মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চেঙ্গাইন গ্রামের মেয়েরা পরচুলা তৈরি করে পড়াশোনা ও পরিবারের বাড়তি আয়ের দিকে ঝুঁকছে। আর তা সম্ভব হয়েছে খায়রুল ইসলাম রাজিব নামের এক ব্যক্তির পরচুলার কারখানা স্থাপনের মধ্য দিয়ে। শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, গ্রামের নারীরাও অবসরে পরচুলা তৈরির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। হচ্ছেন পুরুষের সহায়ক।
জান্নাত আরা। দক্ষ না হলেও এই বয়সে তার নরম হাতে তৈরি হচ্ছে পরচুলা। তবে সে এই কাজ করছে অবসরে, পড়াশোনার ফাঁকে। যা পরিবারের বাড়তি আয়ে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
জান্নাতের মতো সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার চেঙ্গাইন গ্রামের ইদ্রীস আলীর নির্মাণাধীন বাড়ির দোতলায় কয়েক মাস আগে খায়রুল ইসলাম রাজিব গড়ে তোলেন পরচুলা তৈরির ছোট কারখানা। তাঁর আরও চারটি পরচুলা তৈরির কারখানা রয়েছে। সীমিত পরিসরে তিনি গড়ে তুলেছেন এই কারখানা। দক্ষ কর্মীর অভাব থাকায় কারখানার পরিসর বাড়াতে পারছেন না কারাখানার মালিক। কারণ, চেঙ্গাইন গ্রামের পরচুলার কারখানার অধিকাংশ কর্মীই যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার ফাঁকে শিক্ষার্থীরাই তৈরি করছে পরচুলা। এ কাজ করে মাসে আয় করছে ১০ হাজার পর্যন্ত।
কারখানার মালিক খায়রুল ইসলাম রাজিব বলেন, ‘দক্ষ ও পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব রয়েছে। কর্মী পেলে এ মুহূর্তেই এই কারখানায় আরও ২০০ নারীর কর্মসংস্থান কারা সম্ভব। বর্তমানে আমার কারখানার অধিকাংশ কর্মীই বিভিন্ন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রী। তারা পড়াখেলার পাশাপাশি অবসরে পরচুলার তৈরির কাজ করছে। এখানে কাজ করে অনেকেই মাসে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত টাকা উপার্জন করছে। এখানের যারা কাজ করছে, তাদের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতাও লাগছে না। আমি তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’
লাখপুর ফাজিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ময়না (১৪) বলে, ‘গত মাসে এখানে পরচুলা বানাবার কাজ করে চার হাজার টাকা আয় করি। এ টাকা পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার কাছে তুলে দিচ্ছি। এই টাকা আমার পরিবারে জন্য বাড়তি আয়। এতে আমার পড়ালেখায় কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। পরিবারও খুশি।’
নিউ টাইম হেয়ার স্টাইল নামের এই পরচুলা তৈরির কারখানার ম্যানেজার মো. মিজান বলেন, ‘এখানের কর্মীরা দক্ষ না হলেও তারা কাজে প্রতিদিন উন্নতি করছে। ময়নার কথা ধরুন। সে এই মাসের ১৭ দিনেই ৩ হাজার টাকা আয় করেছে। তাহলে মাসে শেষে ৬ হাজারের মতো আয় করতে পারবে।’
তার মতো অনেক শিক্ষার্থী নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে পরচুলার কারখানায়। জান্নাত আরা এই কারখানার সবচেয়ে কম বয়সী কর্মী। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে চারটি পরচুলা তৈরি করেছে।
বাজার থেকে চুলসহ নানা উপকরণ কিনে আনেন কারখানার মালিক রাজির। সেই চুল সুঁই দিয়ে গেঁথে গেঁথে পরচুলার প্রাথমিক কাজটুকু করেন কর্মীরা। পরচুলার দামে ক্ষেত্রে রয়েছে ভিন্নতা। তেমনি এই কারখানার কর্মীদের পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রেও রয়েছে ভিন্নতা। শ্রেণিভেদে দেড় শ থেকে চার শ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পান এখানকার কর্মীরা।
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চেঙ্গাইন গ্রামের মেয়েরা পরচুলা তৈরি করে পড়াশোনা ও পরিবারের বাড়তি আয়ের দিকে ঝুঁকছে। আর তা সম্ভব হয়েছে খায়রুল ইসলাম রাজিব নামের এক ব্যক্তির পরচুলার কারখানা স্থাপনের মধ্য দিয়ে। শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, গ্রামের নারীরাও অবসরে পরচুলা তৈরির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। হচ্ছেন পুরুষের সহায়ক।
জান্নাত আরা। দক্ষ না হলেও এই বয়সে তার নরম হাতে তৈরি হচ্ছে পরচুলা। তবে সে এই কাজ করছে অবসরে, পড়াশোনার ফাঁকে। যা পরিবারের বাড়তি আয়ে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
জান্নাতের মতো সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার চেঙ্গাইন গ্রামের ইদ্রীস আলীর নির্মাণাধীন বাড়ির দোতলায় কয়েক মাস আগে খায়রুল ইসলাম রাজিব গড়ে তোলেন পরচুলা তৈরির ছোট কারখানা। তাঁর আরও চারটি পরচুলা তৈরির কারখানা রয়েছে। সীমিত পরিসরে তিনি গড়ে তুলেছেন এই কারখানা। দক্ষ কর্মীর অভাব থাকায় কারখানার পরিসর বাড়াতে পারছেন না কারাখানার মালিক। কারণ, চেঙ্গাইন গ্রামের পরচুলার কারখানার অধিকাংশ কর্মীই যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার ফাঁকে শিক্ষার্থীরাই তৈরি করছে পরচুলা। এ কাজ করে মাসে আয় করছে ১০ হাজার পর্যন্ত।
কারখানার মালিক খায়রুল ইসলাম রাজিব বলেন, ‘দক্ষ ও পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব রয়েছে। কর্মী পেলে এ মুহূর্তেই এই কারখানায় আরও ২০০ নারীর কর্মসংস্থান কারা সম্ভব। বর্তমানে আমার কারখানার অধিকাংশ কর্মীই বিভিন্ন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রী। তারা পড়াখেলার পাশাপাশি অবসরে পরচুলার তৈরির কাজ করছে। এখানে কাজ করে অনেকেই মাসে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত টাকা উপার্জন করছে। এখানের যারা কাজ করছে, তাদের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতাও লাগছে না। আমি তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’
লাখপুর ফাজিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ময়না (১৪) বলে, ‘গত মাসে এখানে পরচুলা বানাবার কাজ করে চার হাজার টাকা আয় করি। এ টাকা পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার কাছে তুলে দিচ্ছি। এই টাকা আমার পরিবারে জন্য বাড়তি আয়। এতে আমার পড়ালেখায় কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। পরিবারও খুশি।’
নিউ টাইম হেয়ার স্টাইল নামের এই পরচুলা তৈরির কারখানার ম্যানেজার মো. মিজান বলেন, ‘এখানের কর্মীরা দক্ষ না হলেও তারা কাজে প্রতিদিন উন্নতি করছে। ময়নার কথা ধরুন। সে এই মাসের ১৭ দিনেই ৩ হাজার টাকা আয় করেছে। তাহলে মাসে শেষে ৬ হাজারের মতো আয় করতে পারবে।’
তার মতো অনেক শিক্ষার্থী নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে পরচুলার কারখানায়। জান্নাত আরা এই কারখানার সবচেয়ে কম বয়সী কর্মী। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে চারটি পরচুলা তৈরি করেছে।
বাজার থেকে চুলসহ নানা উপকরণ কিনে আনেন কারখানার মালিক রাজির। সেই চুল সুঁই দিয়ে গেঁথে গেঁথে পরচুলার প্রাথমিক কাজটুকু করেন কর্মীরা। পরচুলার দামে ক্ষেত্রে রয়েছে ভিন্নতা। তেমনি এই কারখানার কর্মীদের পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রেও রয়েছে ভিন্নতা। শ্রেণিভেদে দেড় শ থেকে চার শ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পান এখানকার কর্মীরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪