রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের একটি নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্প্রতি তড়িঘড়ি করে শেষ করা হয়েছে। ডিসি আবদুল জলিলের বদলির আদেশ হওয়ার পর অস্বাভাবিক গতিতে এই প্রক্রিয়া শেষ করে চতুর্থ শ্রেণির ছয়জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডিসির কার্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের আত্মীয়স্বজনেরাই এসব চাকরি পেয়ে গত রোববার কাজে যোগ দিয়েছেন।
এই নিয়োগ নিয়ে বিদায়ী ডিসি আবদুল জলিলের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে তড়িঘড়ি এবং বদলির আদেশের পরও নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক হওয়া প্রসঙ্গে কয়েক দিন আগে তিনি বলেছিলেন, ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনেক আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল। আমার পরে যে ডিসি আসবেন, তাঁকে পেইন দিতে চাই না। তাই নিয়োগপ্রক্রিয়াটা শেষ করছি।’
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও নিয়োগ কমিটির সমন্বয়ক মুহাম্মদ শরিফুল হক। তিনি বলেন, ‘বিদায়ী জেলা প্রশাসক রাজশাহীর জন্য অনেক কিছু করেছেন। তিনি স্বচ্ছভাবেই সব নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করেছেন।’ কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্তরা কর্মচারীদের আত্মীয়স্বজন এবং ডিসির স্ত্রীর গাড়িচালক, এ নিয়ে জানতে চাইলে শরিফুল হক বলেন, ‘কে কার আত্মীয় সেটা আমি জানি না।’
জানা গেছে, ডিসি আবদুল জলিল রাজশাহীতে দুই বছরের বেশি সময় থেকে তাঁর কার্যালয়ে মোট ১২২ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর বদলির আদেশের পর শেষ ধাপে যে ছয়জন নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা হলেন অফিস সহায়ক পদে রিপন হোসেন, ফাইম আহম্মেদ, আবদুর রোহান ও আলী আহাম্মেদ; নিরাপত্তাপ্রহরী পদে মো. শাহ আলম এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে অজয় কুমার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাকরি পাওয়া রিপন হোসেনের ডাকনাম শামীম। তিনি ডিসি আবদুল জলিলের স্ত্রীর গাড়িচালক ছিলেন। ফাইম ডিসির বাংলোর নাজির নূর আহমেদ টিপুর ভাতিজা। আলী আহাম্মেদ ডিসির কার্যালয়ের ভিপি শাখার অফিস সহকারী মো. মনজুরের ভাতিজা। আর অজয় কুমার ডিসির কার্যালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মী শম্ভু নাথের ছেলে। চাকরি পাওয়া শাহ আলম ও আবদুর রোহানের ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এ তিনটি পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছিল গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। এরপর গত ১২ মার্চ ডিসি আবদুল জলিলের বদলির আদেশ হয়। তাঁর জায়গায় নাটোরের ডিসি শামীম আহম্মেদকে পদায়ন করা হয়। এই বদলির আদেশ হওয়ার পরে নিয়োগপ্রক্রিয়াটা শেষ করতে তড়িঘড়ি শুরু হয়। আবেদনের সময় শেষ হওয়ার পরে মাত্র আট দিনেই নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ হয়।
এদিকে বদলির আদেশ হওয়ার পরও ডিসি আবদুল জলিল নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করেন রোববার (২ এপ্রিল) পর্যন্ত। এ দিনই যোগদান করেন নতুন নিয়োগ পাওয়া ছয় কর্মচারী। পরদিন সোমবার ডিসি আবদুল জলিল অফিস করেননি। আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) তাঁর রাজশাহী থেকে চলে যাওয়ার কথা।
ডিসির কার্যালয় থেকে জানা গেছে, চারজন অফিস সহায়ক এবং একজন করে নিরাপত্তাপ্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাক পান অফিস সহায়ক পদের মাত্র ২০ জন এবং অন্য দুই পদের প্রতিটিতে ৫ জন করে। মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের পর তিন পদে ৬ জনকে এসএ শাখায় নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিন পদে মোট ছয়জন লোকবল নিয়োগের আবেদনের শেষ তারিখ ছিল গত ১৬ মার্চ। এরপর ১৭ ও ১৮ মার্চ শুক্র ও শনিবার হওয়ার কারণে ছুটি ছিল। পরদিন ১৯ মার্চ অর্থাৎ আবেদনের তারিখ শেষ হওয়ার ঠিক পরের কার্যদিবসেই চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ডাকযোগে প্রবেশপত্র পাঠানো হয়। এতে পরীক্ষার তারিখ উল্লেখ করা হয় ২৪ মার্চ। সেদিন লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। ডিসির বিদায় বেলায় তড়িঘড়ি করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ হয়।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের একটি নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্প্রতি তড়িঘড়ি করে শেষ করা হয়েছে। ডিসি আবদুল জলিলের বদলির আদেশ হওয়ার পর অস্বাভাবিক গতিতে এই প্রক্রিয়া শেষ করে চতুর্থ শ্রেণির ছয়জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডিসির কার্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের আত্মীয়স্বজনেরাই এসব চাকরি পেয়ে গত রোববার কাজে যোগ দিয়েছেন।
এই নিয়োগ নিয়ে বিদায়ী ডিসি আবদুল জলিলের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে তড়িঘড়ি এবং বদলির আদেশের পরও নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক হওয়া প্রসঙ্গে কয়েক দিন আগে তিনি বলেছিলেন, ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনেক আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল। আমার পরে যে ডিসি আসবেন, তাঁকে পেইন দিতে চাই না। তাই নিয়োগপ্রক্রিয়াটা শেষ করছি।’
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও নিয়োগ কমিটির সমন্বয়ক মুহাম্মদ শরিফুল হক। তিনি বলেন, ‘বিদায়ী জেলা প্রশাসক রাজশাহীর জন্য অনেক কিছু করেছেন। তিনি স্বচ্ছভাবেই সব নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করেছেন।’ কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্তরা কর্মচারীদের আত্মীয়স্বজন এবং ডিসির স্ত্রীর গাড়িচালক, এ নিয়ে জানতে চাইলে শরিফুল হক বলেন, ‘কে কার আত্মীয় সেটা আমি জানি না।’
জানা গেছে, ডিসি আবদুল জলিল রাজশাহীতে দুই বছরের বেশি সময় থেকে তাঁর কার্যালয়ে মোট ১২২ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর বদলির আদেশের পর শেষ ধাপে যে ছয়জন নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা হলেন অফিস সহায়ক পদে রিপন হোসেন, ফাইম আহম্মেদ, আবদুর রোহান ও আলী আহাম্মেদ; নিরাপত্তাপ্রহরী পদে মো. শাহ আলম এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে অজয় কুমার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাকরি পাওয়া রিপন হোসেনের ডাকনাম শামীম। তিনি ডিসি আবদুল জলিলের স্ত্রীর গাড়িচালক ছিলেন। ফাইম ডিসির বাংলোর নাজির নূর আহমেদ টিপুর ভাতিজা। আলী আহাম্মেদ ডিসির কার্যালয়ের ভিপি শাখার অফিস সহকারী মো. মনজুরের ভাতিজা। আর অজয় কুমার ডিসির কার্যালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মী শম্ভু নাথের ছেলে। চাকরি পাওয়া শাহ আলম ও আবদুর রোহানের ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এ তিনটি পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছিল গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। এরপর গত ১২ মার্চ ডিসি আবদুল জলিলের বদলির আদেশ হয়। তাঁর জায়গায় নাটোরের ডিসি শামীম আহম্মেদকে পদায়ন করা হয়। এই বদলির আদেশ হওয়ার পরে নিয়োগপ্রক্রিয়াটা শেষ করতে তড়িঘড়ি শুরু হয়। আবেদনের সময় শেষ হওয়ার পরে মাত্র আট দিনেই নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ হয়।
এদিকে বদলির আদেশ হওয়ার পরও ডিসি আবদুল জলিল নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করেন রোববার (২ এপ্রিল) পর্যন্ত। এ দিনই যোগদান করেন নতুন নিয়োগ পাওয়া ছয় কর্মচারী। পরদিন সোমবার ডিসি আবদুল জলিল অফিস করেননি। আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) তাঁর রাজশাহী থেকে চলে যাওয়ার কথা।
ডিসির কার্যালয় থেকে জানা গেছে, চারজন অফিস সহায়ক এবং একজন করে নিরাপত্তাপ্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাক পান অফিস সহায়ক পদের মাত্র ২০ জন এবং অন্য দুই পদের প্রতিটিতে ৫ জন করে। মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের পর তিন পদে ৬ জনকে এসএ শাখায় নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিন পদে মোট ছয়জন লোকবল নিয়োগের আবেদনের শেষ তারিখ ছিল গত ১৬ মার্চ। এরপর ১৭ ও ১৮ মার্চ শুক্র ও শনিবার হওয়ার কারণে ছুটি ছিল। পরদিন ১৯ মার্চ অর্থাৎ আবেদনের তারিখ শেষ হওয়ার ঠিক পরের কার্যদিবসেই চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ডাকযোগে প্রবেশপত্র পাঠানো হয়। এতে পরীক্ষার তারিখ উল্লেখ করা হয় ২৪ মার্চ। সেদিন লিখিত পরীক্ষার পর মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। ডিসির বিদায় বেলায় তড়িঘড়ি করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ হয়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪