Ajker Patrika

বেড়িবাঁধের ওপর ইটভাটা অবাধে নদীর মাটি লুট

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৪৭
বেড়িবাঁধের ওপর ইটভাটা অবাধে নদীর মাটি লুট

আইন ভঙ্গ করে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ দখল করে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। কচা নদী ও খালের মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে। ইটভাটা দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।

গতকাল বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের জোলাগাতি এলাকায় কচা নদীতীরবর্তী সাউথের খাল নামক স্থানে বেড়িবাঁধ দখল করে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। ইট বানাতে পাশের নদী ও খালের মাটি নিয়ে ভেকু দিয়ে কেটে নেওয়া হচ্ছে। ভাটায় আগুন জ্বালাতে এবং ইট পোড়ানোর জন্য খাল ও নদীর পাড়ে কাঠের স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, তিন বছর ধরে এভাবেই ইট তৈরি করা হচ্ছে। ইটভাটার কারণে পরিবেশ হুমকির মুখে। ইটভাটা তৈরি করেছেন পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের মো. জসিম খান। ওই ইটভাটা স্থাপনের জন্য পরিবেশ ছাড়পত্রও নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদার বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। আপনি ইটভাটার মালিকের সঙ্গে কথা বলুন।’

এ ব্যাপারে ইটভাটার মালিক জসিম খান বলেন, ‘বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। নতুন বেড়িবাঁধ হলে ইটভাটা সরিয়ে নেওয়া হবে।’ সরকারি জায়গার মাটি অবৈধভাবে কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন, তিনি সবকিছু জানেন।’

ইউপি চেয়ারম্যান সিকদার মো. দেলোয়ার হোসেনকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অবৈধভাবে ইট তৈরি করতে দেওয়া হবে না। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হবে।

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখা বলেন, অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস করা হবে। সরকারি জায়গা দখল করে মাটি উত্তোলন করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত