Ajker Patrika

শেষটায় অন্তত ভালোর আশা

রানা আব্বাস, দুবাই থেকে
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৪৮
Thumbnail image

বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান প্রায় শেষ। খেলোয়াড়দের ভাবনায় এখন বাড়ি ফেরার চিন্তা। কেউ কেউ হয়তো ব্যাগ-পত্তর গোছানোও শুরু করেছেন। এখন আবার জৈব সুরক্ষাবলয়ের জীবন। আগে সিরিজ-টুর্নামেন্টের ফাঁকে কিংবা শেষে একটু ঘুরে দেখা কিংবা কেনাকাটার সুযোগ মিলত। এখন সেটিও নেই। আজ টুর্নামেন্ট শেষ করে আগামীকালই বাংলাদেশে ফেরার ফ্লাইট ধরতে হবে দলকে।

ফেরার আগে একটা চমক দেখানোর সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের। দুবাইয়ে আজ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দুর্দান্ত কিছু করতে পারলে অ্যারন ফিঞ্চদের সেমিফাইনালে ওঠার হিসাব অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালের হিসাব কঠিন করে তুলতেই নয়, হারে হারে ক্লান্ত বাংলাদেশ এই ম্যাচে দারুণ কিছু করতে চাইছে শেষটা অন্তত ভালো করতে। প্রবাদে আছে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। গতকাল দুবাইয়ের অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে আসা দলের স্পিন পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথ বললেন, ‘পেশাদার হিসেবে আমাদের ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানো খুব দরকার। আমাদের সামনে আরেকটা ম্যাচ আছে। এখানে জয়ের মানসিকতা রাখা দরকার। জয়ের আত্মবিশ্বাস তৈরি করা খুব দরকার। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার কথাই ভাবতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগামীকাল (আজ) আমাদের আরেকটা সুযোগ। ছেলেরা বিশ্লেষণ করছে তারা কী করেছে আর তাদের কী করতে হবে।’

সুপার টুয়েলভে এখনো একটি ম্যাচও না জেতা বাংলাদেশের নতুন করে হারানোর কিছু নেই। বরং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কিছু করতে পারলে রঙিন সমাপ্তির তৃপ্তি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মাহমুদউল্লাহরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অবশ্য তিন মাস আগে ঘরের মাঠে ৪–১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। যদিও সেই সিরিজ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস কিংবা পরিসংখ্যান-রেকর্ড আজ খুব একটা কাজে দেবে না। মঞ্চ-প্রেক্ষাপট সবই ভিন্ন। এই অস্ট্রেলিয়া দলও অনেকটা ভিন্ন। ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথের মতো তারকারা খেলছেন টুর্নামেন্ট। সেমির আশা জিইয়ে রাখতে নিজেদের বাকি দুটি ম্যাচ শুধু জিতলে হবে না, রানরেটেও ভালোভাবে এগিয়ে থাকতে হবে—এই সমীকরণে বাংলাদেশের সামনে জ্বলে ওঠার সব চেষ্টাই করবেন অস্ট্রেলীয়রা।

গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার অ্যাস্টন অ্যাগারও জানালেন, তাঁদের ভাবনায় জয় ছাড়া কিছুই নেই। বলছেন, ‘আমরা এখন একটা জিনিসই করতে পারি, শুধুই সামনে এগিয়ে যাওয়া। ভালোভাবে জয়ের চেষ্টা করতে পারি। আমাদের দলের সেটা করার সামর্থ্যও আছে। আমাদের হাতে অনেক বিকল্প আছে। দলের গভীরতাও অনেক।’

আগস্টে বাংলাদেশের স্পিনসহায়ক কন্ডিশনে যেভাবে হাবুডুবু খেয়েছিলেন, সেটির পুনরাবৃত্তি আজ দুবাইয়ে হবে না বলেই বিশ্বাস অ্যাগারের, ‘বাংলাদেশের চেয়ে আমিরাতের কন্ডিশন সম্পূর্ণ আলাদা। সম্ভবত আমরা সবাই ওই কন্ডিশনে প্রথমবারের মতো খেলেছি। বাংলাদেশের উইকেটে খেলাটা আমাদের কাছে খুবই কঠিন মনে হয়েছিল। আর সত্যি বলতে বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে খেলেছিল দুর্দান্ত। তখন বাংলাদেশের ওই পারফরম্যান্সে আমরা মোটেও অবাক হইনি। এখানকার কন্ডিশন সম্পূর্ণ আলাদা। আমাদের দলও আলাদা।’

বেলা ২টায় খেলা বলে টস এখানে হয়তো বড় নিয়ামক হয়ে দাঁড়াবে না। তবে অস্ট্রেলিয়া টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত যে দুটি ম্যাচ জিতেছে, দুটিই রান তাড়া করে। হেরাথ অবশ্য জানালেন, দুবাইয়ের উইকেটে স্পিনারদের কিছুটা সহায়তা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ খেলবেন নাকি তাঁর জায়গায় মোস্তাফিজুর রহমান ফিরবেন—সেটি অবশ্য গতকাল বিকেলে পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ গতকাল অনুশীলনও করেনি, দিনটা বিশ্রামেই কেটেছে তাদের। বিশ্রামে কাটলেও সময়টা তাদের ভালো লাগার কথা নয়। দলের এক সদস্য যেমন বললেন, ‘কিছুই ভালো লাগছে না! শেষ ম্যাচটা যদি ভালোভাবে শেষ করতে পারি তাহলে একটু ভালো হয়। এই আশায় আছি। সত্যি বলতে, অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তেমন কিছু না করতে পারলে শূন্য হাতেই ফিরতে হবে। এখনো আশায় আছি, যদি শেষ ম্যাচটা ভালো করতে পারি, তাহলে একটু ভালো লাগবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত