Ajker Patrika

দৌলতখানে ভাঙনকবলিত ইউপির ভোট পৌর এলাকায়

ভোলা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ জুন ২০২২, ১৩: ৩১
দৌলতখানে ভাঙনকবলিত ইউপির ভোট পৌর এলাকায়

মেঘনা নদীর ভাঙনে অনেকটা বিলীন হয়ে যাওয়া ভোলা জেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট পৌর এলাকার একটি স্কুলকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ বুধবার। দৌলতখান উপজেলার ওই ইউনিয়নটির নাম হাজীপুর। কাগজে-কলমে অস্তিত্ব থাকলেও নদীভাঙনের মুখে এটি অনেকটাই বিলীনের পথে।

জানা যায়, দৌলতখান উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা মেঘনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বহু আগে। কয়েক বছর আগে সেখানে জেগে ওঠা চরে নেই মানুষের বসবাস। নেই কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। ওই চরে রয়েছে গরু-মহিষের ঘর ও মাছের আড়ত। আজ বুধবার ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন হচ্ছে। ইউনিয়নটিতে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র হচ্ছে দৌলতখান পৌরসভার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে।

মো. জয়নাল আবেদিন ফরাজী নামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা ও ভোটার বলেন, ‘হাজীপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা অনেক আগে মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ইউনিয়নটি মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। প্রায় ৮ বছর আগে সেখানে নতুন করে চর জেগে ওঠে। বর্ষার মৌসুমে ওই চরটি মেঘনা নদীর পানিতে ডুবে যায়। তখন সেখানে গিয়ে ভোট দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই ওই ইউপির ভোটকেন্দ্র দৌলতখান পৌরসভার একটি হাইস্কুলে করেছে প্রশাসন। সে কারণে হাজীপুর ইউপির প্রার্থীরাও পৌরসভা ও এর আশপাশের ইউনিয়নগুলোতে পোস্টারিংসহ প্রচার চালিয়েছেন।

দৌলতখান উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসব ঠিক করেছেন। আমাদের কাজ হলো নির্বাচন পরিচালনা করা। আমরা তাই করছি।’

দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তারেক হাওলাদার বলেন, ‘২০১১ সালের আদমশুমারি বিবেচনায় নিয়ে জনসংখ্যা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন বিলুপ্ত বা নেই—এমন কোনো অফিশিয়াল অর্ডার নেই। বিবিএস পরিসংখ্যান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একটি সংস্থা। তারা ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা বিলুপ্ত বলতে পারি না। আমরা প্রশাসন নিরাপত্তার বিষয়টি দেখব।’

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ শফিকুল হক বলেন, চরে যেহেতু বর্ষার সময় কোনো মানুষ থাকে না, সবাই মূল ভূমির বিভিন্ন স্থানে বা এলাকায় থাকে, এ ছাড়া যেহেতু চরে দুই-একটি মহিষের টিলা, মাছের আড়ত আছে, তাই সেখানে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তরা ওখানে থাকতেও পারবে না। তাই আমরা এসব দেখে কমিশনের কাছে মেইনল্যান্ডে নির্বাচন করার অনুমতি চেয়েছি এবং কমিশন অনুমতি দিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত