রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা করাতকলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উপজেলায় ৫০টি করাতলের মধ্যে মাত্র ১৪টির লাইসেন্স রয়েছে। বাকি ৩৬টি অবৈধভাবে চলছে। আরও ১৮টি করাতকল স্থাপনের জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে।
স্কুল, বাজার, মসজিদ ও জনবসতি এলাকায় স্থাপনে বিধিনিষেধ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বন বিভাগের যথাযথ তদারকির অভাবে ও আইন প্রয়োগে শিথিলতার সুযোগে যেখানে-সেখানে এসব করাতকল স্থাপন করা হচ্ছে।
সরকারি বিধিমালায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এগুলো চালু করার নিয়ম থাকলেও এ কল চালানো হচ্ছে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ-সংযোগ না পেয়ে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত জেনারেটরের সাহায্যে চালানো হচ্ছে। শ্যালো ইঞ্জিন ও করাতকলের বিকট শব্দে সেখানে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে অভিযোগ করেও ভুক্তভোগীরা কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া করাতকল স্থাপনের জন্য দুই হাজার টাকা জমা দিয়ে বন বিভাগে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়। লাইসেন্স পেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়। আবার সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত বা অন্য যেকোনো ধরনের সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে ন্যূনতম ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না বলে বিধান রয়েছে। সরকারি অফিস-আদালত, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানের ২০০ মিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। এ আইন কার্যকর হওয়ার আগে নিষিদ্ধ স্থানে করাতকল স্থাপন করা হয়ে থাকলে আইন কার্যকরের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। বিধিটি প্রতিপালিত না হওয়ায় সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী, চরমোহনা, চরআবাবিল, কেরোয়া, বামনী, চরপাতা, সোনাপুর, রায়পুর ইউনিয়ন ও বেড়িবাঁধ এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি করাতকল। এসব করাতকলে কাঠ জোগান দিতে গিয়ে উজাড় হচ্ছে বন বিভাগ তথা বেড়িবাঁধ ও সড়কের দুই পাশের গাছগুলো। তাতে পরিবেশের ওপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব।
বাসাবাড়ি-হায়দরগঞ্জ সড়কের উদমারা গ্রামের সর্দার স্টেশন নামক স্থানে স্থাপিত একটি করাতকলের মালিক আব্দুল করিম বলেন, করাতকলটি আমি গত দুই বছর ধরে কিনে চালাচ্ছি।
প্রশাসনের তেমন চাপ না থাকায় লাইসেন্সের বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দিইনি। প্রায় দেড় মাস পূর্বে লাইসেন্স প্রসেসিংয়ের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছি।
দেবীপুর গ্রামের মিয়াজান ব্যাপারী বাড়ির বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘করাতকলের বিকট শব্দে আমরা অতিষ্ঠ। এগুলোর যন্ত্রণায় আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আমার বৃদ্ধ মা খুব কষ্টে আছেন। আমার স্ত্রীর পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটছে। তাঁদের অসংখ্যবার বলা হলেও তাঁরা শব্দ নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ নেননি। বরং আমাদের উল্টো ধমক দিচ্ছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এগুলো বন্ধ করে দিলেও রহস্যজনকভাবে ওই আদেশ পালন করা হচ্ছে না।’
করাতকল মালিক দেবীপুরের আবুল হোসেন মুন্সী বলেন, ‘বিদ্যুতের সংযোগ পাওয়ার জন্য প্রায় এক বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছি। কিন্তু সংযোগ না পাওয়ায় শ্যালো ইঞ্জিন ব্যবহার করতে হচ্ছে। ইচ্ছা থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলে শব্দ কমানো সম্ভব নয়। আমাদের মতো অনেকেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় করাতকল চালাচ্ছেন। তাঁদের দোষ না হলে আমাদেরও দোষ নেই।’
বন বিভাগের রায়পুর উপজেলা কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক বলেন, ‘রায়পুরে করাতলের সংখ্যা প্রায় ৫০টি। এর মধ্যে মাত্র ১৪টির লাইসেন্স রয়েছে। নতুনভাবে আবেদন করা হয়েছে ১৮টি। আমাদের না জানিয়েই লোকজন করাতকল স্থাপন করায় এ রকম হ-য-ব-র-ল অবস্থা হচ্ছে। বিধি ভঙ্গ করে স্থাপনকারী করাতকল সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা করাতকলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উপজেলায় ৫০টি করাতলের মধ্যে মাত্র ১৪টির লাইসেন্স রয়েছে। বাকি ৩৬টি অবৈধভাবে চলছে। আরও ১৮টি করাতকল স্থাপনের জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে।
স্কুল, বাজার, মসজিদ ও জনবসতি এলাকায় স্থাপনে বিধিনিষেধ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বন বিভাগের যথাযথ তদারকির অভাবে ও আইন প্রয়োগে শিথিলতার সুযোগে যেখানে-সেখানে এসব করাতকল স্থাপন করা হচ্ছে।
সরকারি বিধিমালায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এগুলো চালু করার নিয়ম থাকলেও এ কল চালানো হচ্ছে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ-সংযোগ না পেয়ে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত জেনারেটরের সাহায্যে চালানো হচ্ছে। শ্যালো ইঞ্জিন ও করাতকলের বিকট শব্দে সেখানে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে অভিযোগ করেও ভুক্তভোগীরা কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া করাতকল স্থাপনের জন্য দুই হাজার টাকা জমা দিয়ে বন বিভাগে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়। লাইসেন্স পেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়। আবার সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত বা অন্য যেকোনো ধরনের সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে ন্যূনতম ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না বলে বিধান রয়েছে। সরকারি অফিস-আদালত, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানের ২০০ মিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। এ আইন কার্যকর হওয়ার আগে নিষিদ্ধ স্থানে করাতকল স্থাপন করা হয়ে থাকলে আইন কার্যকরের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। বিধিটি প্রতিপালিত না হওয়ায় সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী, চরমোহনা, চরআবাবিল, কেরোয়া, বামনী, চরপাতা, সোনাপুর, রায়পুর ইউনিয়ন ও বেড়িবাঁধ এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি করাতকল। এসব করাতকলে কাঠ জোগান দিতে গিয়ে উজাড় হচ্ছে বন বিভাগ তথা বেড়িবাঁধ ও সড়কের দুই পাশের গাছগুলো। তাতে পরিবেশের ওপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব।
বাসাবাড়ি-হায়দরগঞ্জ সড়কের উদমারা গ্রামের সর্দার স্টেশন নামক স্থানে স্থাপিত একটি করাতকলের মালিক আব্দুল করিম বলেন, করাতকলটি আমি গত দুই বছর ধরে কিনে চালাচ্ছি।
প্রশাসনের তেমন চাপ না থাকায় লাইসেন্সের বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দিইনি। প্রায় দেড় মাস পূর্বে লাইসেন্স প্রসেসিংয়ের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছি।
দেবীপুর গ্রামের মিয়াজান ব্যাপারী বাড়ির বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘করাতকলের বিকট শব্দে আমরা অতিষ্ঠ। এগুলোর যন্ত্রণায় আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আমার বৃদ্ধ মা খুব কষ্টে আছেন। আমার স্ত্রীর পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটছে। তাঁদের অসংখ্যবার বলা হলেও তাঁরা শব্দ নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ নেননি। বরং আমাদের উল্টো ধমক দিচ্ছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এগুলো বন্ধ করে দিলেও রহস্যজনকভাবে ওই আদেশ পালন করা হচ্ছে না।’
করাতকল মালিক দেবীপুরের আবুল হোসেন মুন্সী বলেন, ‘বিদ্যুতের সংযোগ পাওয়ার জন্য প্রায় এক বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছি। কিন্তু সংযোগ না পাওয়ায় শ্যালো ইঞ্জিন ব্যবহার করতে হচ্ছে। ইচ্ছা থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলে শব্দ কমানো সম্ভব নয়। আমাদের মতো অনেকেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় করাতকল চালাচ্ছেন। তাঁদের দোষ না হলে আমাদেরও দোষ নেই।’
বন বিভাগের রায়পুর উপজেলা কর্মকর্তা চন্দন ভৌমিক বলেন, ‘রায়পুরে করাতলের সংখ্যা প্রায় ৫০টি। এর মধ্যে মাত্র ১৪টির লাইসেন্স রয়েছে। নতুনভাবে আবেদন করা হয়েছে ১৮টি। আমাদের না জানিয়েই লোকজন করাতকল স্থাপন করায় এ রকম হ-য-ব-র-ল অবস্থা হচ্ছে। বিধি ভঙ্গ করে স্থাপনকারী করাতকল সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪