নুরুল আলম, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সংগ্রামী চার নারীকে জয়িতা ঘোষণা করা হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মিরসরাই উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয় এই স্বীকৃতি দিয়েছে। তাঁরা হলেন সাহেদা আক্তার, লুৎফুন নাহার, মনজুরা আক্তার ও মোসাম্মৎ জরিনা বেগম।
গতকাল সোমবার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মেহের আফরোজ বলেন, সমাজের কুসংস্কার, যৌতুক, নারী নির্যাতন, দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রে দমে না যাওয়া ও নির্যাতিতদের সাহস জোগাতে এমন স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সমাজে নারী অধিকার নিয়ে অবদানের মূল্যায়ন করে তাঁদের ২০২০-২১ সালের শ্রেষ্ঠ জয়িতা ঘোষণা করা হয়েছে।
‘অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী’ ক্যাটাগরিতে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন সাহেদা আক্তার। তিনি উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বড় কমলদহ এলাকার মৃত জালাল আহমদ ও সামছুন নাহারের দ্বিতীয় সন্তান। আট বছর বয়সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। পরে তাঁর ডান পা কেটে ফেলা হয়। ২০১৫ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তাঁর বাবা জালাল আহমদ। এরপর ৬ সদস্যের সংসারের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন সাহেদা।
‘সফল জননী নারী’ ক্যাটাগরিতে জয়িতা মনোনীত হয়েছেন লুৎফুন নাহার। তিনি উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিনের স্ত্রী। স্বামীর সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করে সন্তানদের পড়ালেখা চালিয়ে যান তিনি। বর্তমানে তাঁর ৪ মেয়ের মধ্যে ৩ মেয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ১ মেয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। একমাত্র ছেলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
‘নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী’ বিভাগে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন মনজুরা আক্তার। তিনি উপজেলার হাইতকান্দি ইউনিয়নের করুয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীন ও নাছিমা আক্তারের মেয়ে। ২০১২ সালে এসএসসি পাশ করেন মনজুরা আকতার। স্থানীয় নিজামপুর সরকারি কলেজে এইচএসসিতে পড়ার সময় তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁর একটি ছেলে হয়। তবে তাঁর স্বামী ছিলেন যৌতুকলোভী।
‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী’ ক্যাটাগরিতে জয়িতা মনোনীত হয়েছেন মোসাম্মৎ জরিনা বেগম। তিনি মিরসরাই সদর ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী। বিগত ২০১১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত-১ (১,২, ৩) ওয়ার্ডে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালেও পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি।
স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সংগ্রামী চার নারীকে জয়িতা ঘোষণা করা হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মিরসরাই উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয় এই স্বীকৃতি দিয়েছে। তাঁরা হলেন সাহেদা আক্তার, লুৎফুন নাহার, মনজুরা আক্তার ও মোসাম্মৎ জরিনা বেগম।
গতকাল সোমবার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মেহের আফরোজ বলেন, সমাজের কুসংস্কার, যৌতুক, নারী নির্যাতন, দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রে দমে না যাওয়া ও নির্যাতিতদের সাহস জোগাতে এমন স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সমাজে নারী অধিকার নিয়ে অবদানের মূল্যায়ন করে তাঁদের ২০২০-২১ সালের শ্রেষ্ঠ জয়িতা ঘোষণা করা হয়েছে।
‘অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী’ ক্যাটাগরিতে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন সাহেদা আক্তার। তিনি উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বড় কমলদহ এলাকার মৃত জালাল আহমদ ও সামছুন নাহারের দ্বিতীয় সন্তান। আট বছর বয়সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। পরে তাঁর ডান পা কেটে ফেলা হয়। ২০১৫ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তাঁর বাবা জালাল আহমদ। এরপর ৬ সদস্যের সংসারের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন সাহেদা।
‘সফল জননী নারী’ ক্যাটাগরিতে জয়িতা মনোনীত হয়েছেন লুৎফুন নাহার। তিনি উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিনের স্ত্রী। স্বামীর সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করে সন্তানদের পড়ালেখা চালিয়ে যান তিনি। বর্তমানে তাঁর ৪ মেয়ের মধ্যে ৩ মেয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ১ মেয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। একমাত্র ছেলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
‘নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী’ বিভাগে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন মনজুরা আক্তার। তিনি উপজেলার হাইতকান্দি ইউনিয়নের করুয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীন ও নাছিমা আক্তারের মেয়ে। ২০১২ সালে এসএসসি পাশ করেন মনজুরা আকতার। স্থানীয় নিজামপুর সরকারি কলেজে এইচএসসিতে পড়ার সময় তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁর একটি ছেলে হয়। তবে তাঁর স্বামী ছিলেন যৌতুকলোভী।
‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী’ ক্যাটাগরিতে জয়িতা মনোনীত হয়েছেন মোসাম্মৎ জরিনা বেগম। তিনি মিরসরাই সদর ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী। বিগত ২০১১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত-১ (১,২, ৩) ওয়ার্ডে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালেও পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৯ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪