Ajker Patrika

শেষ মুহূর্তে কেনাকাটার ধুম দামে অসন্তুষ্টি ক্রেতার

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ২৮
Thumbnail image

ঈদের বাকি মাত্র এক সপ্তাহ। রোজার দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ঈদ উপলক্ষে জামাকাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়। নতুন নতুন পোশাক কিনতে দোকানগুলোতে কেনাকাটার ধুম পড়ে। তবে রোজার শেষের দিকে এসে ভিড় কিছুটা কমেছে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বিপণিবিতানগুলোতে। ভিড় কমলেও বিক্রি বেড়েছে বলে দাবি দোকানিদের। গরমের কারণে ক্রেতারা দ্রুতই কেনাকাটা করে চলে যাচ্ছেন।

দোকানিরা বলছেন, মূলত শেষ দিকে যারা দোকানে আসছেন খুব বেশি দেরি না করেই কেনাকাটা করে চলে যাচ্ছেন। রোজার প্রথম দিকে পছন্দের পোশাকের জন্য ক্রেতাদের দোকান থেকে দোকানে বিচরণ বেশি ছিল। তা ছাড়া অধিকাংশ ক্রেতারাই পরিবার-পরিজন নিয়ে দোকানে আসতেন। এ কারণে মানুষের ভিড় ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি। যা রোজার শেষের দিকে এসে কমেছে। 
শেষ মুহূর্তে পছন্দের পোশাক কিনতে পারলেও দামে অসন্তোষ ক্রেতারা। গত বছরের তুলনায় প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি।

সরেজমিনে উপজেলার পৌরবাজারসহ গ্রাম পর্যায়ের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ‘গ্রামের বাজারের পোশাকের দোকানে ভিড় কিছুটা বেশি রয়েছে। এ ছাড়া পৌর মার্কেটগুলোতে ভিড় সহনীয় রয়েছে। ক্রেতারা দোকান থেকে দোকানে খুব একটা ঘুরছেন না। দ্রুত কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা।’

শিবচরের পাঁচ্চর সোনারবাংলা প্লাজায় কেনাকাটা করতে আসা আফরোজা আক্তার বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম। বেশি ঘোরাঘুরি করা যাচ্ছে না। দুই-এক দোকান দেখেই কিনে ফেলেছি। পোশাকের দাম গত বছরগুলোর চেয়ে অনেক বেশি।’

আরেক ক্রেতা কহিনুর বেগম বলেন, ‘এ বছর জামা কাপড় কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পছন্দ অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না। আবার তুলনামূলক দামও বেশি। রোজার প্রথম দিকে একবার ঘুরে গিয়েছি। তখন কেনা হয়নি। এখন কিনলাম।’

পোশাক বিক্রেতা মো. রেজাউল বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে লোকজনের ভিড় কিছুটা কমেছে। তবে বিক্রি বেশ ভালোই হচ্ছে। রোজার শেষ সময়ে যারা কিনবেন ঠিক তারাই আসেন। ক্রেতারা বেশি না ঘুরে কেনাকাটার দিকে মনোযোগ দেন এ সময়ে।’

আরেক দোকানি মো. কাওসার বলেন, ‘তুলনামূলক ভাবে মেয়েদের পোশাকের দাম একটু বেশিই এ বছর। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে।’ 
অন্যদিকে পোশাকের পাশাপাশি জুতা-স্যান্ডেল এবং কসমেটিকসের দোকানেও বেড়েছে ভিড়।

জুতার দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। ক্রেতারা জানান, ‘গত বছর যে লোফার ২ হাজার বিক্রি হয়েছে এবার তার মূল্য ৩ হাজার।’ 
রোজার শেষ মুহূর্তে ঈদের নতুন জামা কাপড় কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাধারণ মানুষ। করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদ অনেকটাই ম্লান ছিল। দুই বছর পর ঈদকে ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সীদের মধ্যে। সেই উৎসাহ-উদ্দীপনার একটা অংশ পোশাকের বাজারে লক্ষ্যে করা যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত