Ajker Patrika

ভূঞাপুরের সেই ক্লিনিক সিলগালা, তদন্ত কমিটি গঠন

ভূঞাপুর প্রতিনিধি
ভূঞাপুরের সেই ক্লিনিক সিলগালা, তদন্ত কমিটি গঠন

ভূঞাপুরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু কনসালট্যান্ট ডা. অনামিকা সাহাকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ডা. নিশাত সাঈদা ও ডা. মো. খাদেমুল ইসলাম। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে এ কমিটিকে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি ভূঞাপুর বাজারে অবস্থিত মা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান জানান, অস্ত্রোপচার করার সময় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সেখানে যাতে কোনো কার্যক্রম চালাতে না পারে সেজন্য তদন্ত কমিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করে সিলগালা করে দিয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। সরকারি হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক এ ঘটনায় জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান বলেন, তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত 
শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে বুধবার বিকেলে উপজেলার খানুরবাড়ি গ্রামের লাইলী বেগমের প্রসব যন্ত্রণা হলে স্বজনেরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্মরত মেডিকেল অফিসার রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে সেখানে থাকা ক্লিনিকের দালাল শামছুর খপ্পরে পড়েন রোগীর স্বজনেরা। কম টাকায় সিজার করানোর কথা বললে দরিদ্র স্বজনেরা দালালের কথামতো মা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর রাত ৮টার দিকে প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই ক্লিনিকের সার্জারি চিকিৎসক ও ভুঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এনামুল হক সোহেল ও অ্যানেসথেসিয়ার চিকিৎসক আল মামুন অস্ত্রোপচার শুরু করেন। একপর্যায়ে অপারেশন থিয়েটারেই রোগী মারা যান। ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে টাঙ্গাইলে পাঠিয়ে দেওয়ার সময় স্বজন ও স্থানীয়রা বাধা 
দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসক ও নার্সসহ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত