সম্পাদকীয়
মনে করুন, আপনার বাড়ির কাছে একটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে। একদিন খবর পেলেন, সেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য একটা অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ হয়েছে। মনে খুব জোর পেলেন। যাক! উপজেলার মানুষঅসুস্থ হয়ে পড়লে এখন এই অ্যাম্বুলেন্সে করেই নেওয়া যাবে হাসপাতালে। চকচকে অ্যাম্বুলেন্সটির দাম ৪৫ লাখ টাকা!
আপনি তো মহানন্দে অন্যদের সঙ্গে আলাপ করার সময় বলছেন, ‘দেখেছেন, সরকার বাহাদুর আমাদের সমস্যা বুঝেই একটা দামি অ্যাম্বুলেন্স দান করেছে।’
অন্যরাও আপনার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলছেন, ‘এই যে আমরা একটা অ্যাম্বুলেন্স পেলাম, সেটাই তো বুঝিয়ে দেয়, ধীরে ধীরে উন্নয়নের সব রকম স্পর্শই আমরা পাব।’
গ্যারেজে রাখা নতুন অ্যাম্বুলেন্সটি আপনি মাঝে মাঝে গিয়ে দেখে আসেন। কিন্তু আপনার মনে খটকা লাগে। কী ব্যাপার, অ্যাম্বুলেন্সটি শুধু গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকে কেন? নট নড়নচড়ন। কোনো দিন এই গ্যারেজ থেকে তো বের হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
একদিন কৌতূহল নিবৃত্ত করার জন্য হয়তো প্রশ্ন করবেন, ‘কী ব্যাপার, অ্যাম্বুলেন্সটা চলছে না কেন?’ উত্তর পাবেন, ‘আপনি বললেই কি অ্যাম্বুলেন্স চলবে? অ্যাম্বুলেন্স চালাতে হলে দরকার হয় একজন চালক।’ আপনি বুঝতে না পেরে প্রশ্ন করবেন, ‘তা চালক নেই কেন?’ এর কোনো সদুত্তর আপনি পাবেন না। এরই মধ্যে গুরুতর রোগীদের নিয়ে যে অ্যাম্বুলেন্সগুলো আপনার চোখের সামনে দিয়ে সাইরেন বাজাতে বাজাতে ছুটবে, সেগুলোর একটাও সরকারি নয়।
ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্সগুলোয় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে রোগী নিয়ে ছুটছে বিহ্বল স্বজনেরা। এবার হয়তো সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে কেন চালক থাকে না, সেটা খানিকটা হলেও আঁচ করতে পারবেন।
এর কিছুদিন পর আপনি হঠাৎ দেখবেন, সেই নতুন চকচকে অ্যাম্বুলেন্সটির ওপর শনি ভর করেছে। অ্যাম্বুলেন্সের চারটি চাকাই চুরি হয়ে গেছে। আরে! এ কী অবস্থা। চালক নেই বলে জরাজীর্ণ গ্যারেজে অবস্থান করছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। এখন দেখা যাচ্ছে, ফোকলা দাঁতের মতো চাকাহীন অ্যাম্বুলেন্সটি মুখ ব্যাদান করে দাঁড়িয়ে আছে। খোঁজ নিলে আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে, অ্যাম্বুলেন্সের চালক যেমন নেই, তেমনি গ্যারেজে নেই নৈশপ্রহরী। তাই কেউ যদি চাকাগুলো চুরি করে নিয়ে যায়, তাহলে কী আর করার আছে? আবার এ কথাও বলা হবে, ‘আমরা কি বসে আছি নাকি? আমরা থানায় জিডি করেছি।’ এরপর আরও কিছু মালপত্র চুরি হবে অ্যাম্বুলেন্স থেকে। আপনি বুঝতে পারবেন, ৪৫ লাখ টাকার অ্যাম্বুলেন্সটি কারও কোনো সাহায্যে আসার আগেই অচল হয়ে গেছে।
যা বলা হলো, তা বানানো গল্প নয়। আপনারা বাগেরহাটের মোল্লাহাটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান, দেখবেন ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এখন পর্যন্ত তাদের জরাজীর্ণ গ্যারেজে চাকাবিহীন অ্যাম্বুলেন্সটি দাঁড়িয়ে আছে। আপনি বেমালুম বুঝে যাবেন, সরকারি টাকার অপচয় কাকে বলে! বুঝে যাবেন, চালক না থাকা, চাকা চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলোর পেছনে আরও অনেক রহস্যময় গল্প থাকে, যে গল্পের শেষ নেই।
মনে করুন, আপনার বাড়ির কাছে একটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে। একদিন খবর পেলেন, সেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য একটা অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ হয়েছে। মনে খুব জোর পেলেন। যাক! উপজেলার মানুষঅসুস্থ হয়ে পড়লে এখন এই অ্যাম্বুলেন্সে করেই নেওয়া যাবে হাসপাতালে। চকচকে অ্যাম্বুলেন্সটির দাম ৪৫ লাখ টাকা!
আপনি তো মহানন্দে অন্যদের সঙ্গে আলাপ করার সময় বলছেন, ‘দেখেছেন, সরকার বাহাদুর আমাদের সমস্যা বুঝেই একটা দামি অ্যাম্বুলেন্স দান করেছে।’
অন্যরাও আপনার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলছেন, ‘এই যে আমরা একটা অ্যাম্বুলেন্স পেলাম, সেটাই তো বুঝিয়ে দেয়, ধীরে ধীরে উন্নয়নের সব রকম স্পর্শই আমরা পাব।’
গ্যারেজে রাখা নতুন অ্যাম্বুলেন্সটি আপনি মাঝে মাঝে গিয়ে দেখে আসেন। কিন্তু আপনার মনে খটকা লাগে। কী ব্যাপার, অ্যাম্বুলেন্সটি শুধু গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকে কেন? নট নড়নচড়ন। কোনো দিন এই গ্যারেজ থেকে তো বের হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
একদিন কৌতূহল নিবৃত্ত করার জন্য হয়তো প্রশ্ন করবেন, ‘কী ব্যাপার, অ্যাম্বুলেন্সটা চলছে না কেন?’ উত্তর পাবেন, ‘আপনি বললেই কি অ্যাম্বুলেন্স চলবে? অ্যাম্বুলেন্স চালাতে হলে দরকার হয় একজন চালক।’ আপনি বুঝতে না পেরে প্রশ্ন করবেন, ‘তা চালক নেই কেন?’ এর কোনো সদুত্তর আপনি পাবেন না। এরই মধ্যে গুরুতর রোগীদের নিয়ে যে অ্যাম্বুলেন্সগুলো আপনার চোখের সামনে দিয়ে সাইরেন বাজাতে বাজাতে ছুটবে, সেগুলোর একটাও সরকারি নয়।
ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্সগুলোয় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে রোগী নিয়ে ছুটছে বিহ্বল স্বজনেরা। এবার হয়তো সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে কেন চালক থাকে না, সেটা খানিকটা হলেও আঁচ করতে পারবেন।
এর কিছুদিন পর আপনি হঠাৎ দেখবেন, সেই নতুন চকচকে অ্যাম্বুলেন্সটির ওপর শনি ভর করেছে। অ্যাম্বুলেন্সের চারটি চাকাই চুরি হয়ে গেছে। আরে! এ কী অবস্থা। চালক নেই বলে জরাজীর্ণ গ্যারেজে অবস্থান করছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। এখন দেখা যাচ্ছে, ফোকলা দাঁতের মতো চাকাহীন অ্যাম্বুলেন্সটি মুখ ব্যাদান করে দাঁড়িয়ে আছে। খোঁজ নিলে আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে, অ্যাম্বুলেন্সের চালক যেমন নেই, তেমনি গ্যারেজে নেই নৈশপ্রহরী। তাই কেউ যদি চাকাগুলো চুরি করে নিয়ে যায়, তাহলে কী আর করার আছে? আবার এ কথাও বলা হবে, ‘আমরা কি বসে আছি নাকি? আমরা থানায় জিডি করেছি।’ এরপর আরও কিছু মালপত্র চুরি হবে অ্যাম্বুলেন্স থেকে। আপনি বুঝতে পারবেন, ৪৫ লাখ টাকার অ্যাম্বুলেন্সটি কারও কোনো সাহায্যে আসার আগেই অচল হয়ে গেছে।
যা বলা হলো, তা বানানো গল্প নয়। আপনারা বাগেরহাটের মোল্লাহাটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান, দেখবেন ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এখন পর্যন্ত তাদের জরাজীর্ণ গ্যারেজে চাকাবিহীন অ্যাম্বুলেন্সটি দাঁড়িয়ে আছে। আপনি বেমালুম বুঝে যাবেন, সরকারি টাকার অপচয় কাকে বলে! বুঝে যাবেন, চালক না থাকা, চাকা চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলোর পেছনে আরও অনেক রহস্যময় গল্প থাকে, যে গল্পের শেষ নেই।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫