Ajker Patrika

খানাখন্দে ভরা সড়কে চলা দায়

শরিফুল আলম রাসেল, তারাকান্দা
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ৫৫
খানাখন্দে ভরা সড়কে চলা দায়

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বেহাল হয়ে পড়েছে তারাকান্দা-ধোবাউড়া সড়ক। বিশেষ করে তারাকান্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে ধোবাউড়া সড়কের প্রায় এক কিলোমিটারের অবস্থা শোচনীয়। পিচ-খোয়া উঠে সড়কের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এ ছাড়া নালা না থাকায় বৃষ্টি হলেই জমে থাকে পানি। এতে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ভোগান্তিতে রয়েছেন এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচলকারী হাজারো মানুষ।

সড়কটি এ অঞ্চলের মানুষের চলাচল এবং পণ্য পরিবহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানা গেছে। তবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পণ্য পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সড়কটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উপজেলার হরিয়াগাই বাজারের ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ব্যবসার কাজে আমাকে প্রায় প্রতিদিনই তারাকান্দা উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করতে হয়। কিন্তু সড়কে খানাখন্দের কারণে পণ্যবাহী পরিবহন আসতে চায় না। যারা আসেন, তাঁদের ভাড়া দিতে হয় প্রায় দ্বিগুণ।’ দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করার দাবি জানান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য অটোরিকশা, বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এটি উপজেলার রামপুর, গালাগাঁও, কামারগাঁও, ঢাকুয়া ইউনিয়ন এবং ধোবাউড়া উপজেলার মানুষের যাতায়াতের প্রধান সড়ক। কিন্তু তারাকান্দা-ধোবাউড়া সড়কের তারাকান্দা বাজারের অংশের প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার পিচ ও খোয়া উঠে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। অনেক স্থানে রয়েছে ছোট-বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায় সড়কটি। গর্ত হওয়ায় যানবাহন চলছে চরম ঝুঁকি নিয়ে।

গোপালদারিকেল গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ফজল মিয়া বলেন, ‘সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে গাড়ি চালাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিন গাড়ি মেরামতের কাজ করতে হয়। এতে বাড়তি অর্থ ব্যয় হয়ে যাচ্ছে।’

হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিক ফকির এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন সড়কটি দিয়ে। কিন্তু বেহাল দশার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।’

মোহাম্মদ রিয়াদ নামে এক ব্যক্তি জানান, সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার করা হচ্ছে না। ফলে পিচ ও ইট-পাথর উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এখন বৃষ্টির পানি জমে দিন দিন বড় বড় গর্তে রূপ নিয়েছে। এতে সবাই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে সড়কটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।

এ বিষয়ে তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে আমি কথা বলেছি।’

উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিউল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘রাস্তাটি সংস্কারে প্রকল্পের প্রস্তাব ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়ায় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি সংস্কার করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত