আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের ইস্পাত ও সিমেন্ট খাতে ধস নেমেছে। দাম কম থাকলেও বিক্রি কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। এতে ইস্পাত-সিমেন্ট খাতের সব প্রতিষ্ঠানই উৎপাদনের শিফট তিনটি থেকে কমিয়ে একটি বা দুটি করেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৫ আগস্টের পর মেগা প্রকল্প ছাড়াও রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণকাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। আগের সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগ কাজ এখনো চালু হয়নি। অনেক ঠিকাদার কাজ ফেলে লাপাত্তা। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ অনেকেই আধিপত্য হারিয়ে নির্মাণাধীন কিংবা নির্মাণ পরিকল্পনায় থাকা ব্যক্তিগত-বাণিজ্যিক অবকাঠামো এগিয়ে নিচ্ছেন না। এসব কারণে ইস্পাত ও সিমেন্ট খাতের উৎপাদন এবং বিক্রির এই নাজুক পরিস্থিতি।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক তপন সেন গুপ্ত বলেন, ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে নাজুক ইস্পাত খাতের বিক্রি প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে। তাই বাধ্য হচ্ছি উৎপাদন কমিয়ে আনতে।’
বিএসআরএম গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, গ্রুপটির বার্ষিক রড উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৮ লাখ টন। প্রতিষ্ঠানটির মিরসরাইয়ে বিএসআরএম মেল্টিং ইউনিটের ৪টি মডিউলের মধ্যে মাত্র ২টি মডিউলে উৎপাদন চলছে।
এইচএম স্টিল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ সরোয়ার আলম বলেন, ‘দেশের ইস্পাত খাত গত অক্টোবর থেকেই মন্দার কবলে পড়েছে। নির্বাচনের পর পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার কথা থাকলেও ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে আরও বেশি সংকটে পড়েছি আমরা। ইস্পাত কারখানার উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার মানে হচ্ছে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়া। এরপরও সংকট কমে বাজার ভালো হবে, এমন আশায় প্রায় সবাই চাহিদা কমের মধ্যেও বাড়তি উৎপাদন করেছিল। এখন বিক্রি কমে কারখানা ও ওয়্যারহাউসে রডের স্তূপ জমেছে।
বাধ্য হয়ে কারখানার মালিকেরা প্রতিদিন তিন শিফটের পরিবর্তে একটি শিফট কিংবা দুটি শিফটে উৎপাদন চালাচ্ছেন। দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসা করতে হলে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সুযোগ না থাকায় বাড়তি উৎপাদন খরচ সত্ত্বেও কারখানা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।’
দেশের বৃহৎ ইস্পাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বলেন, ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে নাজুক ইস্পাত খাতে সেল অনেক কমে যাওয়ার পাশাপাশি দামও টনপ্রতি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা কমে গেছে।’
ইস্পাত শিল্প সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রধান ইস্পাত পণ্য রডের চাহিদা প্রায় ৬০ লাখ টনেরও বেশি। গত কয়েক মাসের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় রডের চাহিদা কমে নেমেছে অর্ধেকে। এমনিতে বর্ষা মৌসুমে চাহিদা কমার পাশাপাশি অবকাঠামো নির্মাণকাজের স্থবিরতায় সংকট বেড়েছে। এ কারণে দেশের শীর্ষস্থানীয় রড প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো উৎপাদন ৪০-৫০ শতাংশ কমিয়েছে।
সরকারি পর্যায়ে মেগা প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হয়ে আসা, নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীর গতি, সরকারি কাজে অর্থ ছাড় না দেওয়ায় রড ও সিমেন্টের চাহিদা কমে গেছে। তা ছাড়া চুরি, লুটসহ নানান ভয়ের কারণে সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে রড-সিমেন্ট ক্রয়ের হার কমে গেছে।
সিমেন্ট খাত
একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশের সিমেন্ট খাতেও। বার্ষিক ৮ কোটি টনের বেশি উৎপাদন সক্ষমতার দেশীয় কারখানাগুলো অর্ধেক উৎপাদন করত। অর্থাৎ প্রতিবছর দেশে সিমেন্টের চাহিদা ছিল সাড়ে ৩ কোটি থেকে ৪ কোটি টন। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতায় সিমেন্টের চাহিদা ২০-৩০ শতাংশ কমে গেছে।
প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি সিমেন্টের চাহিদা ২০-৩০ শতাংশ কমে গেছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ছাড়াও সম্প্রতি বন্যার কারণেও সিমেন্ট খাতের চাহিদা কমে গেছে। এ ছাড়া প্রতিবছর জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সিমেন্টের চাহিদা কম থাকে।’
এ ছাড়া ডায়মন্ড সিমেন্টের পরিচালক মো. হাকিম আলী রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, সম্প্রতি বন্যার কারণে সিমেন্টের ২০-৩০ শতাংশ চাহিদা কমে যাওয়ার কথা জানান।
সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের ইস্পাত ও সিমেন্ট খাতে ধস নেমেছে। দাম কম থাকলেও বিক্রি কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। এতে ইস্পাত-সিমেন্ট খাতের সব প্রতিষ্ঠানই উৎপাদনের শিফট তিনটি থেকে কমিয়ে একটি বা দুটি করেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৫ আগস্টের পর মেগা প্রকল্প ছাড়াও রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণকাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। আগের সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগ কাজ এখনো চালু হয়নি। অনেক ঠিকাদার কাজ ফেলে লাপাত্তা। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ অনেকেই আধিপত্য হারিয়ে নির্মাণাধীন কিংবা নির্মাণ পরিকল্পনায় থাকা ব্যক্তিগত-বাণিজ্যিক অবকাঠামো এগিয়ে নিচ্ছেন না। এসব কারণে ইস্পাত ও সিমেন্ট খাতের উৎপাদন এবং বিক্রির এই নাজুক পরিস্থিতি।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক তপন সেন গুপ্ত বলেন, ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে নাজুক ইস্পাত খাতের বিক্রি প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে। তাই বাধ্য হচ্ছি উৎপাদন কমিয়ে আনতে।’
বিএসআরএম গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, গ্রুপটির বার্ষিক রড উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৮ লাখ টন। প্রতিষ্ঠানটির মিরসরাইয়ে বিএসআরএম মেল্টিং ইউনিটের ৪টি মডিউলের মধ্যে মাত্র ২টি মডিউলে উৎপাদন চলছে।
এইচএম স্টিল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ সরোয়ার আলম বলেন, ‘দেশের ইস্পাত খাত গত অক্টোবর থেকেই মন্দার কবলে পড়েছে। নির্বাচনের পর পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার কথা থাকলেও ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে আরও বেশি সংকটে পড়েছি আমরা। ইস্পাত কারখানার উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার মানে হচ্ছে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়া। এরপরও সংকট কমে বাজার ভালো হবে, এমন আশায় প্রায় সবাই চাহিদা কমের মধ্যেও বাড়তি উৎপাদন করেছিল। এখন বিক্রি কমে কারখানা ও ওয়্যারহাউসে রডের স্তূপ জমেছে।
বাধ্য হয়ে কারখানার মালিকেরা প্রতিদিন তিন শিফটের পরিবর্তে একটি শিফট কিংবা দুটি শিফটে উৎপাদন চালাচ্ছেন। দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসা করতে হলে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সুযোগ না থাকায় বাড়তি উৎপাদন খরচ সত্ত্বেও কারখানা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।’
দেশের বৃহৎ ইস্পাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বলেন, ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে নাজুক ইস্পাত খাতে সেল অনেক কমে যাওয়ার পাশাপাশি দামও টনপ্রতি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা কমে গেছে।’
ইস্পাত শিল্প সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রধান ইস্পাত পণ্য রডের চাহিদা প্রায় ৬০ লাখ টনেরও বেশি। গত কয়েক মাসের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় রডের চাহিদা কমে নেমেছে অর্ধেকে। এমনিতে বর্ষা মৌসুমে চাহিদা কমার পাশাপাশি অবকাঠামো নির্মাণকাজের স্থবিরতায় সংকট বেড়েছে। এ কারণে দেশের শীর্ষস্থানীয় রড প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো উৎপাদন ৪০-৫০ শতাংশ কমিয়েছে।
সরকারি পর্যায়ে মেগা প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হয়ে আসা, নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীর গতি, সরকারি কাজে অর্থ ছাড় না দেওয়ায় রড ও সিমেন্টের চাহিদা কমে গেছে। তা ছাড়া চুরি, লুটসহ নানান ভয়ের কারণে সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে রড-সিমেন্ট ক্রয়ের হার কমে গেছে।
সিমেন্ট খাত
একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশের সিমেন্ট খাতেও। বার্ষিক ৮ কোটি টনের বেশি উৎপাদন সক্ষমতার দেশীয় কারখানাগুলো অর্ধেক উৎপাদন করত। অর্থাৎ প্রতিবছর দেশে সিমেন্টের চাহিদা ছিল সাড়ে ৩ কোটি থেকে ৪ কোটি টন। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতায় সিমেন্টের চাহিদা ২০-৩০ শতাংশ কমে গেছে।
প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি সিমেন্টের চাহিদা ২০-৩০ শতাংশ কমে গেছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ছাড়াও সম্প্রতি বন্যার কারণেও সিমেন্ট খাতের চাহিদা কমে গেছে। এ ছাড়া প্রতিবছর জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সিমেন্টের চাহিদা কম থাকে।’
এ ছাড়া ডায়মন্ড সিমেন্টের পরিচালক মো. হাকিম আলী রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, সম্প্রতি বন্যার কারণে সিমেন্টের ২০-৩০ শতাংশ চাহিদা কমে যাওয়ার কথা জানান।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫