সম্পাদকীয়
উপন্যাস দিয়েই চেনা যায় তুর্গিয়েনেফকে। কিন্তু অনেক সাহিত্যিকের মতো তাঁর সাহিত্যজীবনও শুরু হয়েছিল কবিতা দিয়ে। রোমান্টিসিজমের ঘোর ছিল সেই কবিতায়। অথচ পরে তিনি ঘুরে গেলেন সরাসরি বাস্তববাদের দিকে। রুশ সাহিত্যের দিকপালদের অন্যতম ছিলেন তিনি।
শুধু রাশিয়ান সাহিত্যে নয়, বিশ্বসাহিত্যের খুবই উঁচু জায়গায় রয়েছে তাঁর অবস্থান।
মানব চরিত্রের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, প্রকৃতির অপরূপ ছবি নির্মাণে পারঙ্গমতা ছিল তুর্গিয়েনেফের। সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘রুদিন’, ‘পূর্বক্ষণ’, ‘বাবুদের বাসা’ আর ‘পিতা পুত্র’ নিয়ে কথা বলা শুরু করলে কত গভীর বিষয়ই না উঠে আসবে। তুর্গিয়েনেফের লেখায় সামন্তবাদের ফোকর গলে নতুন বুর্জোয়া সমাজের উত্থানের চিত্রটি সহজ চোখেই দেখা যায়। পরবর্তীকালে তিনি ‘ধোঁয়া’, আর ‘নতুন’ নামে যে উপন্যাস দুটি লেখেন, তাতে বিদেশে রাশিয়ান মানুষের জীবনযাপনের কথা উঠে এসেছে। আর তুর্গিয়েনেফের কথা বলা হবে, অথচ ‘মুমু’র কথা বলা হবে না, তা কী করে হয়? এই দুই লেখকের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন তিনি। নিকোলাই গোগলের মৃত্যুর পর তিনি লিখেছিলেন ‘শিকারির দিনলিপি’। এ কারণে তাঁকে নির্বাসন দণ্ড দিয়েছিল জারের সরকার। বলা হয়ে থাকে, কৃষকদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোই ছিল এই নির্বাসনের কারণ। নির্বাসনের সময় এবং তার পরের ২০ বছরের মধ্যেই তুর্গিয়েনেফ লিখে ফেলেন তাঁর সেরা লেখাগুলো।
বিয়ে করেননি, কিন্তু অসংখ্য রোমান্স ছিল তাঁর জীবনে। বন্ধু বিলিন্স্কির সঙ্গে ১৮৪৭ সালে তুর্গিয়েনেফ ফ্রান্সে গিয়েছিলেন এবং দেখেছিলেন ফেব্রুয়ারির বিপ্লব। অনেকেই জানেন না, তুর্গিয়েনেফ রুশ ভাষায় শেক্সপিয়ার আর বায়রনের রচনা অনুবাদ করেছেন।
১৮৭০-১৮৮০ সালগুলোয় তুর্গিয়েনেফের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে রাশিয়ায় এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও। তাঁর লেখার সঙ্গে অনুবাদের মাধ্যমে পরিচিত হয় বিশ্ববাসী।
ইভান তুর্গিয়েনেফ জন্মেছিলেন ১৮১৮ সালের ২৮ অক্টোবর। সেটা ছিল পুরোনো ক্যালেন্ডারের তারিখ। এখন যে ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা হয়, সে হিসাবে তাঁর জন্ম ৯ নভেম্বর। প্যারিসে মৃত্যু হয় তাঁর, সমাধি হয় রাশিয়ায় সাঙ্কৎ পিতেরবুর্গে।
উপন্যাস দিয়েই চেনা যায় তুর্গিয়েনেফকে। কিন্তু অনেক সাহিত্যিকের মতো তাঁর সাহিত্যজীবনও শুরু হয়েছিল কবিতা দিয়ে। রোমান্টিসিজমের ঘোর ছিল সেই কবিতায়। অথচ পরে তিনি ঘুরে গেলেন সরাসরি বাস্তববাদের দিকে। রুশ সাহিত্যের দিকপালদের অন্যতম ছিলেন তিনি।
শুধু রাশিয়ান সাহিত্যে নয়, বিশ্বসাহিত্যের খুবই উঁচু জায়গায় রয়েছে তাঁর অবস্থান।
মানব চরিত্রের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, প্রকৃতির অপরূপ ছবি নির্মাণে পারঙ্গমতা ছিল তুর্গিয়েনেফের। সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘রুদিন’, ‘পূর্বক্ষণ’, ‘বাবুদের বাসা’ আর ‘পিতা পুত্র’ নিয়ে কথা বলা শুরু করলে কত গভীর বিষয়ই না উঠে আসবে। তুর্গিয়েনেফের লেখায় সামন্তবাদের ফোকর গলে নতুন বুর্জোয়া সমাজের উত্থানের চিত্রটি সহজ চোখেই দেখা যায়। পরবর্তীকালে তিনি ‘ধোঁয়া’, আর ‘নতুন’ নামে যে উপন্যাস দুটি লেখেন, তাতে বিদেশে রাশিয়ান মানুষের জীবনযাপনের কথা উঠে এসেছে। আর তুর্গিয়েনেফের কথা বলা হবে, অথচ ‘মুমু’র কথা বলা হবে না, তা কী করে হয়? এই দুই লেখকের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন তিনি। নিকোলাই গোগলের মৃত্যুর পর তিনি লিখেছিলেন ‘শিকারির দিনলিপি’। এ কারণে তাঁকে নির্বাসন দণ্ড দিয়েছিল জারের সরকার। বলা হয়ে থাকে, কৃষকদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোই ছিল এই নির্বাসনের কারণ। নির্বাসনের সময় এবং তার পরের ২০ বছরের মধ্যেই তুর্গিয়েনেফ লিখে ফেলেন তাঁর সেরা লেখাগুলো।
বিয়ে করেননি, কিন্তু অসংখ্য রোমান্স ছিল তাঁর জীবনে। বন্ধু বিলিন্স্কির সঙ্গে ১৮৪৭ সালে তুর্গিয়েনেফ ফ্রান্সে গিয়েছিলেন এবং দেখেছিলেন ফেব্রুয়ারির বিপ্লব। অনেকেই জানেন না, তুর্গিয়েনেফ রুশ ভাষায় শেক্সপিয়ার আর বায়রনের রচনা অনুবাদ করেছেন।
১৮৭০-১৮৮০ সালগুলোয় তুর্গিয়েনেফের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে রাশিয়ায় এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও। তাঁর লেখার সঙ্গে অনুবাদের মাধ্যমে পরিচিত হয় বিশ্ববাসী।
ইভান তুর্গিয়েনেফ জন্মেছিলেন ১৮১৮ সালের ২৮ অক্টোবর। সেটা ছিল পুরোনো ক্যালেন্ডারের তারিখ। এখন যে ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা হয়, সে হিসাবে তাঁর জন্ম ৯ নভেম্বর। প্যারিসে মৃত্যু হয় তাঁর, সমাধি হয় রাশিয়ায় সাঙ্কৎ পিতেরবুর্গে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৮ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫