Ajker Patrika

তান্দুরী চায়ে ভাগ্যবদল

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ২০
তান্দুরী চায়ে ভাগ্যবদল

সকাল কিংবা বিকেলে আড্ডা জমে ওঠে চায়ের চুমুকে। ক্লান্তি দূর করতে চায়ের জুড়ি নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রং চা, দুধ চা ও গ্রিন টি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হরেক রকমের চায়ের আবিষ্কার হয়েছে। মাল্টা চা, মরিচ চা, গুড়ের চা, অপরাজিতা চা বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

এবার মাদারীপুরের তরুণ চা বিক্রেতা আলতাফ মাহমুদ হাজির করেছেন সুস্বাদের তান্দুরী চা। গরুর দুধের সর, কাজুবাদামসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তিনি তৈরি করেন এই সুস্বাদু চা। তাঁর চায়ের সুনাম শুধু মাদারীপুরে সীমাবদ্ধ নয়, ছড়িয়ে পড়েছে পাশের জেলা শরীয়তপুর, ফরিদপুরসহ আশপাশের এলাকায়।

ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তিনি এই সুস্বাদু চা তৈরি করা শিখেছেন। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তিনি চা বিক্রি করেন। প্রতিদিন ৮-৯ হাজার টাকার চা বিক্রি করেন। ছুটির দিনে বিক্রি আরও বাড়ে। এই তান্দুরী চায়ে ভাগ্য বদলেছে আলতাফ মাহমুদের।

সরেজমিন দেখা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের দত্তেরহাট গ্রামের তরুণ আলতাফ মাহমুদ। আর্থিক সংকটে লেখাপড়া খুব বেশি করতে পারেননি। পরিবারের চাহিদা মেটাতে পাশের পেয়ারপুর ইউনিয়নের পেয়ারপুর বাজারে বাবা তোফাজ্জেল ফকিরের ছোট্ট চায়ের দোকানে চা বিক্রির কাজ শুরু করেন। কিন্তু বাজারের চায়ের দোকানের ছড়াছড়ি। এত চায়ের দোকানির ভিড়ে শুধু চা বিক্রি করে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে তাঁর জন্য। বাধ্য হয়ে বিকল্প উপায় খুঁজতে থাকেন তিনি। এ জন্য ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ঘাঁটতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি ভারতের ঐতিহ্যবাহী তান্দুরী চা তৈরির রেসিপি রপ্ত করতে থাকেন। প্রায় এক বছর আগে শুরু করেন তান্দুরী চা তৈরি। এতেই বাঁক বদলের শুরু। দিন-দিন বাড়তে থাকে তাঁর দোকানে চা পিপাসুদের ভিড়। এতে বেড়ে যায় আয়।

আলতাফ মাহমুদ বলেন, ‘গরুর দুধের সর, কাজু বাদাম, ওভালটিন, টেরাবিকা, চকোলেট সিরাপসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি করেন চা। মাটির তৈরি ছোট্ট হাঁড়িতে গরম চা পরিবেশন করি। চায়ের স্বাদ ভালো হওয়ায় প্রতিদিনই মাদারীপুরের বিভিন্ন উপজেলা, শরীয়তপুর, ফরিদপুরের ভাঙ্গাসহ দূরদূরান্ত থেকে অনেকে পেয়ারাপুর বাজারে ছুটে আসেন তান্দুরী চা পান করতে।’

প্রতি কাপ তান্দুরী চা ৩০ টাকা, চকলেট তান্দুরী ৫০ টাকা, কফি তান্দুরী ৫০ টাকা, কফি রেগুলার ৩০ টাকা, চকলেট চা ৩০ টাকা, মালাই চা ২০ টাকা, দুধ চা ১০ টাকা ও গ্রিন টি প্রতি কাপ ১০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। আলতাফ মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ কাপ চা বিক্রি হয়। আগে যেখানে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার চা বিক্রি করতেই হিমশিম খেতে হতো, সেখানে এখন প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ হাজার টাকার তান্দুরী চা বিক্রি করি। শুক্রবারসহ ছুটির দিনে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।’

ইউটিউব থেকে শেখা এই তান্দুরী চায়ে ভাগ্য বদলেছে আলতাফ মাহমুদের। বর্তমানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুখেই রয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফেল করায় বকা খেয়ে বাড়ি ছাড়ে বাংলাদেশি কিশোরী, ভারতে ৩ মাসে ২০০ লোকের ধর্ষণ

রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু: গভর্নর

মৌচাকে হাসপাতালের পার্কিংয়ে প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার দুই মরদেহের পরিচয় মিলেছে

চলন্ত বাইকে বাঁধা নারীর লাশ, পুলিশের ধাওয়া

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত