বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৮ বছরের তরুণী তিনি। পেশায় একজন চা-শ্রমিক। গত বছরের মার্চ মাসে ৯ লিটার চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার হন তরুণী। এ ঘটনায় মামলায় জেল খেটেছেন প্রায় দুই মাস। মামলার অভিযোগ গঠনকালে আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করেন। রায়ে আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। কিন্তু এ জন্য তাঁকে কারাগারে নয়, গাছ লাগানোসহ পাঁচটি শর্তে স্বজনদের সঙ্গে নিজের বাড়িতে থাকার রায় দিয়েছেন আদালত।
গত মঙ্গলবার বিকেলে ব্যতিক্রমী এই রায় ঘোষণা করেছেন বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের হাকিম মোহাম্মদ জিয়াউল হক। দা প্রবেশন আব অফেন্ডার্স অরডিন্যান্স-১৯৬০-এর ৫ ধারা অনুযায়ী তাঁকে ১ বছরের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তার (বড়লেখা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা) তত্ত্বাবধান থাকতে হবে।
তিনি উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পাথারিয়া চা-বাগানের (দলছড়ি) বাসিন্দা।
রায়ে আদালত যেসব শর্ত পালনের কথা উল্লেখ করছেন সেগুলো হলো- তিনি এক বছর প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন। এই সময়ের মধ্যে কোনো অপরাধ করবেন না, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন, সদাচরণ করবেন এবং আদালত তলব করলে হাজির হবেন। রায়ের এক মাসের মধ্যে চা-বাগানের ব্যবস্থাপকের নির্দেশিত স্থানে সাতটি অর্জুন, সাতটি নিম ও সাতটি বাসক পাতার চারা রোপণ করবেন এবং তা দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
নির্দিষ্ট সময়ে তাকে প্রবেশন কর্মকর্তা তলব করলে হাজির থাকবেন। কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে প্রবেশন বাতিল এবং দা প্রবেশন আব অফেন্ডার্স অরডিন্যান্স আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) গোপাল চন্দ্র দত্ত বুধবার দুপুরে বলেন, ‘বড়লেখায় এই প্রথম এ রকম ব্যতিক্রমী রায় হয়েছে। আদালতের এই রায়ের একটা ইতিবাচক দিক আছে। এতে আসামিরা সংশোধনের সুযোগ ও সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনে ফেরার একটা পথ পাবে।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আসামি একজন চা-শ্রমিক। তাদের একটি অনুষ্ঠানের জন্য নিজের ঘরে মদ তৈরি করেছিল। এটা প্রথমবার। অভিযোগ গঠনকালে আদালতের কাছে সরল মনে দোষ স্বীকার করেছেন তিনি। এতে আদালত ব্যতিক্রমী রায় দিয়েছেন। এই রায় একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
আদালতের রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রায়ের কপি হাতে আসেনি এখনো। কপি পেলে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’
২৮ বছরের তরুণী তিনি। পেশায় একজন চা-শ্রমিক। গত বছরের মার্চ মাসে ৯ লিটার চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার হন তরুণী। এ ঘটনায় মামলায় জেল খেটেছেন প্রায় দুই মাস। মামলার অভিযোগ গঠনকালে আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করেন। রায়ে আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। কিন্তু এ জন্য তাঁকে কারাগারে নয়, গাছ লাগানোসহ পাঁচটি শর্তে স্বজনদের সঙ্গে নিজের বাড়িতে থাকার রায় দিয়েছেন আদালত।
গত মঙ্গলবার বিকেলে ব্যতিক্রমী এই রায় ঘোষণা করেছেন বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের হাকিম মোহাম্মদ জিয়াউল হক। দা প্রবেশন আব অফেন্ডার্স অরডিন্যান্স-১৯৬০-এর ৫ ধারা অনুযায়ী তাঁকে ১ বছরের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তার (বড়লেখা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা) তত্ত্বাবধান থাকতে হবে।
তিনি উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পাথারিয়া চা-বাগানের (দলছড়ি) বাসিন্দা।
রায়ে আদালত যেসব শর্ত পালনের কথা উল্লেখ করছেন সেগুলো হলো- তিনি এক বছর প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন। এই সময়ের মধ্যে কোনো অপরাধ করবেন না, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন, সদাচরণ করবেন এবং আদালত তলব করলে হাজির হবেন। রায়ের এক মাসের মধ্যে চা-বাগানের ব্যবস্থাপকের নির্দেশিত স্থানে সাতটি অর্জুন, সাতটি নিম ও সাতটি বাসক পাতার চারা রোপণ করবেন এবং তা দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
নির্দিষ্ট সময়ে তাকে প্রবেশন কর্মকর্তা তলব করলে হাজির থাকবেন। কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে প্রবেশন বাতিল এবং দা প্রবেশন আব অফেন্ডার্স অরডিন্যান্স আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) গোপাল চন্দ্র দত্ত বুধবার দুপুরে বলেন, ‘বড়লেখায় এই প্রথম এ রকম ব্যতিক্রমী রায় হয়েছে। আদালতের এই রায়ের একটা ইতিবাচক দিক আছে। এতে আসামিরা সংশোধনের সুযোগ ও সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনে ফেরার একটা পথ পাবে।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আসামি একজন চা-শ্রমিক। তাদের একটি অনুষ্ঠানের জন্য নিজের ঘরে মদ তৈরি করেছিল। এটা প্রথমবার। অভিযোগ গঠনকালে আদালতের কাছে সরল মনে দোষ স্বীকার করেছেন তিনি। এতে আদালত ব্যতিক্রমী রায় দিয়েছেন। এই রায় একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
আদালতের রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রায়ের কপি হাতে আসেনি এখনো। কপি পেলে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪