আজিজুর রহমান, চৌগাছা (যশোর)
যশোর অঞ্চলের ৬ জেলার ৩১ উপজেলায় টেকসই কৃষি সম্প্রসারণের জন্য প্রকল্প নিয়েছে সরকার। গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭১ কোটি ৩২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
‘যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ’ নামের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুরের ৩১ উপজেলায়। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে উচ্চ ফলনশীল ও জলবায়ু অভিঘাতসহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন সম্ভব হবে এবং উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর আওতায় ৩৪ হাজার ৬৬২টি কৃষিপ্রযুক্তি প্রদর্শনী, ৬২টি কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র নির্মাণ, ৩১৮টি বিদ্যুৎবিহীন কুলিং চেম্বার নির্মাণ, ৯৩টি কৃষিপ্রযুক্তি মেলা, কৃষকদের নিয়ে ১২৪টি উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ, ৩ হাজার ৪৬৬টি মাঠ দিবস আয়োজন, ২ হাজার ৬৯২টি অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের আয়োজন এবং ৩০ হাজার ৯৫৯টি কৃষি সরঞ্জাম কেনা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ২৮ হাজার ৬২০ কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতা বাড়ানো ও ব্যয় সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় উচ্চমূল্যের নিরাপদ ফসল উৎপাদন ১৫ শতাংশ বাড়বে। এ ছাড়া উৎপাদনব্যয় ২০ শতাংশ কমে যাওয়ায় লাভের হার আরও বেড়ে যাবে। কৃষকের দক্ষতা বাড়লে ফসলের ক্ষতি ১৫ শতাংশ কমে যাবে। পাশাপাশি খোরপোশ কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে ১ হাজার ৮০০ তরুণ ও নারী কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি হবে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবের পর গত ৯ মার্চ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। এরপর গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
প্রকল্পভুক্ত কয়েকটি জেলার কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প নেওয়ার আগে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে প্রকল্পের ঝুঁকি হিসেবে যশোর অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত, ঘূর্ণিঝড় বেড়ে যাওয়া এবং ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াকে চিহ্নিত করা হয়। তবে এসব ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও প্রযুক্তি সরবরাহ, বারিড পাইপ সেচ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, নিরাপদ উপায়ে চারা উৎপাদন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের সুপারিশ করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মো. নূরুজ্জামান বলেন, যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি সম্প্রসারণে একনেকে একটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। শিগগিরই এর বাস্তবায়ন শুরু হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক বিভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, যশোর অঞ্চলের ছয় জেলায় বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফুল এবং ফলের চাষ হয়। তা ছাড়া অসময়ের সবজিও উৎপাদন হয় অনেক। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কৃষকেরা অল্প খরচে ফসল উৎপাদন করতে পারবেন। এ ছাড়া ফসল নষ্টের হারও কমে আসবে। ফলে এ অঞ্চলের কৃষকেরা অনেক লাভবান হবেন।
যশোর অঞ্চলের ৬ জেলার ৩১ উপজেলায় টেকসই কৃষি সম্প্রসারণের জন্য প্রকল্প নিয়েছে সরকার। গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭১ কোটি ৩২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
‘যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ’ নামের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুরের ৩১ উপজেলায়। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে উচ্চ ফলনশীল ও জলবায়ু অভিঘাতসহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন সম্ভব হবে এবং উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর আওতায় ৩৪ হাজার ৬৬২টি কৃষিপ্রযুক্তি প্রদর্শনী, ৬২টি কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র নির্মাণ, ৩১৮টি বিদ্যুৎবিহীন কুলিং চেম্বার নির্মাণ, ৯৩টি কৃষিপ্রযুক্তি মেলা, কৃষকদের নিয়ে ১২৪টি উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ, ৩ হাজার ৪৬৬টি মাঠ দিবস আয়োজন, ২ হাজার ৬৯২টি অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের আয়োজন এবং ৩০ হাজার ৯৫৯টি কৃষি সরঞ্জাম কেনা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ২৮ হাজার ৬২০ কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতা বাড়ানো ও ব্যয় সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় উচ্চমূল্যের নিরাপদ ফসল উৎপাদন ১৫ শতাংশ বাড়বে। এ ছাড়া উৎপাদনব্যয় ২০ শতাংশ কমে যাওয়ায় লাভের হার আরও বেড়ে যাবে। কৃষকের দক্ষতা বাড়লে ফসলের ক্ষতি ১৫ শতাংশ কমে যাবে। পাশাপাশি খোরপোশ কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে ১ হাজার ৮০০ তরুণ ও নারী কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি হবে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবের পর গত ৯ মার্চ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। এরপর গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
প্রকল্পভুক্ত কয়েকটি জেলার কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প নেওয়ার আগে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে প্রকল্পের ঝুঁকি হিসেবে যশোর অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত, ঘূর্ণিঝড় বেড়ে যাওয়া এবং ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াকে চিহ্নিত করা হয়। তবে এসব ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও প্রযুক্তি সরবরাহ, বারিড পাইপ সেচ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, নিরাপদ উপায়ে চারা উৎপাদন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের সুপারিশ করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মো. নূরুজ্জামান বলেন, যশোর অঞ্চলের টেকসই কৃষি সম্প্রসারণে একনেকে একটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। শিগগিরই এর বাস্তবায়ন শুরু হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক বিভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, যশোর অঞ্চলের ছয় জেলায় বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফুল এবং ফলের চাষ হয়। তা ছাড়া অসময়ের সবজিও উৎপাদন হয় অনেক। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কৃষকেরা অল্প খরচে ফসল উৎপাদন করতে পারবেন। এ ছাড়া ফসল নষ্টের হারও কমে আসবে। ফলে এ অঞ্চলের কৃষকেরা অনেক লাভবান হবেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪