বেচাকেনা করে হাবিবুর নিউ পল্টনের বাসায় ফিরেছিলেন রাত সাড়ে ৩টার দিকে। ভোর সাড়ে ৫টার পর মুঠোফোনে খবর পান মার্কেটে আগুন লেগেছে। ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে এসে দেখেন চোখের সামনে সব পুড়ছে দাউ দাউ করে। ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল দোকানে। আর ক্যাশে ছিল নগদ দেড় লাখ টাকা। কিছুই বের করতে পারেননি এই ব্যবসায়ী।
নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করতে করতে হাবিবুর রহমান বললেন, ‘ভাই, এই একটা দোকানের ওপর চারজন স্টাফ (কর্মচারী), আমার আর পার্টনারের ফ্যামিলির (পরিবার) সবাই ভরসা কইরা থাকে। সারাটা জীবনের ইনকাম দিয়া, দিন-রাইত পরিশ্রম কইরা ব্যাবসাডা খাড়া করাইছিলাম। চোখের সামনে সব শ্যাষ হইয়া গেল। না থাকলো ঈদ, না থাকলো ভবিষ্যৎ। আমার তো আর কিচ্ছু নাই। আমি কেমনে আবার শুরু করমু।’
এর মধ্যেই হাবিবুরের এক স্বজন এসে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন। তাঁকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘আমার আর কিছুই থাকল নারে ভাই। কিছুই নাই।’ তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে আবার বললেন, ‘আমার বাবা-মা, স্ত্রী, এক বছর বয়সী বাচ্চাডা আর ছোট বইনডা আমার ওপর ভরসা কইরা থাকে। ছোট বাচ্চাডা নিয়া চিন্তা করি। আবার বোইনডার পড়ালেহা আছে। আল্লাহ আমারে এত বড় পরীক্ষায় ফালাইলো!’
কান্নার ফাঁকে ফাঁকে আরও অনেক কথাই বলছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত এই ব্যবসায়ী। সেগুলো অস্পষ্ট। তবে মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে সবকিছু বদলে যাওয়াটা যে তিনি মানতে পারছিলেন না, সেটা বোঝা যাচ্ছিল স্পষ্টই। কান্না থামিয়ে তিনি আবার বলছিলেন, ‘আমারে তো কেউ ভেতরে ঢুকতে দেয় নাই। আমি দূর থাইকা দেখলাম দোকান পুইড়া ছাই হইয়া গেছে। খালি আমি না ভাই, আমার মতো কম কইরা হইলেও চাইর শ দোকান পুড়ছে। ওরাও আমার মতো কিচ্ছু বাইর করতে পারে নাই। নিজের কথা ভাবি না ভাই। আমার চাইরডা স্টাফ, তাগো চাইরডা পরিবার। হেগো তো ঈদ আছে। হেগো নিয়া ভাবলেও নিজেরে সান্ত্বনা দিতে পারি না।’
আক্ষেপের যেন শেষ নেই হাবিবুরের। করোনার সময় থেকে প্রতিনিয়ত লোকসানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সারা বছর যেমন-তেমন, রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে যে ব্যবসা হয়, সেই লাভের টাকাটাই পুরো বছরের ব্যবসার সহায়ক হয় বলে জানালেন। তাই ঈদ সামনে রেখে পুঁজিও বিনিয়োগ করেছিলেন সব সঞ্চয় ঝেড়ে-মুছে, ছিল ধারের টাকাও। কিন্তু কিছুই আর অবশিষ্ট রইল না।
আক্ষেপ করে হাবিবুর বলছিলেন, ‘আল্লাহ একি পরীক্ষায় ফালাইলা আমারে। তুমিই বেহতর জানো। আমি এহন পরিবার লইয়া কী করমু!’
ভয়াবহ আগুনের মধ্যেই কয়েকবার দোকানের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু সঙ্গের মানুষজন তাঁকে আটকে দেন। একপর্যায়ে তাঁকে ধরে এনে বসানো হয় একটি গলিতে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান সেখানেই চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘আমার আর ঘুইরা খাড়ানোর অবস্থা নাই। পরিবার লইয়া কই যামু।’
রাজধানীতে পুড়ে যাওয়া ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জিনস প্যান্টের একটি দোকান আছে হাবিবুরের। এ দোকানে তাঁর একজন অংশীদারও আছেন। শুক্রবার বেচাকেনা করে হাবিবুর নিউ পল্টনের বাসায় ফিরেছিলেন রাত সাড়ে ৩টার দিকে। ভোর সাড়ে ৫টার পর মুঠোফোনে খবর পান মার্কেটে আগুন লেগেছে। ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে এসে দেখেন চোখের সামনে সব পুড়ছে দাউ দাউ করে। ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল দোকানে। আর ক্যাশে ছিল নগদ দেড় লাখ টাকা। কিছুই বের করতে পারেননি এই ব্যবসায়ী।
নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করতে করতে হাবিবুর রহমান বললেন, ‘ভাই, এই একটা দোকানের ওপর চারজন স্টাফ (কর্মচারী), আমার আর পার্টনারের ফ্যামিলির (পরিবার) সবাই ভরসা কইরা থাকে। সারাটা জীবনের ইনকাম দিয়া, দিন-রাইত পরিশ্রম কইরা ব্যাবসাডা খাড়া করাইছিলাম। চোখের সামনে সব শ্যাষ হইয়া গেল। না থাকলো ঈদ, না থাকলো ভবিষ্যৎ। আমার তো আর কিচ্ছু নাই। আমি কেমনে আবার শুরু করমু।’
এর মধ্যেই হাবিবুরের এক স্বজন এসে তাঁর পাশে দাঁড়ালেন। তাঁকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘আমার আর কিছুই থাকল নারে ভাই। কিছুই নাই।’ তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে আবার বললেন, ‘আমার বাবা-মা, স্ত্রী, এক বছর বয়সী বাচ্চাডা আর ছোট বইনডা আমার ওপর ভরসা কইরা থাকে। ছোট বাচ্চাডা নিয়া চিন্তা করি। আবার বোইনডার পড়ালেহা আছে। আল্লাহ আমারে এত বড় পরীক্ষায় ফালাইলো!’
কান্নার ফাঁকে ফাঁকে আরও অনেক কথাই বলছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত এই ব্যবসায়ী। সেগুলো অস্পষ্ট। তবে মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে সবকিছু বদলে যাওয়াটা যে তিনি মানতে পারছিলেন না, সেটা বোঝা যাচ্ছিল স্পষ্টই। কান্না থামিয়ে তিনি আবার বলছিলেন, ‘আমারে তো কেউ ভেতরে ঢুকতে দেয় নাই। আমি দূর থাইকা দেখলাম দোকান পুইড়া ছাই হইয়া গেছে। খালি আমি না ভাই, আমার মতো কম কইরা হইলেও চাইর শ দোকান পুড়ছে। ওরাও আমার মতো কিচ্ছু বাইর করতে পারে নাই। নিজের কথা ভাবি না ভাই। আমার চাইরডা স্টাফ, তাগো চাইরডা পরিবার। হেগো তো ঈদ আছে। হেগো নিয়া ভাবলেও নিজেরে সান্ত্বনা দিতে পারি না।’
আক্ষেপের যেন শেষ নেই হাবিবুরের। করোনার সময় থেকে প্রতিনিয়ত লোকসানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সারা বছর যেমন-তেমন, রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে যে ব্যবসা হয়, সেই লাভের টাকাটাই পুরো বছরের ব্যবসার সহায়ক হয় বলে জানালেন। তাই ঈদ সামনে রেখে পুঁজিও বিনিয়োগ করেছিলেন সব সঞ্চয় ঝেড়ে-মুছে, ছিল ধারের টাকাও। কিন্তু কিছুই আর অবশিষ্ট রইল না।
আক্ষেপ করে হাবিবুর বলছিলেন, ‘আল্লাহ একি পরীক্ষায় ফালাইলা আমারে। তুমিই বেহতর জানো। আমি এহন পরিবার লইয়া কী করমু!’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫