Ajker Patrika

শীতে গরিব মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে

হালুয়াঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ২৫
শীতে গরিব মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে

‘ভোরবেলায় কুয়াশার লাইগা কিচ্ছু দেহা যায় না, বেলা গড়াইয়া দুপুর অইলে রইদের (রোদের) দেহা মিলে না। এই ভোরবেলায় ঠান্ডা বাতাসে হাত পাও (পা) কোঁকড়া অইয়া যায়। হেরপরেও গাড়ি লইয়া বাইরন (বাইরে বের হওয়া) লাগে, কি করুম সংসার তো চালান লাগে।’

কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার নিভৃত পল্লি মোকামিয়া এলাকার ভ্যানচালক মহির উদ্দিন। স্থানীয় কৃষক হেলাল উদ্দিনের জমির ধান বিক্রির জন্য বাজারে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।

মহির উদ্দিন বলেন, গরিব মানুষের শীত আর গরম সব এক। শীতে মহির উদ্দিনের মতোই কমবেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উপজেলার নানা শ্রেণি পেশার মানুষকে। তবে বেশি কষ্টে রয়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া ও প্রান্তিক কৃষকেরা।

সীমান্তে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত। গত দুদিন দুপুরের আগে সূর্যের আলোর দেখা পাওয়া যায়নি। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।

স্থানীয়রা জানান, ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসের কারণে কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা কিছুটা বেশি। উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় ও নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকায় বেশি ঠান্ডা পড়েছে। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। তীব্র শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে গবাদিপশুর।

এদিকে উপজেলার শাকুয়াই বাজার থেকে পাঁচশত গজ উত্তরে কংশ নদীর তীরে প্রায় বিশটি বেদে পরিবারের বসবাস। এ সব বেদে পরিবারে অনেকেই শীতে কষ্ট পাচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দা তানজিনা আফরিন বলেন, শীত বাড়ায় জ্বর ও ঠান্ডায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলাল উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বেশ কিছু কম্বল পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত