জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
সীতাকুণ্ডের কনটেইনার টার্মিনালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের ২০ জনের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। যাঁদের শরীর প্রায় বিকৃত (বেশির ভাগই দগ্ধ) হয়ে গেছে। তাঁদের শনাক্ত করতে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ইতিমধ্যে ৩৫ জন তাঁদের নমুনা দিয়েছেন। মরদেহ ফিরে পেতে স্বজনদের অপেক্ষা করতে হবে এক মাস বা তারও বেশি।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডির চট্টগ্রাম বিভাগ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ২০ জনের মরদেহ সংরক্ষণ করা আছে। এসব মরদেহের মধ্যে অনেকের মরদেহ পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। আর কারও কারও মাথা, হাত ও পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় সংরক্ষিত আছে। নিয়ম অনুযায়ী ডিএনএর নমুনা ঢাকার ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাতে হয়। কিন্তু গুরুত্ব বিবেচনা করে পুরো সিআইডি টিম চট্টগ্রামে এসে নমুনা সংগ্রহ করছে।
গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩৫ জন স্বজন তাঁদের নমুনা দেন। সিআইডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামীকালও (মঙ্গলবার) নমুনা নেওয়া হবে।
সিআইডি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক) মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটু বেশি পুড়ে যাওয়ায় পরিচয় না পাওয়া এসব মরদেহের ডিএনএ চমেকে সংরক্ষিত আছে। ওই সব ডিএনএর সঙ্গে মরদেহ খুঁজে না পাওয়া স্বজনদের ডিএনএর নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
ডিএনএ মিলে গেলে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তবে এসব প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে এক মাস বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা মা-বাবা, ভাইবোন এবং ছেলেমেয়ের ডিএনএ নিচ্ছি। দুই ধরনের ডিএনএ নেওয়া হয়। একটি হলো মরদেহের ডিএনএ, যেটিকে ক্রাইম সিনও বলা হয়। আরেকটি হলো রেফারেন্স ডিএনএ। যেগুলো আত্মীয়স্বজন থেকে নেওয়া হয়। ক্রাইম সিন রেফারেন্সের সঙ্গে রেফারেন্সের নমুনা মিলে যায় তাহলে মরদেহটি ওই পরিবারের। এ জন্য রেফারেন্স নমুনার সঙ্গে পরিচয় না পাওয়া ২০ মরদেহের ম্যাচিং করা হবে। যেটিতে মিলে যায়, মরদেহটি ওই পরিবারের।’
জিহ্বা বা মুখের লালা, রক্ত এমনকি শরীরের ঘাম বা টুপির সঙ্গে লেগে থাকা ঘামও শনাক্তের জন্য যথেষ্ট জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একজন ব্যক্তির যা-ই নেন, একই ডিএনএ পাওয়া যাবে। তাই এখানে স্বজনদের কারও যদি মরদেহ থাকে তাহলে শতভাগ পরিচয় শনাক্ত হবে।
দিকে চমেকে সকাল ৯টা থেকে যখন সিআইডি ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ শুরু করা হয়, তখন বাড়তে থাকে বিস্ফোরণের পর নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের ভিড়। যত সময় লাগুক তাঁরা সবাই অন্তত মরদেহ ফিরে পেতে চান।
যে ডিপোতে আগুন, ওইখানে মালামাল লোড-আনলোড করতে যান কাভার্ডভ্যান চালক মো. শাহজাহান।
বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছে না। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে তিনি ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদে থাকলেও তাঁদের বাড়ি ফটিকছড়িতে। গত রোববার সকাল থেকে প্রথমে সীতাকুণ্ডে তারপর চমেকে খোঁজাখুঁজির পরও খোঁজ মেলেনি শাহজাহানের। এবার তাই শাহজাহানের খোঁজ পেতে ডিএনএর নমুনা দেয় তাঁর ছয় বছরের ছেলে রিহান আহমেদ। তাকে নিয়ে আসে রিহানের মামা লিটন। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের পর থেকে শাহজাহানের মোবাইল ফোনটি বন্ধ। তাঁর সঙ্গে এক সহকারীরও হদিস মিলছে না। খোঁজ পেতে তাই ছেলের নমুনা দেওয়া হয়েছে। আমরা অন্তত তাঁর মরদেহ হলেও ফিরে পেতে চাই।’
সীতাকুণ্ডের কনটেইনার টার্মিনালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের ২০ জনের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। যাঁদের শরীর প্রায় বিকৃত (বেশির ভাগই দগ্ধ) হয়ে গেছে। তাঁদের শনাক্ত করতে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ইতিমধ্যে ৩৫ জন তাঁদের নমুনা দিয়েছেন। মরদেহ ফিরে পেতে স্বজনদের অপেক্ষা করতে হবে এক মাস বা তারও বেশি।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডির চট্টগ্রাম বিভাগ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ২০ জনের মরদেহ সংরক্ষণ করা আছে। এসব মরদেহের মধ্যে অনেকের মরদেহ পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। আর কারও কারও মাথা, হাত ও পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় সংরক্ষিত আছে। নিয়ম অনুযায়ী ডিএনএর নমুনা ঢাকার ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাতে হয়। কিন্তু গুরুত্ব বিবেচনা করে পুরো সিআইডি টিম চট্টগ্রামে এসে নমুনা সংগ্রহ করছে।
গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩৫ জন স্বজন তাঁদের নমুনা দেন। সিআইডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামীকালও (মঙ্গলবার) নমুনা নেওয়া হবে।
সিআইডি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক) মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটু বেশি পুড়ে যাওয়ায় পরিচয় না পাওয়া এসব মরদেহের ডিএনএ চমেকে সংরক্ষিত আছে। ওই সব ডিএনএর সঙ্গে মরদেহ খুঁজে না পাওয়া স্বজনদের ডিএনএর নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
ডিএনএ মিলে গেলে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তবে এসব প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে এক মাস বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা মা-বাবা, ভাইবোন এবং ছেলেমেয়ের ডিএনএ নিচ্ছি। দুই ধরনের ডিএনএ নেওয়া হয়। একটি হলো মরদেহের ডিএনএ, যেটিকে ক্রাইম সিনও বলা হয়। আরেকটি হলো রেফারেন্স ডিএনএ। যেগুলো আত্মীয়স্বজন থেকে নেওয়া হয়। ক্রাইম সিন রেফারেন্সের সঙ্গে রেফারেন্সের নমুনা মিলে যায় তাহলে মরদেহটি ওই পরিবারের। এ জন্য রেফারেন্স নমুনার সঙ্গে পরিচয় না পাওয়া ২০ মরদেহের ম্যাচিং করা হবে। যেটিতে মিলে যায়, মরদেহটি ওই পরিবারের।’
জিহ্বা বা মুখের লালা, রক্ত এমনকি শরীরের ঘাম বা টুপির সঙ্গে লেগে থাকা ঘামও শনাক্তের জন্য যথেষ্ট জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একজন ব্যক্তির যা-ই নেন, একই ডিএনএ পাওয়া যাবে। তাই এখানে স্বজনদের কারও যদি মরদেহ থাকে তাহলে শতভাগ পরিচয় শনাক্ত হবে।
দিকে চমেকে সকাল ৯টা থেকে যখন সিআইডি ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ শুরু করা হয়, তখন বাড়তে থাকে বিস্ফোরণের পর নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের ভিড়। যত সময় লাগুক তাঁরা সবাই অন্তত মরদেহ ফিরে পেতে চান।
যে ডিপোতে আগুন, ওইখানে মালামাল লোড-আনলোড করতে যান কাভার্ডভ্যান চালক মো. শাহজাহান।
বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছে না। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে তিনি ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদে থাকলেও তাঁদের বাড়ি ফটিকছড়িতে। গত রোববার সকাল থেকে প্রথমে সীতাকুণ্ডে তারপর চমেকে খোঁজাখুঁজির পরও খোঁজ মেলেনি শাহজাহানের। এবার তাই শাহজাহানের খোঁজ পেতে ডিএনএর নমুনা দেয় তাঁর ছয় বছরের ছেলে রিহান আহমেদ। তাকে নিয়ে আসে রিহানের মামা লিটন। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের পর থেকে শাহজাহানের মোবাইল ফোনটি বন্ধ। তাঁর সঙ্গে এক সহকারীরও হদিস মিলছে না। খোঁজ পেতে তাই ছেলের নমুনা দেওয়া হয়েছে। আমরা অন্তত তাঁর মরদেহ হলেও ফিরে পেতে চাই।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫