শিমুল চৌধুরী, ভোলা
ভোলায় সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষাবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অল্প জমি ও পুঁজিতে বেশি লাভবান হওয়ায় নতুন এ পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে নিচু জমিতে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।
পাশাপাশি ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজির ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় উৎসাহিত হচ্ছেন অন্যান্য কৃষকও। এ ছাড়া সর্জন পদ্ধতিতে ১২ মাস জমিতে সবজি আবাদ করা যায়।
এ বিষয়ে ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের খেয়াঘাট এলাকার কৃষক নূর মোহাম্মদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, একসময় জমিতে ধান চাষ করতেন তিনি। নিচু জমি হওয়ায় প্রতিবছরই ঝড়, বন্যা এবং জলাবদ্ধতার কারণে জমিতে ধান চাষ করে আশানুরূপ ফল পাচ্ছিলেন না তিনি। এরপর স্থানীয় বেসরকারি এনজিও গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা নিয়ে সর্জন পদ্ধতিতে সবজি আবাদ শুরু করেন তিনি।
এ পদ্ধতিতে জমি থেকে মাটি কেটে উঁচু করে সারি সারি পাড় বাধা হয়। সেই পাড়ের ওপর টমেটো, কাঁচা মরিচ, লাউ, শিম, ফুলকপিসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়। পাশাপাশি ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজির উৎপাদন করছেন নূর মোহাম্মদ। এখন বছরে ১২ মাস সবজি বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন তিনি।
স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষক নূর মোহাম্মদকে দেখে এ পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত হচ্ছেন অন্যান্য কৃষকেরা। পাশাপাশি তাঁর খেতে কর্মসংস্থান হয়েছে আরও অনেকের।
ওই এলাকার আরেক কৃষক মহসিন মিয়া জানান, তিনি এক সময় কৃষি কাজ করতেন। বিভিন্ন সময় ঝড় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কৃষিকাজ ছেড়ে দেন এক সময়। এখন কৃষক নূর মোহাম্মদের সর্জন পদ্ধতিতে সবজি আবাদ দেখে আবার নতুন করে আবাদ শুরু করার পরিকল্পনা করছেন। প্রতিদিন নূর মোহাম্মদের খেতে এসে তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. নাসির জানান, তিনি কৃষক ছিলেন। বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখন কৃষক নূর মোহাম্মদের সবজি খেতে কাজ করছেন। এতে করে তিনি তাঁর সংসার খরচ মিটিয়ে পরিবার নিয়ে বেশ ভালো আছেন। শুধু নাসির নয়, কৃষক নূর মোহাম্মদের খেতে এমন আরও অন্তত ২০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।
বেসরকারি এনজিও গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন জানান, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা ৩৫০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা, বীজ ও বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সর্জন পদ্ধতিতে চাষাবাদে আগ্রহ করে তুলেছে। পাশাপাশি ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে কৃষকেরা বিষমুক্ত সবজির উৎপাদন করতে পারছেন।
ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজ হোসেন জানান, এ বছর জেলার সাত উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষাবাদ হয়েছে। এর মাধ্যমে জমিকে তিন ফসলে রূপান্তর করে কৃষক ১২ মাস ফসল উৎপাদন করছেন। এ জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ভোলায় সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষাবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অল্প জমি ও পুঁজিতে বেশি লাভবান হওয়ায় নতুন এ পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে নিচু জমিতে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।
পাশাপাশি ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজির ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় উৎসাহিত হচ্ছেন অন্যান্য কৃষকও। এ ছাড়া সর্জন পদ্ধতিতে ১২ মাস জমিতে সবজি আবাদ করা যায়।
এ বিষয়ে ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের খেয়াঘাট এলাকার কৃষক নূর মোহাম্মদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, একসময় জমিতে ধান চাষ করতেন তিনি। নিচু জমি হওয়ায় প্রতিবছরই ঝড়, বন্যা এবং জলাবদ্ধতার কারণে জমিতে ধান চাষ করে আশানুরূপ ফল পাচ্ছিলেন না তিনি। এরপর স্থানীয় বেসরকারি এনজিও গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা নিয়ে সর্জন পদ্ধতিতে সবজি আবাদ শুরু করেন তিনি।
এ পদ্ধতিতে জমি থেকে মাটি কেটে উঁচু করে সারি সারি পাড় বাধা হয়। সেই পাড়ের ওপর টমেটো, কাঁচা মরিচ, লাউ, শিম, ফুলকপিসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়। পাশাপাশি ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজির উৎপাদন করছেন নূর মোহাম্মদ। এখন বছরে ১২ মাস সবজি বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন তিনি।
স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষক নূর মোহাম্মদকে দেখে এ পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত হচ্ছেন অন্যান্য কৃষকেরা। পাশাপাশি তাঁর খেতে কর্মসংস্থান হয়েছে আরও অনেকের।
ওই এলাকার আরেক কৃষক মহসিন মিয়া জানান, তিনি এক সময় কৃষি কাজ করতেন। বিভিন্ন সময় ঝড় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কৃষিকাজ ছেড়ে দেন এক সময়। এখন কৃষক নূর মোহাম্মদের সর্জন পদ্ধতিতে সবজি আবাদ দেখে আবার নতুন করে আবাদ শুরু করার পরিকল্পনা করছেন। প্রতিদিন নূর মোহাম্মদের খেতে এসে তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. নাসির জানান, তিনি কৃষক ছিলেন। বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখন কৃষক নূর মোহাম্মদের সবজি খেতে কাজ করছেন। এতে করে তিনি তাঁর সংসার খরচ মিটিয়ে পরিবার নিয়ে বেশ ভালো আছেন। শুধু নাসির নয়, কৃষক নূর মোহাম্মদের খেতে এমন আরও অন্তত ২০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।
বেসরকারি এনজিও গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন জানান, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা ৩৫০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা, বীজ ও বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সর্জন পদ্ধতিতে চাষাবাদে আগ্রহ করে তুলেছে। পাশাপাশি ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে কৃষকেরা বিষমুক্ত সবজির উৎপাদন করতে পারছেন।
ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজ হোসেন জানান, এ বছর জেলার সাত উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষাবাদ হয়েছে। এর মাধ্যমে জমিকে তিন ফসলে রূপান্তর করে কৃষক ১২ মাস ফসল উৎপাদন করছেন। এ জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪