Ajker Patrika

সম্ভাব্য প্রার্থীরা মানছেন না আচরণবিধি

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ০৯
সম্ভাব্য প্রার্থীরা মানছেন না আচরণবিধি

ঈশ্বরগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে ঘিরে নিয়ম না মেনে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থী ও সমর্থকেরা। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারের সুযোগ না থাকলেও তাঁরা তা মানছেন না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

এদিকে নির্বাচনের আলোচনা-সমালোচনায় সরগরম পাড়া-মহল্লা, মোড়সহ চায়ের দোকানগুলো। একই ইউপিতে প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ১১টি ইউপিতে নির্বাচন সামনে রেখে চলছে জোর প্রচার। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ইউনিয়নে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা নিয়ম না মেনে মিছিল-মিটিং, উঠান বৈঠক ও গণসমাবেশসহ মোটরসাইকেল মহড়া চালাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী তৎপরতা ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে বলে জানান স্থানীয় ভোটার ও সম্ভাব্য প্রার্থী এবং তাঁদের সমর্থকেরা।

আশিকুর রহমান সৌরভ নামে এক তরুণ ভোটার বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে এলাকার চায়ের দোকানগুলো সকাল-সন্ধ্যা জমজমাট থাকছে। চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকের ভিড়ে সেখানে বসার জায়গা পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে।’

নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১১টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৮৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৪৩৫ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্যে পদে ১৪৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল হক জানান, আগামীকাল শনিবার মনোনয়নপত্র বাছাই হবে। পরে যাদের মনোনয়ন বাতিল হবে, তাঁরা ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২১ জানুয়ারির মধ্যে। ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ এবং ৭ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে।

আচরণবিধি না মানার বিষয়ে কয়েকজন সাধারণ সদস্য ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জানান, নির্বাচনের আচরণবিধি সম্বন্ধে তাঁদের তেমন ধারণা নেই। মাঠপর্যায়ে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সক্রিয় হয়ে কাজ করছেন তাঁরা।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ‘নির্বাচনের আচরণবিধি সম্বন্ধে প্রার্থীদের অবগত করা হয়েছে। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার চালালে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচার, মিছিল-মিটিং, গণসংযোগ করা সম্পূর্ণরূপে আচরণবিধির লঙ্ঘন। কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

থানায় থানায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের তালিকা হচ্ছে

চার মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজ করার নির্দেশ দিল সরকার

ককটেল ফুটতেই সেলুনে লুকায় পুলিশ, রণক্ষেত্র হয় এলাকা

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আবারও যা বললেন ভারতের সেনাপ্রধান

মসজিদে লুকিয়েও রক্ষা পেলেন না স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তাঁর ভাই, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিল প্রতিপক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত