Ajker Patrika

খোকসায় গমের বাম্পার ফলন, দামে খুশি কৃষক

মো. মাহবুব-উল-আহসান উল্লাস, খোকসা (কুষ্টিয়া) 
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২২, ১২: ৪১
Thumbnail image

কুষ্টিয়ার খোকসায় মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে গমের সোনালি শিষ। চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলনে কৃষকের চোখে-মুখে ফুটেছে হাসি। কৃষক-কৃষাণীরা এখন গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ বছর আশাতীত ফলন ও বাজার দামে খুশি তাঁরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৬৭০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার থেকেও ১৪০ হেক্টর বেশি জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। উপজেলা এবার ব্লাস্ট-প্রতিরোধী গমের জাত বারি ৩০,৩২ ও ৩৩ এর আবাদ বেশি হয়েছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত নতুন এসব জাত ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে শতভাগ কার্যকর।

কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ২৮টি ব্লকের মধ্যে এবার গমের সর্বোচ্চ আবাদ হয়েছে শিমুলিয়া ইউনিয়নে (১১৫ হেক্টর)। এ ছাড়া জয়ন্তীহাজরায় ৮০, বেতবাড়িয়ায় ৭৫, শোমসপুরে ৮০, ওসমানপুরে ৬০, আমবাড়িয়ায় ৬০, গোপগ্রামে ৬৫, খোকসায় ৫০, জানিপুরে ৪৫ এবং পৌরসভায় ৪০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে।

গম কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শোমসপুর ইউনিয়নের পদ্মবিলা গ্রামের কৃষক মো. হাসেম মোল্লা। তিনি বলেন, গমের বীজ বপনের পর খুব বেশি সেচ ও সার প্রয়োগ করতে হয় না। ফলে গম চাষে কম খরচে বেশি লাভবান হন কৃষক। তিনি আরও বলেন, এ বছর বিঘাপ্রতি গম চাষে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে আমার। এবার বিঘায় ১৫ থেকে ১৬ মণ গম হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যার বর্তমান বাজারমূল্য ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিলে লাভের অংশ দাঁড়ায় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। হাসেম মোল্লা বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এ বছর বিনা মূল্যে উন্নত জাতের গমের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তদারকি করেছেন।

উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বললেন, ‘এ বছর দুই একর জমিতে বারি ৩০,৩২ ও ৩৩ জাতের গম আবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের উৎপাদন অনেক ভালো হয়েছে। দাম ভালো। আশা করছি, লাভবান হব।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা বলেন, ‘কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ এবং ব্লাস্ট প্রতিরোধী তাপমাত্রা সহিষ্ণু উন্নত বারি জাতের বীজ, সার এবং বিভিন্ন উপকরণ দেওয়ায় এ বছর গমের আবাদ বেশি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গম কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। শ্রমিক সংকট হওয়ায় কম্বাইন্ড হারভেস্টর কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। হারভেস্টর মেশিন দিয়ে গম কাটা ও মাড়াইয়ে কৃষকের খরচ ও শ্রম কমবে। এতে কৃষকেরা লাভবান হবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত