Ajker Patrika

ট্রেনে বরাদ্দ আসনের ৫-৬ গুণ যাত্রী ময়মনসিংহে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ট্রেনে বরাদ্দ আসনের ৫-৬ গুণ যাত্রী ময়মনসিংহে

ময়মনসিংহ স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন সাতটি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। এর মধ্যে একটি ট্রেন চট্টগ্রামে যায়, অন্য ছয়টি ঢাকা যায়। এই সাতটি আন্তনগর ট্রেনে সব মিলিয়ে ময়মনসিংহ স্টেশনের জন্য বরাদ্দ আসনের সংখ্যার তুলনায় যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। এই সমস্যা নিরসনের জন্য প্রতিটি ট্রেনে ময়মনসিংহ স্টেশনের জন্য আসন বরাদ্দ বৃদ্ধি বা নতুন ট্রেন চালুর দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।

 ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে বলা হয়েছে, টিকিটের তুলনায় যাত্রীচাপ এখন ৫ থেকে ৬ গুণ বেশি থাকে। সংকট নিরসনে নতুন ট্রেন চালু ও কোচ বৃদ্ধি করলে ভালো হয়। ময়মনসিংহ রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা অভিমুখে তিস্তা এক্সপ্রেসে ১৫৩টি, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসে ৭৭টি, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে ৯৯টি, যমুনা এক্সপ্রেসে ১০৭টি, হাওর এক্সপ্রেসে ৪৩টি এবং মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ৪২টি আসনসহ সব মিলিয়ে ৫২১টি আসন বরাদ্দ রয়েছে ময়মনসিংহের যাত্রীদের জন্য।

  আর চট্টগ্রাম অভিমুখী বিজয় এক্সপ্রেসে ২২২টি আসন বরাদ্দ আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রতি ট্রেনে চারটি করে আসন বরাদ্দ থাকে। সাধারণ যাত্রীদের জন্য যে আসনগুলো বরাদ্দ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে প্রথম শ্রেণির আসন খুবই কম। বেশির ভাগই শোভন শ্রেণির আসন। এ নিয়েও যাত্রীদের ক্ষোভ রয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর হওয়ার পর যাত্রীচাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত মঙ্গলবার সকালে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের জন্য কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাসান মাহমুদ নামের এক যাত্রী। কিন্তু ভিড় ঠেলে তিনি কাউন্টারে গিয়ে জানতে পারেন টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। ১০ দিন আগে অগ্রিম টিকিট ছাড়া হলেও মুহূর্তেই ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় তিনি বিষয়টিকে রহস্যজনক বলে মনে করেন।

মনির হাসান নামে আরেক যাত্রী বলেন, যে সময়েই কাউন্টারে টিকিট সংগ্রহ করার জন্য আসেন, বেশির ভাগ সময়ই পছন্দের ট্রেনে আসনযুক্ত টিকিট পাওয়া যায় না। হঠাৎ দু-একবার পাওয়া যায়, তবে সেটা কঠিন ব্যাপার। এ জন্য তিনি ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে নতুন একটি ট্রেন চালুর দাবি জানান। আরও জানা গেছে, টিকিট কালোবাজারি রোধে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধন সনদের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে টিকিটে যাত্রীর নামসহ টিকিট বিক্রি শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এই ধারাবাহিকতায় তিস্তা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এবং হাওর এক্সপ্রেসে এই পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এই সুযোগে কালোবাজারির মাধ্যমে একজনের টিকিট দিয়ে আরেকজন যাত্রী হরহামেশাই ভ্রমণ করছেন।

টিকিট সংকটের কথা স্বীকার করে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অনলাইনে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি শুরুর পর থেকে কাউন্টারে প্রাপ্ত টিকিটের সংখ্যা কমে গেছে। তারপরও তাঁরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন স্বচ্ছভাবে টিকিট বিক্রি করার। কালোবাজারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্ল্যাটফর্মে কিংবা কাউন্টারের সামনে কোথাও কালোবাজারি হয় না। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত