বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
হাজার কোটি টাকার পাবনা পল্লী উন্নয়ন সেচ প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। হুরা সাগর নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকা সত্ত্বেও অবকাঠামো ত্রুটির কারণে ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও কাঙ্ক্ষিত সেচসুবিধা মিলছে না। গত মৌসুমে প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়া হলেও চলতি মৌসুমে তা কমে ৩ হাজার ১৩৫ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে সেচ বঞ্চিত কৃষকদের দীর্ঘশ্বাস বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষকেরা পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, শাক-সবজিসহ অন্যান্য লাভজনক ফসলে ঝুঁকে পড়ায় বোরো চাষাবাদ কম হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, পাবনা জেলার নয়টি, নাটোরের দুটি ও সিরাজগঞ্জের একটি উপজেলার এক লাখ ৮৪ হাজার ৫৩৪ হেক্টর জমি নিয়ে পাবনা সেচ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়। প্রথম পর্যায়ে ১৮ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিকে কমান্ড এরিয়া ধরে ৩৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ছোট বড় সেচ ক্যানেল, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, স্লুইসগেট, কালভার্ট-সেতু ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। ১৯৯২ সালে মাত্র ২ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হন সেচ প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে সেবার পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে আরও অর্থ বরাদ্দের দাবি জানালে আরও প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু তিন দশকেও প্রকল্পের ত্রুটিগুলো সমাধান হয়নি। গত বছর এ প্রকল্পের পানি ব্যবহার করেছেন এমন প্রায় ৩১৫ হেক্টর জমিতে এবার পানি দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এ নিয়ে সেচ বঞ্চিত কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের কুশিয়ারা গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ জানান, তিনি সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবহার করে বিগত দিনে চার বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছিলেন। সেই সেচ ক্যানেলটি এখন অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কুশিয়ারা থেকে কাশিনাথপুর পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যানেলটি বন্ধ ঘোষণা করে পাউবো। এখন আর বোরো চাষ করতে পারছেন না চাষিরা। এখন পেঁয়াজ-রসুনে ঝুঁকছেন তাঁরা।
এদিকে, বেড়া উপজেলার চাকলা-দমদমা, কৈতলা, পেঁচাকোলা ও সাঁথিয়ার বায়া, পাইশাইল, মঙ্গল গ্রামসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক সেচ ক্যানেল জমির সঙ্গে মিশে গেছে। আবার কিছু সেচ ক্যানেলের ওপর স্থানীয়রা ঘর নির্মাণ করে রেখেছেন। কোথাও আবার সেচ ক্যানেল ভরাট করে রাস্তা তৈরি করেছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলা পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যানেলসহ অন্যান্য অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন ও সংস্কার করতে হবে। তবেই পাবনা সেচ প্রকল্পে ফসল উৎপাদনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।’
উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম আরও বলেন, ‘চলতি মৌসুমে তিনটি ক্যানেল সচল করে কৃষকদের সেচ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পাউবোর প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কারিগরি দল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের পর যে প্রতিবেদন দেবেন তার ভিত্তিতে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে।’ এ ছাড়া চাষিরা পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, শাক-সবজিসহ অন্যান্য লাভজনক ফসল আবাদে ঝুঁকে পড়ায় বোরো আবাদের জমির পরিমাণ প্রতি বছরই কমছে বলে জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা।
হাজার কোটি টাকার পাবনা পল্লী উন্নয়ন সেচ প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। হুরা সাগর নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকা সত্ত্বেও অবকাঠামো ত্রুটির কারণে ৩০ বছর পেরিয়ে গেলেও কাঙ্ক্ষিত সেচসুবিধা মিলছে না। গত মৌসুমে প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়া হলেও চলতি মৌসুমে তা কমে ৩ হাজার ১৩৫ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে সেচ বঞ্চিত কৃষকদের দীর্ঘশ্বাস বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষকেরা পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, শাক-সবজিসহ অন্যান্য লাভজনক ফসলে ঝুঁকে পড়ায় বোরো চাষাবাদ কম হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, পাবনা জেলার নয়টি, নাটোরের দুটি ও সিরাজগঞ্জের একটি উপজেলার এক লাখ ৮৪ হাজার ৫৩৪ হেক্টর জমি নিয়ে পাবনা সেচ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়। প্রথম পর্যায়ে ১৮ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিকে কমান্ড এরিয়া ধরে ৩৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ছোট বড় সেচ ক্যানেল, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, স্লুইসগেট, কালভার্ট-সেতু ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। ১৯৯২ সালে মাত্র ২ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হন সেচ প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে সেবার পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে আরও অর্থ বরাদ্দের দাবি জানালে আরও প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু তিন দশকেও প্রকল্পের ত্রুটিগুলো সমাধান হয়নি। গত বছর এ প্রকল্পের পানি ব্যবহার করেছেন এমন প্রায় ৩১৫ হেক্টর জমিতে এবার পানি দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এ নিয়ে সেচ বঞ্চিত কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের কুশিয়ারা গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ জানান, তিনি সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবহার করে বিগত দিনে চার বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছিলেন। সেই সেচ ক্যানেলটি এখন অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কুশিয়ারা থেকে কাশিনাথপুর পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যানেলটি বন্ধ ঘোষণা করে পাউবো। এখন আর বোরো চাষ করতে পারছেন না চাষিরা। এখন পেঁয়াজ-রসুনে ঝুঁকছেন তাঁরা।
এদিকে, বেড়া উপজেলার চাকলা-দমদমা, কৈতলা, পেঁচাকোলা ও সাঁথিয়ার বায়া, পাইশাইল, মঙ্গল গ্রামসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক সেচ ক্যানেল জমির সঙ্গে মিশে গেছে। আবার কিছু সেচ ক্যানেলের ওপর স্থানীয়রা ঘর নির্মাণ করে রেখেছেন। কোথাও আবার সেচ ক্যানেল ভরাট করে রাস্তা তৈরি করেছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলা পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যানেলসহ অন্যান্য অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন ও সংস্কার করতে হবে। তবেই পাবনা সেচ প্রকল্পে ফসল উৎপাদনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।’
উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম আরও বলেন, ‘চলতি মৌসুমে তিনটি ক্যানেল সচল করে কৃষকদের সেচ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পাউবোর প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কারিগরি দল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের পর যে প্রতিবেদন দেবেন তার ভিত্তিতে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে।’ এ ছাড়া চাষিরা পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, শাক-সবজিসহ অন্যান্য লাভজনক ফসল আবাদে ঝুঁকে পড়ায় বোরো আবাদের জমির পরিমাণ প্রতি বছরই কমছে বলে জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪