Ajker Patrika

সম্মেলন ঘিরে নেতা কর্মীদের দৌড়ঝাঁপ

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২২, ১৬: ২০
সম্মেলন ঘিরে নেতা কর্মীদের দৌড়ঝাঁপ

দীর্ঘ ১৬ বছরেও সম্মেলন হয়নি নীলফামারী জেলা যুবলীগের। এতে সাংগঠনিক স্থবিরতাসহ আসেনি সংগঠনের কোনো নতুন নেতৃত্ব। তবে সম্প্রতি জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা হওয়ার পর নেতা-কর্মীদের মধ্যে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। জেলার নেতৃত্বে আসতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন এক ডজনেরও বেশি বর্তমান ও সাবেক নেতা।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বর্ধিত সভা করা হয়েছে। বিরোধী দলে থাকাকালে দলের জন্য অবদানকে আমরা অবশ্যই মূল্যায়ন করব। দলে যাঁরা একনিষ্ঠ, যোগ্য ও ত্যাগী এবং যাঁরা অভিমানে চুপ করে রয়েছেন, তাঁদেরও মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হবে।’

সোহেল পারভেজ আরও বলেন, ইতিমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রে। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।

এর আগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে জেলা শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বাদশা এবং বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ। বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান উজ্জল এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল। সভায় দ্রুত মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিটগুলোতে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন এবং ওই বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জেলা সম্মেলন করার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিকে বর্ধিত সভার পর জেলা কমিটির সভাপতি হতে অন্তত ছয়জন এবং সাধারণ সম্পাদক হতে ১৬ জন তাঁদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন কেন্দ্রে। এর মধ্যে সভাপতি পদের জন্য যুবলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ ছাড়াও আছেন সহসভাপতি সুধীর রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সজল কুমার ভৌমিক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তানভীর হাফিজ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য নাঈম শাহারিয়ার পিউ। সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর সাদেক তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফি সবুজ, অর্থ সম্পাদক শাহ আনোয়ার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম জীবন ও নোহেল রানা জীবনবৃত্তান্ত দিয়েছেন।

জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন সম্মেলন হয়নি ঠিকই; কিন্তু সাংগঠনিকভাবে যুবলীগ সফল। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে প্রতিটি কর্মসূচি সফলভাবে পালন করা হয়েছে। আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং বা বিভক্তি নেই। আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমিও চাই দ্রুত সম্মেলন হোক। ভবিষ্যতে রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন শেষে হয়তো জেলা সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।’

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ৫ জুন সর্বশেষ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিল। উদ্বোধন করেন তৎকালীন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত