মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, গাজীপুর
গাজীপুরে পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নতুন পাসপোর্ট, ভুল সংশোধন বা নবায়ন করতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ নাগরিক। তাঁদের অভিযোগ—গত ৮ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায়। তখন সহকারী পরিচালক দালালদের দৌরাত্ম্য ও হয়রানি কমাতে নিয়মিত কাজ করার প্রতিজ্ঞা করেন। কিন্তু এরপরও অফিসের অবস্থার খুব বেশি উন্নতি হয়নি।
এ বিষয়ে পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ অফিসে বর্তমানে কোনো দালাল নেই। আমি মাত্র তিন মাসের মতো হলো এখানে যোগদান করেছি। সেবার মান এখন অনেক ভালো। কোনো মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে না। সিসিটিভির মাধ্যমে সবার কাজকর্ম মনিটর করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কারও পাসপোর্টের সংশোধন থাকে, যদি কেউ তথ্য গোপন করে বা কারও পুলিশ প্রতিবেদন নেগেটিভ আসে, তাহলে পাসপোর্ট পেতে দেরি হতে পারে। এ ছাড়া সবাই নির্ধারিত সময় বা তার আগেই পাসপোর্ট পেয়ে থাকে।’
সরেজমিন অফিসে ঘুরে দেখা যায়, অফিসের নিচতলায় একটি সাইন বোর্ডে কোন কক্ষে কী সেবা দেওয়া হয়, তা লিপিবদ্ধ করা আছে। সেখানে লেখা আছে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র ১০৭ নম্বর কক্ষ। কিন্তু গিয়ে দেখা গেল কক্ষটি তালাবদ্ধ। সামনের গ্লাস লাগানো অংশ দিয়ে ভেতরে দেখা গেল, একটি চেয়ার রয়েছে। তার ওপর প্রচুর ধুলা পড়ে আছে। মেঝে অপরিষ্কার ও নোংরা। দেখলেই বোঝা যায়, সেখানে কেউ তথ্য ও সেবা দিতে বসেন না। সিঁড়ির পূর্বপাশে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। কক্ষের সামনে ৩০-৪০ জন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ লাইনে, কেউ লাইন ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছেন। এখানে বয়স্ক, অসুস্থ ও মুক্তিযোদ্ধার জন্য আলাদা কক্ষ থাকলেও সেখানে কেউ যাচ্ছেন না। করোনা বাড়লেও অনেকেরই মাস্ক নেই। সবাই গাদাগাদি করে পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ছবি তোলার কক্ষের সামনে দেখা গেল, মহিলা ও পুরুষ একই লাইনে দাঁড়িয়ে। এরই মাঝে অনেকে লোক নিয়ে সরাসরি কক্ষে ঢুকে যান। ওই সময় লাইনে দাঁড়ানো অন্যরা আপত্তি করলেও কোনো কাজ হয় না।
শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ এলাকার ইয়াসিন আহমেদ রানা নিজের অসুস্থ বাবার পাসপোর্টের আবেদন জমা দিয়েছেন। গত ১২ তারিখে ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কয়েক দিন এসেও পাসপোর্ট পাননি। তাঁকে জানানো হয়েছে, তাঁর পাসপোর্ট দিতে দেরি হবে।
মহানগরের নেয়ামত সড়ক এলাকার মামুনুর রশিদ পাসপোর্ট হাতে পেয়ে বলেন, ‘আমি নিজে চেষ্টা করে পারিনি। তাই এক দালালের মাধ্যমে আবেদন জমা দিয়েছি। আমাকে কোথাও যেতে হয়নি। শুধু আবেদন জমা, ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দিয়েছি। এক মাসের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৫০০ টাকা।’
কাপাসিয়ার রাণীগঞ্জ থেকে স্ত্রীর পাসপোর্টে পিতা ও মাতার নাম সংশোধন করতে এসেছেন জসিম উদ্দিন। তিনি আবেদন করেছেন, এসএমএস পেয়েছেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট আসেনি। কেন আসেনি, কী সমস্যা জানতে চেষ্টা করছেন, কিন্তু কেউ কিছু জানাচ্ছে না। তারা তাঁকে ঢাকায় যোগাযোগ করতে পরামর্শ দিচ্ছে। কিন্তু ঢাকায় তিনি কার কাছে যাবেন তা বুঝতে পারছেন না।
গাজীপুরের ক্যান্টনমেন্টের অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম ছেলের পাসপোর্টের আবেদন নিয়ে এসেছেন। তাঁর বাড়ি জামালপুরে। সেখানেই ছেলে জন্মনিবন্ধন করেছেন। অফিস থেকে বলা হয়েছে, জন্মনিবন্ধন যাচাই করে আনার জন্য। তিনি যাচাই করে নিয়ে এসেছেন। এখন তাঁকে বলা হচ্ছে নিজ জেলায় যেতে।
গাজীপুরে পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নতুন পাসপোর্ট, ভুল সংশোধন বা নবায়ন করতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ নাগরিক। তাঁদের অভিযোগ—গত ৮ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায়। তখন সহকারী পরিচালক দালালদের দৌরাত্ম্য ও হয়রানি কমাতে নিয়মিত কাজ করার প্রতিজ্ঞা করেন। কিন্তু এরপরও অফিসের অবস্থার খুব বেশি উন্নতি হয়নি।
এ বিষয়ে পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ অফিসে বর্তমানে কোনো দালাল নেই। আমি মাত্র তিন মাসের মতো হলো এখানে যোগদান করেছি। সেবার মান এখন অনেক ভালো। কোনো মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে না। সিসিটিভির মাধ্যমে সবার কাজকর্ম মনিটর করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কারও পাসপোর্টের সংশোধন থাকে, যদি কেউ তথ্য গোপন করে বা কারও পুলিশ প্রতিবেদন নেগেটিভ আসে, তাহলে পাসপোর্ট পেতে দেরি হতে পারে। এ ছাড়া সবাই নির্ধারিত সময় বা তার আগেই পাসপোর্ট পেয়ে থাকে।’
সরেজমিন অফিসে ঘুরে দেখা যায়, অফিসের নিচতলায় একটি সাইন বোর্ডে কোন কক্ষে কী সেবা দেওয়া হয়, তা লিপিবদ্ধ করা আছে। সেখানে লেখা আছে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র ১০৭ নম্বর কক্ষ। কিন্তু গিয়ে দেখা গেল কক্ষটি তালাবদ্ধ। সামনের গ্লাস লাগানো অংশ দিয়ে ভেতরে দেখা গেল, একটি চেয়ার রয়েছে। তার ওপর প্রচুর ধুলা পড়ে আছে। মেঝে অপরিষ্কার ও নোংরা। দেখলেই বোঝা যায়, সেখানে কেউ তথ্য ও সেবা দিতে বসেন না। সিঁড়ির পূর্বপাশে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। কক্ষের সামনে ৩০-৪০ জন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ লাইনে, কেউ লাইন ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছেন। এখানে বয়স্ক, অসুস্থ ও মুক্তিযোদ্ধার জন্য আলাদা কক্ষ থাকলেও সেখানে কেউ যাচ্ছেন না। করোনা বাড়লেও অনেকেরই মাস্ক নেই। সবাই গাদাগাদি করে পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ছবি তোলার কক্ষের সামনে দেখা গেল, মহিলা ও পুরুষ একই লাইনে দাঁড়িয়ে। এরই মাঝে অনেকে লোক নিয়ে সরাসরি কক্ষে ঢুকে যান। ওই সময় লাইনে দাঁড়ানো অন্যরা আপত্তি করলেও কোনো কাজ হয় না।
শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ এলাকার ইয়াসিন আহমেদ রানা নিজের অসুস্থ বাবার পাসপোর্টের আবেদন জমা দিয়েছেন। গত ১২ তারিখে ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কয়েক দিন এসেও পাসপোর্ট পাননি। তাঁকে জানানো হয়েছে, তাঁর পাসপোর্ট দিতে দেরি হবে।
মহানগরের নেয়ামত সড়ক এলাকার মামুনুর রশিদ পাসপোর্ট হাতে পেয়ে বলেন, ‘আমি নিজে চেষ্টা করে পারিনি। তাই এক দালালের মাধ্যমে আবেদন জমা দিয়েছি। আমাকে কোথাও যেতে হয়নি। শুধু আবেদন জমা, ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দিয়েছি। এক মাসের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৫০০ টাকা।’
কাপাসিয়ার রাণীগঞ্জ থেকে স্ত্রীর পাসপোর্টে পিতা ও মাতার নাম সংশোধন করতে এসেছেন জসিম উদ্দিন। তিনি আবেদন করেছেন, এসএমএস পেয়েছেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট আসেনি। কেন আসেনি, কী সমস্যা জানতে চেষ্টা করছেন, কিন্তু কেউ কিছু জানাচ্ছে না। তারা তাঁকে ঢাকায় যোগাযোগ করতে পরামর্শ দিচ্ছে। কিন্তু ঢাকায় তিনি কার কাছে যাবেন তা বুঝতে পারছেন না।
গাজীপুরের ক্যান্টনমেন্টের অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম ছেলের পাসপোর্টের আবেদন নিয়ে এসেছেন। তাঁর বাড়ি জামালপুরে। সেখানেই ছেলে জন্মনিবন্ধন করেছেন। অফিস থেকে বলা হয়েছে, জন্মনিবন্ধন যাচাই করে আনার জন্য। তিনি যাচাই করে নিয়ে এসেছেন। এখন তাঁকে বলা হচ্ছে নিজ জেলায় যেতে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫