Ajker Patrika

মামলা তুলে না নিলে বাদীকে হত্যার হুমকি

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১৫
মামলা তুলে না নিলে বাদীকে হত্যার হুমকি

রাস্তা থেকে মা ও মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার চার আসামি জামিনে এসে এই হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন একজন।

এমন অভিযোগ করেছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভুক্তভোগী মা ও মেয়ে। শহরের উত্তর বাজার এলাকায় নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের এমন কথা বলেছেন তাঁরা।

নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ভুক্তভোগী নারী (৪০) বলেন, ঘটনার পর নানাভাবে সমাজে হেয় হচ্ছেন তাঁরা। শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়িতে উঠতে নিষেধ করেছেন। এর পর থেকে মেয়েকে নিয়ে বৃদ্ধ মায়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন। বাড়ি থেকে মা-মেয়ে বাইরে বের হতে পারছেন না।

এ সময় ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, আসামিরা জামিন পেয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ওমর আলী নামে এক আসামি বাড়িতে গিয়ে বলেছেন, মামলা তুলে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলা ও বাড়ি ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়েও দেওয়া হবে।

অভিযোগ সম্পর্কে ওমর আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া দেননি।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় শেরপুর জেলা সদরে শ্বশুরবাড়ি থেকে নালিতাবাড়ী উপজেলায় বাবার বাড়িতে মেয়েকে (১৬) নিয়ে যাচ্ছিলেন এক নারী (৪০)। রাত সাড়ে নয়টার দিকে অটোরিকশা থেকে গ্রামের একটি সড়কে নেমে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। অভিযোগ অনুযায়ী, এ সময় ওই গ্রামের আবদুস সাত্তার (৪৫) ও সাদেক মিয়ার (৩০) সঙ্গে মা-মেয়ের দেখা হয়। সাত্তার ও সাদেক তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোর করে গ্রামের মো. উসমানের (৪০) বাড়িতে নিয়ে যান। ওমর আলী (৪০) নামে আরেকজন মুঠোফোনে জাহাঙ্গীর আলম (৩০), তারা মিয়া (৩২) ও মফিজ উদ্দিন (৩০) নামে তিন ব্যক্তিকে ডেকে উসমানের বাড়িতে আনেন। পরে নারীকে বসতঘরে ও তাঁর মেয়েকে বাড়ির পেছনের বাঁশঝাড়ে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ১০ অক্টোবর ওই নারী ১০ জনের নামে থানায় মামলা হয়। পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ওই চারজন জামিনে আছেন। এ নিয়ে গত ১১ অক্টোবর ‘রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ ‘শিরোনামে আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান গত মঙ্গলবার বলেন, জামিনে থাকা চার আসামির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত