Ajker Patrika

মাদক কারবারিদের ধরিয়ে দেওয়ায় সায়মনকে খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ১৫
মাদক কারবারিদের ধরিয়ে দেওয়ায় সায়মনকে খুন

গ্লাসের দোকানে কাজ করতেন সুমন (২৯)। গ্লাস কাটার মিস্ত্রি হিসেবে এলাকায় সবাই তাঁকে একনামে চেনে গ্লাস সুমন নামে। পরে এলাকায় ‘গ্লাস কোম্পানি’ নামে একটি চক্র গড়ে তোলেন তিনি। ওই দলের সব সদস্যই তাঁর হাতে মার খেয়ে দলে নাম লিখিয়েছেন। র‍্যাব বলছে, দীর্ঘদিন গ্লাস কোম্পানির রয়েছে কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ। গ্লাস সুমনের নামে পাঁচটি মামলা থাকলেও তিনি হত্যা মামলার আসামি হলেন এই প্রথম।

গত রোববার রাতে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সায়মন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সুমন ও তাঁর চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-১০।

গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, সায়মন হত্যার মূল হোতা সুমন। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন, সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ, শরিফ গরিব, জনি ওরফে হর্স পাওয়ার জনি ও হারুন। তাঁদের কাছ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহার করা সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

র‍্যাব জানিয়েছে, গ্লাসের দোকানে কাজ করার সময় ভাঙা গ্লাস দিয়ে বিভিন্ন সময় মানুষের ওপর আক্রমণ করে জখম করতেন সুমন। এভাবেই এলাকায় গ্লাস সুমন হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। তাঁর দলের সদস্য ১২-১৫ জন বলে জানানো হয়েছে ওই সংবাদ সম্মেলনে। এতে বলা হয়, গ্রেপ্তার সুমন হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে সশরীরে উপস্থিত থেকে নিহত সায়মনের রগ কাটেন।

র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কিছুদিন আগে মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তথ্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে গ্লাস কোম্পানির সঙ্গে সায়মনের শত্রুতা শুরু হয়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে গ্লাস সুমন ও তাঁর সহযোগীরা সায়মনকে উচিত শিক্ষা দিতেই হাত-পায়ের রগ কেটে তাঁকে হত্যা করেন।

র‍্যাব জানায়, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সায়মনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের সন্দেহ ছিল সায়মনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই সুমনের বাহিনীর কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ জন্য ঘটনার কয়েক দিন আগে বালুরচর মুক্তিরবাগ বালুর মাঠে বসে সায়মনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। গ্লাস সুমনের নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত পরিকল্পনায় চক্রের পাঁচ-ছয়জন সদস্য অংশ নেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত শনিবার গ্লাস সুমন সিন্ডিকেটের সদস্যরা সায়মনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান পশ্চিম ভাগনা এলাকায়। সেখানে গ্লাস সুমনের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন ৩০ মিনিটের কিলিং মিশনে অংশ নেন। সায়মনের হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় হত্যাকারীরা। একপর্যায়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তাঁরা পালিয়ে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

মুচলেকা দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত