Ajker Patrika

তেঁতুলিয়ায় মরিচখেতে পচন রোগে দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ মে ২০২২, ১৮: ২৫
Thumbnail image

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় মরিচখেতে দেখা দিয়েছে টেপা পচা (অ্যানথ্রাক্সনস), পচড়াসহ বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ। স্প্রে করেও ফল পাচ্ছেন না কৃষকেরা। খেত থেকে তোলার মুহূর্তে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ দেখা দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের চাষিরা। লোকসানের আশঙ্কা তাঁদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা জমি থেকে মরিচ তুলে বিভিন্ন সড়ক, চাতাল কিংবা ঘরের টিনের ওপর শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু হঠাৎ করে মরিচে রোগ দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া ভারী বর্ষণেও মরিচখেতের ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।

এদিকে, উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে শুকনো মরিচ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকা দরে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ৭০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল মোট ১ হাজার ৪০০ হেক্টরে।

কথা হলে উপজেলার বুড়বুড়ি এলাকার কৃষক হবিবর রহমান জানান, এবার এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। এবার উৎপাদন খরচও আগের চেয়ে বেশি হয়েছে। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো বাজার দর পেয়ে লাভবান হওয়ার আশা ছিল তাঁর। কিন্তু হঠাৎ করে খেতে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

উপজেলার বাংলাবান্ধা এলাকার কৃষক নকিবুল ইসলাম বলেন, এ বছর মরিচের ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ রোগ দেখা দিয়েছে। স্প্রে করেও ফল মিলছে না।

উপজেলার দেবনগড় এলাকার কৃষক আবু সায়েম বলেন, ‘লাভের আশায় দুই বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে চরম বিপাকে পড়েছি। রোগ দেখা দেওয়ায় খেতেই গাছ থেকে মরিচ পচে পড়ে যাচ্ছে। রোগ দমানো না গেলে এবার বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় টেপা পচা (অ্যানথ্রাক্সনস), পচড়াসহ বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের কথা কৃষকদের কাছে শুনেছি। মরিচের রোগ দমনে কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত