শাহাদাত হোসেন, ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর)
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ১১ দফা বিধিনিষেধ মানার বালাই নেই শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায়। গণপরিবহন, পর্যটনকেন্দ্র, রেস্তোরাঁ, বাজার কিংবা উন্মুক্ত স্থান—কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। বেশির ভাগ মানুষের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক। যদিও প্রশাসনের তৎপরতা দেখলেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে তোড়জোড় শুরু করেন জনসাধারণ। প্রশাসনের লোকজন গেলেই মানুষের মুখ থেকে উধাও হয় মাস্ক।
গতকাল রোববার উপজেলার রামভদ্রপুর সেনের বাজার, সখিপুর বাজার, বাংলাবাজার, আরশিনগর, বালার বাজার, কার্তিকপুর বাজার, সাজনপুর বাজার, মোল্লার হাট বাজার এলাকা ঘুরে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা দেখা গেছে।
মাস্ক ব্যবহারে অনীহা সবচেয়ে বেশি স্বল্পশিক্ষিত ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের মধ্যে। তাঁরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না। রিকশাচালক, ভ্যানচালক, সিএনজিচালক কারও কারও মুখে মাস্ক থাকলেও থুতনির নিচে রয়েছে।
জানতে চাইলে ভেদরগঞ্জের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সোহেল হোসেন বলেন, ‘আমাদের করোনা হবে না। সরকার বলেছে মাস্ক পরতে, তাই সঙ্গে রাখি। মাস্ক পরলে কী আর না পরলেই কী? আমরা দিন আনি দিন খাই। পেটের দায়ে বের হতে হয়।’
মোল্লার হাট বাজারে কথা হচ্ছিল এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তাঁর থুতনিতে ছিল মাস্ক। জানতে চাইতেই মাস্ক মুখে দিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলব না। তাঁদের কারণে আজ ব্যবসা বন্ধ হয়েছে। তাঁদের লেখালেখির কারণে সরকার সব বন্ধ করে দিয়েছে। করোনা তো বড়লোকদের রোগ। এটা শ্রমিক বা নিম্ন শ্রেণির মানুষের জন্য নয়।’
সখিপুর এলাকার চায়ের দোকানি রনি সরদার বলেন, ‘করি চায়ের দোকান, সব সময় থাকি আগুনের পাশে। তাই মাস্ক পরি না। তবে দোকানে মাস্ক ঝোলানো রয়েছে। কোনো সময় ম্যাজিস্ট্রেট এলে তখন মাস্ক পরি।’
তবে সংক্রমণ বাড়ায় মাস্ক পরার প্রবণতা কিছুটা বাড়লেও এখনো বেশির ভাগ লোকেরই মুখে মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না। আবার অনেকের মুখে নয়, থুতনিতে রয়েছে মাস্ক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আরও কঠোর হওয়া বলে মনে করেন এলাকার সচেতন নাগরিকেরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসান ইবনে আমিন বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। যারা টিকা নিয়েছেন আর যারা নেননি প্রত্যেকের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। মাস্ক ব্যবহার করা, ২০ সেকেন্ড ধরে কিছু সময় পরপর হাত ধোয়া এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজ ব্যবহার করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। টিকা যারা নেননি দ্রুত তাঁদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসিফ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিনিয়ত মানুষকে সচেতন করতে মাঠে কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ মাস্ক ব্যবহারের সুফলের বিষয়টা হয়তো বুঝতে পারছেন না। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানাও করা হচ্ছে। তবুও মানুষ সচেতন হচ্ছেন না। এ রোগ থেকে বাঁচতে প্রথমে নিজেকে সচেতন হতে হবে।’
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ১১ দফা বিধিনিষেধ মানার বালাই নেই শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায়। গণপরিবহন, পর্যটনকেন্দ্র, রেস্তোরাঁ, বাজার কিংবা উন্মুক্ত স্থান—কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। বেশির ভাগ মানুষের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক। যদিও প্রশাসনের তৎপরতা দেখলেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে তোড়জোড় শুরু করেন জনসাধারণ। প্রশাসনের লোকজন গেলেই মানুষের মুখ থেকে উধাও হয় মাস্ক।
গতকাল রোববার উপজেলার রামভদ্রপুর সেনের বাজার, সখিপুর বাজার, বাংলাবাজার, আরশিনগর, বালার বাজার, কার্তিকপুর বাজার, সাজনপুর বাজার, মোল্লার হাট বাজার এলাকা ঘুরে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা দেখা গেছে।
মাস্ক ব্যবহারে অনীহা সবচেয়ে বেশি স্বল্পশিক্ষিত ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের মধ্যে। তাঁরা কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না। রিকশাচালক, ভ্যানচালক, সিএনজিচালক কারও কারও মুখে মাস্ক থাকলেও থুতনির নিচে রয়েছে।
জানতে চাইলে ভেদরগঞ্জের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সোহেল হোসেন বলেন, ‘আমাদের করোনা হবে না। সরকার বলেছে মাস্ক পরতে, তাই সঙ্গে রাখি। মাস্ক পরলে কী আর না পরলেই কী? আমরা দিন আনি দিন খাই। পেটের দায়ে বের হতে হয়।’
মোল্লার হাট বাজারে কথা হচ্ছিল এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তাঁর থুতনিতে ছিল মাস্ক। জানতে চাইতেই মাস্ক মুখে দিয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলব না। তাঁদের কারণে আজ ব্যবসা বন্ধ হয়েছে। তাঁদের লেখালেখির কারণে সরকার সব বন্ধ করে দিয়েছে। করোনা তো বড়লোকদের রোগ। এটা শ্রমিক বা নিম্ন শ্রেণির মানুষের জন্য নয়।’
সখিপুর এলাকার চায়ের দোকানি রনি সরদার বলেন, ‘করি চায়ের দোকান, সব সময় থাকি আগুনের পাশে। তাই মাস্ক পরি না। তবে দোকানে মাস্ক ঝোলানো রয়েছে। কোনো সময় ম্যাজিস্ট্রেট এলে তখন মাস্ক পরি।’
তবে সংক্রমণ বাড়ায় মাস্ক পরার প্রবণতা কিছুটা বাড়লেও এখনো বেশির ভাগ লোকেরই মুখে মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না। আবার অনেকের মুখে নয়, থুতনিতে রয়েছে মাস্ক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আরও কঠোর হওয়া বলে মনে করেন এলাকার সচেতন নাগরিকেরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসান ইবনে আমিন বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। যারা টিকা নিয়েছেন আর যারা নেননি প্রত্যেকের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। মাস্ক ব্যবহার করা, ২০ সেকেন্ড ধরে কিছু সময় পরপর হাত ধোয়া এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজ ব্যবহার করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। টিকা যারা নেননি দ্রুত তাঁদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসিফ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিনিয়ত মানুষকে সচেতন করতে মাঠে কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ মাস্ক ব্যবহারের সুফলের বিষয়টা হয়তো বুঝতে পারছেন না। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানাও করা হচ্ছে। তবুও মানুষ সচেতন হচ্ছেন না। এ রোগ থেকে বাঁচতে প্রথমে নিজেকে সচেতন হতে হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪