সম্পাদকীয়
দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত হিসেবে কক্সবাজারের আকর্ষণ আছে। এটি একটি নয়নাভিরাম সৈকত হিসেবেই পরিচিত। এর সঙ্গে কয়েক হাজার লোকের জীবন-জীবিকাও জড়িত। তাই আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে এর ভূমিকা রয়েছে।
কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হলো, এর আগেও এখানে মরা জেলিফিশ ও ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে আসার খবর প্রকাশিত হয়েছে। ১ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় প্রকাশ, তিন দিন ধরে ভেসে এসেছে কয়েক টন প্লাস্টিক বর্জ্য। এসবের সঙ্গে আছে জেলেদের ব্যবহৃত ছেঁড়া জাল, প্লাস্টিকের দড়ি, কাচ ও প্লাস্টিকের বোতল, স্যান্ডেল, ব্যাগ, মেডিকেল বর্জ্য, শুকনো লতাগুল্ম, কাঠের টুকরো এবং মৃত সামুদ্রিক প্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। জোয়ারের সঙ্গে শহরের কলাতলী থেকে কবিতা চত্বর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সৈকতজুড়ে বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে।
বর্জ্য ভেসে আসার খবর সত্যিই উদ্বেগজনক। আসলে এর মধ্য দিয়ে সমুদ্রদূষণের ভয়াবহতার চিত্রই প্রকাশ পায়। প্রশ্ন হচ্ছে, সমুদ্রদূষণের দায় কার ওপর পড়ে? কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অথবা কোনো দেশের দায় রয়েছে কি না, সেটা জানা জরুরি। সমুদ্রদূষণ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে হলে দূষণের প্রকৃত কারণ ও উৎস চিহ্নিত করতে হবে সবার আগে। তারপর দূষণরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
কিছু পর্যটকের অসচেতনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে সমুদ্রসৈকতে এ রকম বর্জ্যের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি মাছ ধরার জেলে এবং নৌযানের নিয়ম না মেনে চলার কারণে বর্জ্যের সৃষ্টি হতে পারে। সমুদ্রের উজানের দেশ থেকে বর্জ্য আসে কি না, সেটাও ভাবার বিষয় আছে। একই সঙ্গে অভিযোগ রয়েছে, পর্যটন নগরখ্যাত কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসের কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। এসবের স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থাও নেই। ফলে পয়োবর্জ্য বিভিন্ন নদী-নালা, খাল, জলাশয় ও নদী হয়ে সরাসরি সমুদ্রের পানিতে মিশছে। এসব কারণে সমুদ্রদূষিত হচ্ছে।
তাই সমুদ্রে যেসব নৌযান চলে, সেসব নিয়ম মেনে চলে কি না, সেটা কঠোরভাবে তদারক করা দরকার। আমাদের সমুদ্রসীমায় ভিনদেশি নৌযান চলাচলেও নজরদারি থাকা উচিত।
বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশের নদ-নদী, খাল-জলাশয় ইতিমধ্যেই দখল-দূষণে ধুঁকছে। এর সঙ্গে ব্যাপক আকারে শুরু হয়েছে সমুদ্রদূষণ।
এ ক্ষেত্রে কক্সবাজার পৌরসভা, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর এবং সমুদ্র রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থার অবহেলা আছে। একই সঙ্গে যদি ভ্রমণকারীরা নিজেদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন থাকতেন, তাহলে এমন বৈরী পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। তাই সমুদ্রের দূষণ ঠেকানো এবং এর পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা দরকার। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে এর পরিণাম আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় সমুদ্রসৈকতটি যাতে পরিত্যাজ্য না হয়, সে জন্য এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। একে রক্ষার জন্য বৃহৎ স্বার্থে বিষয়গুলো আমলে নিতে হবে। এ জন্য সমুদ্রসৈকতের পরিবেশ সুরক্ষায় অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না।
দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত হিসেবে কক্সবাজারের আকর্ষণ আছে। এটি একটি নয়নাভিরাম সৈকত হিসেবেই পরিচিত। এর সঙ্গে কয়েক হাজার লোকের জীবন-জীবিকাও জড়িত। তাই আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে এর ভূমিকা রয়েছে।
কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হলো, এর আগেও এখানে মরা জেলিফিশ ও ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে আসার খবর প্রকাশিত হয়েছে। ১ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় প্রকাশ, তিন দিন ধরে ভেসে এসেছে কয়েক টন প্লাস্টিক বর্জ্য। এসবের সঙ্গে আছে জেলেদের ব্যবহৃত ছেঁড়া জাল, প্লাস্টিকের দড়ি, কাচ ও প্লাস্টিকের বোতল, স্যান্ডেল, ব্যাগ, মেডিকেল বর্জ্য, শুকনো লতাগুল্ম, কাঠের টুকরো এবং মৃত সামুদ্রিক প্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। জোয়ারের সঙ্গে শহরের কলাতলী থেকে কবিতা চত্বর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সৈকতজুড়ে বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে।
বর্জ্য ভেসে আসার খবর সত্যিই উদ্বেগজনক। আসলে এর মধ্য দিয়ে সমুদ্রদূষণের ভয়াবহতার চিত্রই প্রকাশ পায়। প্রশ্ন হচ্ছে, সমুদ্রদূষণের দায় কার ওপর পড়ে? কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অথবা কোনো দেশের দায় রয়েছে কি না, সেটা জানা জরুরি। সমুদ্রদূষণ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে হলে দূষণের প্রকৃত কারণ ও উৎস চিহ্নিত করতে হবে সবার আগে। তারপর দূষণরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
কিছু পর্যটকের অসচেতনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে সমুদ্রসৈকতে এ রকম বর্জ্যের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি মাছ ধরার জেলে এবং নৌযানের নিয়ম না মেনে চলার কারণে বর্জ্যের সৃষ্টি হতে পারে। সমুদ্রের উজানের দেশ থেকে বর্জ্য আসে কি না, সেটাও ভাবার বিষয় আছে। একই সঙ্গে অভিযোগ রয়েছে, পর্যটন নগরখ্যাত কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসের কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। এসবের স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থাও নেই। ফলে পয়োবর্জ্য বিভিন্ন নদী-নালা, খাল, জলাশয় ও নদী হয়ে সরাসরি সমুদ্রের পানিতে মিশছে। এসব কারণে সমুদ্রদূষিত হচ্ছে।
তাই সমুদ্রে যেসব নৌযান চলে, সেসব নিয়ম মেনে চলে কি না, সেটা কঠোরভাবে তদারক করা দরকার। আমাদের সমুদ্রসীমায় ভিনদেশি নৌযান চলাচলেও নজরদারি থাকা উচিত।
বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশের নদ-নদী, খাল-জলাশয় ইতিমধ্যেই দখল-দূষণে ধুঁকছে। এর সঙ্গে ব্যাপক আকারে শুরু হয়েছে সমুদ্রদূষণ।
এ ক্ষেত্রে কক্সবাজার পৌরসভা, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর এবং সমুদ্র রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থার অবহেলা আছে। একই সঙ্গে যদি ভ্রমণকারীরা নিজেদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন থাকতেন, তাহলে এমন বৈরী পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। তাই সমুদ্রের দূষণ ঠেকানো এবং এর পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা দরকার। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে এর পরিণাম আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় সমুদ্রসৈকতটি যাতে পরিত্যাজ্য না হয়, সে জন্য এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। একে রক্ষার জন্য বৃহৎ স্বার্থে বিষয়গুলো আমলে নিতে হবে। এ জন্য সমুদ্রসৈকতের পরিবেশ সুরক্ষায় অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫