পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ছোট-বড় অনেক নদী ও খাল ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নৌপথের স্বাভাবিক যোগাযোগ। গ্রামাঞ্চলের সেচ প্রকল্পের আওতাভুক্ত কয়েকটি খাল ভরাট হয়ে শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উপজেলার প্রধান দুই নদী তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়ার অধিকাংশ স্থানে ডুবোচর জেগে ওঠায় ঢাকা ও বরিশালগামী যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই দুই নদীর কোথাও-না কোথাও লঞ্চ কিংবা মালবাহী কার্গো ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে। একসময়ের উত্তাল আলোকি নদী এখন মরা খাল। এ নদী দিয়ে কয়েক বছর আগেও যাতায়াত করত ডাবল ডেকার যাত্রীবাহী লঞ্চ, মালবোঝাই কার্গো। বর্তমানে আলোকি নদী দিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারও চলতে পারছে না। নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় কালিশুরী, কেশবপুর, সূর্যমনি ও মদনপুরা ইউনিয়নসহ বাউফলের উত্তরাঞ্চলের হাজারো মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
উপজেলার প্রসিদ্ধ বাণিজ্যকেন্দ্র কালাইয়া হাটের আলোগী নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ছাড়া কোনো নৌযান প্রবেশ করতে পারছে না। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি ও ব্যবসায়ীদের মালামাল সহজভাবে বহনের জন্য কালাইয়া-দশমিনা খাল এলাকাবাসীর কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অথচ ওই খাল দিয়ে এখন ডিঙি নৌকাও চলে না।
দাশপাড়া ইউনিয়নের ইলিশার খাল সেচকাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কিন্তু তা এখন পুরোপুরিই মরে গেছে। বর্ষা মৌসুমে এ খাল দিয়ে পানি নামতে না পারায় ওই ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। একই ইউনিয়নের মহিষাধি বদ্ধ খাল পরিষ্কারের অভাবে ক্রমেই ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নাজিরপুর ইউনিয়নের চরমিয়াজান কাটাভাড়ানি খাল মরে যাওয়ায় চরবাসী তাঁদের উৎপাদিত ফসল, সার ও বীজ সহজে বহন করতে পারছেন না।
বগা-বাউফল-নুরাইনপুর খাল দিয়ে আগে লঞ্চ চলাচল করত এখন নৌকা চলতেও সমস্যা হচ্ছে। কনকদিয়া-বগা খাল নাব্যতা হারিয়ে ফেলায় ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার চাকরিজীবীদের লঞ্চযোগে যাতায়াত করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
পরিবেশ-বিষয়ক ‘সংগঠন সেইভ দ্য বার্ড অ্যান্ড বি’র পরিচালক এম এ বাশার বলেন, ‘দখল-দূষণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ নদী ও খাল। এ কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এসব যদি শিগগির খনন না করা হয়, তাহলে একসময় প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা পশুপাখি খাদ্যাভাবে পড়বে। অস্তিত্ব-সংকট থাকবে প্রাণিকুল।’
উপজেলা ব্যবসায়ী নেতা নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী মাসুম বলেন, খালে পানি না থাকায় বর্ষা শেষ হতে না হতেই নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খালের তীরবর্তী এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসে। অপর দিকে পরিবেশের ওপর মারাত্মক বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ‘উপজেলার ছোট-বড় অনেক শাখা খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় কৃষিকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে—বিশেষ করে বোরো মৌসুমে। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি অবহিত করেছি।’
বাউফলের মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় শুধু যাতায়াত কিংবা কৃষিকাজে সমস্যাই নয়, মাছসহ জলজ প্রাণীদের জন্য তা অশনিসংকেত।’
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল আমিন বলেন, ‘উপজেলার যেসব অভ্যন্তরীণ খাল ও নদী নাব্যতা-সংকটে রয়েছে, তার তালিকা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ছোট-বড় অনেক নদী ও খাল ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নৌপথের স্বাভাবিক যোগাযোগ। গ্রামাঞ্চলের সেচ প্রকল্পের আওতাভুক্ত কয়েকটি খাল ভরাট হয়ে শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উপজেলার প্রধান দুই নদী তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়ার অধিকাংশ স্থানে ডুবোচর জেগে ওঠায় ঢাকা ও বরিশালগামী যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই দুই নদীর কোথাও-না কোথাও লঞ্চ কিংবা মালবাহী কার্গো ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে। একসময়ের উত্তাল আলোকি নদী এখন মরা খাল। এ নদী দিয়ে কয়েক বছর আগেও যাতায়াত করত ডাবল ডেকার যাত্রীবাহী লঞ্চ, মালবোঝাই কার্গো। বর্তমানে আলোকি নদী দিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারও চলতে পারছে না। নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় কালিশুরী, কেশবপুর, সূর্যমনি ও মদনপুরা ইউনিয়নসহ বাউফলের উত্তরাঞ্চলের হাজারো মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
উপজেলার প্রসিদ্ধ বাণিজ্যকেন্দ্র কালাইয়া হাটের আলোগী নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ছাড়া কোনো নৌযান প্রবেশ করতে পারছে না। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি ও ব্যবসায়ীদের মালামাল সহজভাবে বহনের জন্য কালাইয়া-দশমিনা খাল এলাকাবাসীর কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অথচ ওই খাল দিয়ে এখন ডিঙি নৌকাও চলে না।
দাশপাড়া ইউনিয়নের ইলিশার খাল সেচকাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কিন্তু তা এখন পুরোপুরিই মরে গেছে। বর্ষা মৌসুমে এ খাল দিয়ে পানি নামতে না পারায় ওই ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। একই ইউনিয়নের মহিষাধি বদ্ধ খাল পরিষ্কারের অভাবে ক্রমেই ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নাজিরপুর ইউনিয়নের চরমিয়াজান কাটাভাড়ানি খাল মরে যাওয়ায় চরবাসী তাঁদের উৎপাদিত ফসল, সার ও বীজ সহজে বহন করতে পারছেন না।
বগা-বাউফল-নুরাইনপুর খাল দিয়ে আগে লঞ্চ চলাচল করত এখন নৌকা চলতেও সমস্যা হচ্ছে। কনকদিয়া-বগা খাল নাব্যতা হারিয়ে ফেলায় ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার চাকরিজীবীদের লঞ্চযোগে যাতায়াত করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
পরিবেশ-বিষয়ক ‘সংগঠন সেইভ দ্য বার্ড অ্যান্ড বি’র পরিচালক এম এ বাশার বলেন, ‘দখল-দূষণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ নদী ও খাল। এ কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এসব যদি শিগগির খনন না করা হয়, তাহলে একসময় প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা পশুপাখি খাদ্যাভাবে পড়বে। অস্তিত্ব-সংকট থাকবে প্রাণিকুল।’
উপজেলা ব্যবসায়ী নেতা নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী মাসুম বলেন, খালে পানি না থাকায় বর্ষা শেষ হতে না হতেই নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খালের তীরবর্তী এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসে। অপর দিকে পরিবেশের ওপর মারাত্মক বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ‘উপজেলার ছোট-বড় অনেক শাখা খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় কৃষিকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে—বিশেষ করে বোরো মৌসুমে। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি অবহিত করেছি।’
বাউফলের মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় শুধু যাতায়াত কিংবা কৃষিকাজে সমস্যাই নয়, মাছসহ জলজ প্রাণীদের জন্য তা অশনিসংকেত।’
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল আমিন বলেন, ‘উপজেলার যেসব অভ্যন্তরীণ খাল ও নদী নাব্যতা-সংকটে রয়েছে, তার তালিকা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪