Ajker Patrika

অধ্যক্ষের পরামর্শ: সব বিষয়কে সমান গুরুত্ব দিতে হবে

জুবায়ের আহম্মেদ
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১৫: ০৬
Thumbnail image

২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা, তোমাদের শুভেচ্ছা জানাই। এবার তোমরা খুবই কম সময় পেয়েছ। এক বছরের একটু বেশি। সংক্ষিপ্ত বা পরিমার্জিত সিলেবাস থেকে পরীক্ষা হবে। আশা করি তোমরা নিশ্চয়ই ভালো প্রস্তুতি নিয়েছ। সব বিষয়কে সমান গুরুত্ব দিয়েই প্রস্তুতি নিয়েছ। সামনে পরীক্ষার যে কদিন আছে, একটু সতর্ক থাকবে। দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তাই অসুস্থ হয়ে পড়লে তোমরা এই পরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। আশা করি তোমরা সতর্ক থাকবে, যাতে কোনোভাবেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত না হও। অন্যদিকে তোমরা একটু পরিমিত বিশ্রাম করবে। অতিরিক্ত পড়াশোনার এখন আর সময় নেই। রাতে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমাবে। অতি রাত জেগে পোড়ো না। বেশি রাত জেগে পড়লে অনেক কিছু ভুলে যাবে। শরীর ক্লান্ত হয়ে যাবে বা অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই শেষ দিকে যা না পড়লেই নয়, সেটুকু পড়বে। রিভিশন দেবে বা চোখ বুলিয়ে যাবে। অন্যদিকে খাবারদাবারের দিকে তোমরা লক্ষ রাখবে। যে ধরনের খাবার খেলে সুস্থ থাকবে তা খাবে। আবার কেউ না খেয়েও থাকবে না। এতে করে অল্পতে ক্লান্ত হয়ে যাবে।

পরীক্ষার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হবে। রেজিস্ট্রেশন কার্ড, অ্যাডমিট কার্ডসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র পরীক্ষার হলে নিয়ে যেতে ভুলবে না। আগের দিন রাতে এসব গুছিয়ে রাখবে। যথেষ্ট সময় নিয়েই পরীক্ষার হলের উদ্দেশে রওনা দেবে, যাতে করে রাস্তাঘাটের যানজটের কারণে দেরি না হয়। পরীক্ষার হলে বরাদ্দকৃত সময়টুকু প্ল্যান করে নাও—কীভাবে কোন সময়ের মধ্যে প্রশ্নের উত্তরগুলো লিখে ফেলবে। শেষে একটু সময় রাখবে রিভিশন দেওয়ার জন্য। পরীক্ষার হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ। তিন ঘণ্টার পরীক্ষায় যাতে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারো, সেদিকে খেয়াল রাখবে। বাবা-মায়েরাও আশা করি এই সময় সন্তানদের সহযোগিতা করবেন, যাতে করে বাড়ির ভেতরে একটা সুন্দর পরিবেশ থাকে। অভিভাবকদের বলি, এই সময়ে যাতে ওদের খাবারদাবার, ঘুম, বিশ্রামের ব্যাপারে বাড়তি যত্ন নেন। রাত ১১টার মধ্যে যাতে ঘুমায় এবং সকালে ওঠে—সেদিকে নজর রাখতে হবে। ওরা তো বাচ্চা মানুষ, অনেক সময় পরীক্ষার টেনশনে থাকে। বাবা-মায়েদের এই সময়ে সাপোর্টিভ হতে হবে। বাচ্চারা এই সময়ে নার্ভাস থাকে। অভিভাবকেরা সন্তানকে পরীক্ষার হলে পৌঁছে দেবেন। অসুস্থ হলে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক সুস্থ থেকে যাতে পরীক্ষা দেওয়া যায়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে কোনো পরীক্ষা মিস না হয়। সব বিষয় সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আর এখন প্রতিযোগিতার যুগ। পরবর্তী ধাপে ভর্তি হওয়ার জন্য সব বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। সব বিষয়েই ভালো ফলাফল করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট নম্বর পেতে হবে। ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়তে গেলে ভালো নম্বর পেতে হবে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি শুভকামনা। তোমরা ভালোভাবে পরীক্ষা দাও। 

ড. ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও, অধ্যক্ষ, নটর ডেম কলেজ, ঢাকা। 

অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত