Ajker Patrika

মুকুলেই স্বপ্ন আমচাষির

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২২, ১২: ৫২
Thumbnail image

মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে হাঁড়িভাঙা আমের গাছ। ভারে নুয়ে পড়েছে ডাল। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে সুবাস। মধু আহরণে উড়ে উড়ে আসছে মৌমাছি। এবার আবহাওয়া অনুকূল। তাই ডালভরা মুকুল দেখেই আমের ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন বাগানমালিকেরা। তাঁরা আশা করছেন, চলতি ২০২২ সাল হবে আমের বছর। তাঁরা করোনা মহামারির কারণে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে এবার দেখবেন লাভের মুখ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর তা ছিল ১ হাজার ১০০ হেক্টর।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের মধ্যে খোঁড়াগাছ ও ময়েনপুর ইউনিয়নে হাঁড়িভাঙা আমের বাগান বেশি। ৮ থেকে ১০ বছর আগেও হাঁড়িভাঙা আমের বাগান মিঠাপুকুর উপজেলার বাইরে দেশের অন্য কোনো জেলায় ছিল না।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাওয়া আমচাষি আব্দুস সালাম সরকার বলেন, হাঁড়িভাঙা আম অতি সুস্বাদু। এ কারণে বর্তমানে রংপুরের বাইরেও লোকজন এই আমের বাগান করছেন। তাঁর ১৪ একর জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের বাগান রয়েছে। গত বছর তিনি ১২ লাখ টাকায় বাগান বিক্রি করেন। গত বছর লকডাউনে পরিবহন বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাজার ছাড়া রাজধানীসহ অন্য জেলা শহরে আম সরবরাহ করা যায়নি। তবে এ বছর আরও বেশি দামে বাগান বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

আব্দুস সালাম আরও বলেন, এ বছর হাঁড়িভাঙা আমের দাম বাড়বে আরেকটি কারণে। গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় উপহার হিসেবে হাঁড়িভাঙা আম ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ পাঁচটি দেশের সরকার প্রধানের কাছে পাঠিয়েছিলেন। এতে হাঁড়িভাঙা আমের সুখ্যাতি ও পরিচিতি কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বাজারে।

ময়েনপুর এলাকার আমচাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, তাঁর ২২ বিঘা জমিতে আমবাগান রয়েছে। প্রতিটি গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। তিনিসহ অনেক বাগানমালিক মনে করেন, ২০২২ সাল হবে আমের বছর।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইফুল আবেদীন বলেন, হাঁড়িভাঙা আম বিষমুক্ত রাখা এবং বিদেশে রপ্তানির সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করার জন্য গত বছর ড. সরওয়ারুল হকের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এর সুফল এবার মিলবে বলে আশা করা যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব ধরনের আমগাছ মুকুলে ভরে গেছে। এখন পর্যন্ত প্রকৃতি অনুকূল। তাই মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ঝড় কিংবা শিলাবৃষ্টি না হলে এ বছর প্রচুর আম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণেই হয়তো চাষিরা চলতি ২০২২ সালকে আমের বছর বলে স্বপ্ন দেখছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত