Ajker Patrika

বিলবোর্ড, ব্যানার সরাতে ৩৬ ঘণ্টার সময়

রংপুর প্রতিনিধি
Thumbnail image

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন ঘিরে যেসব সম্ভাব্য প্রার্থী নগরীর প্রধান সড়কসহ অলি-গলিতে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন টাঙিয়েছেন, তা ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কার্যালয়। নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে লঙ্ঘন না হয়, এ জন্য সব ধরনের মিছিল-মিটিং ও শোডাউনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। 
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে রসিক নির্বাচনের বিভিন্ন নির্দেশনার কথা বলেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে নিযুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন।

আবদুল বাতেন বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি প্রতিপালন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী কিংবা প্রার্থীর পক্ষে লাগানো সব ধরনের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডসহ প্রচারণাসামগ্রী অপসারণ করতে হবে। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কোনো প্রার্থী যদি নিজ থেকে এসব সামগ্রী অপসারণ না করেন, তাহলে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পরও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে নির্বাচন কমিশন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ইভিএমে ভোটদান নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে মক ভোট কার্যক্রম চলবে। এ জন্য দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের কার্যক্রমও দ্রুতই শুরু হবে। সব কেন্দ্রে ইভিএম এবং গোপন কক্ষ ছাড়া কেন্দ্রের সব জায়গা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।

গাইবান্ধার মতো সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে সিসিটিভি ক্যামেরা চালু রাখতে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জ্ঞাত আছে। কেউ যেন কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশনারের উদ্যোগে বাধা তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সিসিটিভি ক্যামেরা নির্বাচন কমিশন থেকেও তদারকি করা হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম হলে ভোটকেন্দ্র বন্ধসহ পুরো নির্বাচনের কার্যক্রম বন্ধের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।

রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় রংপুর জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ৩৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম ঘোষণার পরও সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।

নগরীর প্রধান সড়কসহ আশপাশের অলিগলিতে ছেয়ে আছে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড। তবে সম্ভাব্য প্রার্থীরা জানান, সময়ের আগে প্রচারপত্র অপসারণ করবেন তাঁরা।
জানতে চাইলে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা মানতে হবে। যেহেতু তারা বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণের ঘোষণা দিয়েছে, সেহেতু তাদের বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই প্রচারপত্র অপসারণ করা হবে। আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই কাজ করব।’

২৭ ডিসেম্বর রসিক নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর। বাছাই আগামী ১ ডিসেম্বর, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ ডিসেম্বর এবং ৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত