অভিজিৎ সাহা, নালিতাবাড়ী (শেরপুর)
‘বান্ধ (বাঁধ) ভাইঙা ঘরে পানি উঠছিল কদিন আগেই। তখন পুলাপান লইয়া প্রাইমারি স্কুলের বারান্দায় আছিলাম তিন দিন। আবার ঢলের পানি আইলে হয়তো ঘরটাই ভাসায়া নিব। আর কত চোখের পানি ফালাইলে এই বান্ধের দেহা পামু?’ কথাগুলো বলছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরশহরের উত্তর গড়কান্দা মহল্লার বাসিন্দা চাতালশ্রমিক আয়েশা বেগম।
পাহাড়ি ঢলে নালিতাবাড়ী পৌরশহরের উত্তর গড়কান্দা মহল্লায় ভোগাই নদীতে শহর রক্ষা বাঁধে ১১০ মিটারজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সময় পেরিয়ে গেলেও ভাঙন অংশ সংস্কার না হওয়ায় ফের পাহাড়ি ঢলের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাঁধ সংস্কারের কাজ গত ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজটি আটকে রয়েছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, পাইলিং ও জিও ব্যাগ প্রস্তুত করা হয়েছে আগেই। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে ভাঙন অংশে বস্তা ফেলার কাজ শুরু হবে।
পাউবো, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পানিতে গত ১৯ জুন ভোগাই নদীতে ঢল নামে। স্রোতে শহরের উত্তর গড়কান্দা এলাকায় নদীর ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে যায়। এই ভাঙা অংশ দিয়ে ঢলের পানিতে চার মহল্লার প্রায় ৭০০ ঘর পানিবন্দী হয়। এ সময় অনেক পরিবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায়, অনেকে আবার আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
এ বাঁধ সংস্কারে পাউবোর পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১১০ মিটার বাঁধ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩৮ লাখ টাকা। এ কাজের দায়িত্ব পায় রিফাত এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাঁধ সংস্কারে গত ৪ মে কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৭ জুন ফের পাহাড়ি ঢলে এই ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে উত্তর গড়কান্দা, গড়কান্দা, গুনাপাড়া ও শিমুলতলা মহল্লায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে উত্তর গড়কান্দা এলাকায় ৫০০ মিটার সড়ক পানিতে ডুবে যায়। বর্তমানে এসব মহল্লা থেকে ঢলের পানি নেমে যায়। কিন্তু বাঁধটি সংস্কার না হওয়ায় ফের ঢলের আশঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, বাঁধের ভাঙা অংশে নদীতে ১৮৩টি স্থানে ১৬০টি গাছের খুঁটি পুঁতে পাইলিং করা হয়েছে। ৪ হাজার ৩৫০টি জিও ব্যাগ ফেলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাগগুলো পড়ে থাকায় অনেক ব্যাগ নষ্টও হয়ে গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো কাজ করছে না। ঈদের আগে কাজ করা হলেও ঈদের পর এখনো কাজ শুরু করা হয়নি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিফাত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যে নদীতে পাইলিং করতে গাছের গুঁড়ি পোঁতা হয়েছে। ৪ হাজার ৩৫০টি জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে ভাঙন অংশে বস্তা ফেলা হবে।’
পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘১১০ মিটার বাঁধ সংস্কারকাজ ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজটি আটকে রয়েছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার চিঠিও দেওয়া হয়েছে।’
‘বান্ধ (বাঁধ) ভাইঙা ঘরে পানি উঠছিল কদিন আগেই। তখন পুলাপান লইয়া প্রাইমারি স্কুলের বারান্দায় আছিলাম তিন দিন। আবার ঢলের পানি আইলে হয়তো ঘরটাই ভাসায়া নিব। আর কত চোখের পানি ফালাইলে এই বান্ধের দেহা পামু?’ কথাগুলো বলছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরশহরের উত্তর গড়কান্দা মহল্লার বাসিন্দা চাতালশ্রমিক আয়েশা বেগম।
পাহাড়ি ঢলে নালিতাবাড়ী পৌরশহরের উত্তর গড়কান্দা মহল্লায় ভোগাই নদীতে শহর রক্ষা বাঁধে ১১০ মিটারজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সময় পেরিয়ে গেলেও ভাঙন অংশ সংস্কার না হওয়ায় ফের পাহাড়ি ঢলের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাঁধ সংস্কারের কাজ গত ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজটি আটকে রয়েছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, পাইলিং ও জিও ব্যাগ প্রস্তুত করা হয়েছে আগেই। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে ভাঙন অংশে বস্তা ফেলার কাজ শুরু হবে।
পাউবো, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পানিতে গত ১৯ জুন ভোগাই নদীতে ঢল নামে। স্রোতে শহরের উত্তর গড়কান্দা এলাকায় নদীর ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে যায়। এই ভাঙা অংশ দিয়ে ঢলের পানিতে চার মহল্লার প্রায় ৭০০ ঘর পানিবন্দী হয়। এ সময় অনেক পরিবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায়, অনেকে আবার আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
এ বাঁধ সংস্কারে পাউবোর পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১১০ মিটার বাঁধ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩৮ লাখ টাকা। এ কাজের দায়িত্ব পায় রিফাত এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাঁধ সংস্কারে গত ৪ মে কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৭ জুন ফের পাহাড়ি ঢলে এই ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে উত্তর গড়কান্দা, গড়কান্দা, গুনাপাড়া ও শিমুলতলা মহল্লায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে উত্তর গড়কান্দা এলাকায় ৫০০ মিটার সড়ক পানিতে ডুবে যায়। বর্তমানে এসব মহল্লা থেকে ঢলের পানি নেমে যায়। কিন্তু বাঁধটি সংস্কার না হওয়ায় ফের ঢলের আশঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, বাঁধের ভাঙা অংশে নদীতে ১৮৩টি স্থানে ১৬০টি গাছের খুঁটি পুঁতে পাইলিং করা হয়েছে। ৪ হাজার ৩৫০টি জিও ব্যাগ ফেলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাগগুলো পড়ে থাকায় অনেক ব্যাগ নষ্টও হয়ে গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো কাজ করছে না। ঈদের আগে কাজ করা হলেও ঈদের পর এখনো কাজ শুরু করা হয়নি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিফাত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যে নদীতে পাইলিং করতে গাছের গুঁড়ি পোঁতা হয়েছে। ৪ হাজার ৩৫০টি জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে ভাঙন অংশে বস্তা ফেলা হবে।’
পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘১১০ মিটার বাঁধ সংস্কারকাজ ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজটি আটকে রয়েছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার চিঠিও দেওয়া হয়েছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪