আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
কলকাতায় শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দরে দুর্ঘটনায় পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘মেরিন ট্রাস্ট-১’-এ থাকা ১৫ জন নাবিককে দেড় মাস ধরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশি জাহাজ থেকে জরিমানা আদায় এবং তদন্তের স্বার্থে নাবিকদের সেখানে রাখা হয়েছে বলে দাবি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের।
এ বিষয়ে গত ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশের নৌ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভারতে নৌ অধিদপ্তর মহাপরিচালক বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে বাংলাদেশি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। এর আগে গত ২৪ মার্চ কন্টেইনার বোঝাই করার সময় কলকাতায় শ্যামা প্রাসাদ মুখার্জি বন্দরের ৫ নম্বর বার্থে বাংলাদেশি জাহাজটি কাত হয়ে পড়ে। এরপর দফায় দফায় দুই দেশের চিঠি চালাচালির পরও এর সুরাহা হয়নি। একপর্যায়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজটির মালিক দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। এতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়।
সর্বশেষ গত ১১ মে কলকাতার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে কলকাতায় বাংলাদেশি ডেপুটি হাইকমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়। তিন পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ বলে, জাহাজটির দুর্ঘটনার কারণে তাঁদের প্রতিদিন ৪৬ লাখ রুপি ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া জাহাজটি থেকে নিঃসরিত তেলে ওখানকার পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এ ছাড়া জাহাজটির বাংলাদেশি মালিকপক্ষ বিনা পয়সায় বন্দর থেকে সার্ভিস চাওয়ার অভিযোগ করা হয়। ওই চিঠিতে জাহাজটি সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল (আরেক পত্রে) দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটির মালিক মেসার্স মেরিন ট্রাস্টকে চিঠি দিয়ে কলকাতা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, জাহাজটির দুর্ঘটনার কারণে সব দায় ও ক্ষতিপূরণ মালিককে পরিশোধ করতে বরা হয়। ওই চিঠিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তাগাদা দেওয়া হয়।
কলকাতার মেরিন ক্লাবে থাকা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের ক্যাপ্টেন এ কে এম মুছা বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে আমাদের কলকাতার মেরিন ক্লাবে রাখা হয়েছে। এখানে থাকা-খাওয়ায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকা অনেক কষ্টের। স্বজনদের সঙ্গে ঈদও করতে পারিনি।’ তিনি দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করে দ্রুত তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানান।
জাহাজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেরিন ট্রাস্ট লিমিটেডের টেকনিক্যাল ম্যানেজার মো. শামীম সাজ্জাদ শিমুল বলেন, জাহাজটি দ্রুত উদ্ধারে ভারতীয় নামি প্রতিষ্ঠান ‘গিল মেরিনার্স’কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ৩০টি কন্টেইনার পানি থেকে তুলে ফেলেছিল। উদ্ধার কাজ অনেক দূর এগিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির ইনস্যুরেন্স কাভারেজ না থাকার অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ রাখে। সেই সঙ্গে জাহাজটি জেটিতে থাকায় ক্ষতিপূরণ বাবদ দিনে ৪৫ লাখ ভারতীয় রুপি আদায়ের দাবি করে। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অবাস্তব।
জাহাজটি উদ্ধারে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতা এবং দিনে ৪৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করা হয়। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে ৫১ কোটি টাকা দামের জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
কলকাতার মেরিন ক্লাবে আটকে থাকা নাবিকের হলেন ক্যাপ্টেন এ কে এম মুছা, মাস্টার মো. আসগর আলী, অনিমেষ সিকদার, ফাহিম ফয়সাল, শাহ ফরান খান, মো. ফরহাদ সিকদার, মো. সহিদুল আলম, আবু বকর, মো. ইমরান হোনাইন, মো. নাজমুস সাদাত, মো. আল আমিন, মোটরম্যান মো. মিজানুর রহমান, মো. আরিফুর রহমান, শাহ মাহ্বুবুর রহমান হৃদয় ও বাবুর্চি মো. আব্দুল হক।
নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘আমি দুই দিন জাহাজের মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। শিগগিরই জাহাজের ক্যাপ্টেন ও চিফ ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’
কলকাতায় শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দরে দুর্ঘটনায় পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘মেরিন ট্রাস্ট-১’-এ থাকা ১৫ জন নাবিককে দেড় মাস ধরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশি জাহাজ থেকে জরিমানা আদায় এবং তদন্তের স্বার্থে নাবিকদের সেখানে রাখা হয়েছে বলে দাবি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের।
এ বিষয়ে গত ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশের নৌ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভারতে নৌ অধিদপ্তর মহাপরিচালক বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে বাংলাদেশি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। এর আগে গত ২৪ মার্চ কন্টেইনার বোঝাই করার সময় কলকাতায় শ্যামা প্রাসাদ মুখার্জি বন্দরের ৫ নম্বর বার্থে বাংলাদেশি জাহাজটি কাত হয়ে পড়ে। এরপর দফায় দফায় দুই দেশের চিঠি চালাচালির পরও এর সুরাহা হয়নি। একপর্যায়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজটির মালিক দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। এতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়।
সর্বশেষ গত ১১ মে কলকাতার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে কলকাতায় বাংলাদেশি ডেপুটি হাইকমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়। তিন পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ বলে, জাহাজটির দুর্ঘটনার কারণে তাঁদের প্রতিদিন ৪৬ লাখ রুপি ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া জাহাজটি থেকে নিঃসরিত তেলে ওখানকার পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এ ছাড়া জাহাজটির বাংলাদেশি মালিকপক্ষ বিনা পয়সায় বন্দর থেকে সার্ভিস চাওয়ার অভিযোগ করা হয়। ওই চিঠিতে জাহাজটি সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল (আরেক পত্রে) দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটির মালিক মেসার্স মেরিন ট্রাস্টকে চিঠি দিয়ে কলকাতা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, জাহাজটির দুর্ঘটনার কারণে সব দায় ও ক্ষতিপূরণ মালিককে পরিশোধ করতে বরা হয়। ওই চিঠিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তাগাদা দেওয়া হয়।
কলকাতার মেরিন ক্লাবে থাকা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের ক্যাপ্টেন এ কে এম মুছা বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে আমাদের কলকাতার মেরিন ক্লাবে রাখা হয়েছে। এখানে থাকা-খাওয়ায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকা অনেক কষ্টের। স্বজনদের সঙ্গে ঈদও করতে পারিনি।’ তিনি দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করে দ্রুত তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানান।
জাহাজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেরিন ট্রাস্ট লিমিটেডের টেকনিক্যাল ম্যানেজার মো. শামীম সাজ্জাদ শিমুল বলেন, জাহাজটি দ্রুত উদ্ধারে ভারতীয় নামি প্রতিষ্ঠান ‘গিল মেরিনার্স’কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ৩০টি কন্টেইনার পানি থেকে তুলে ফেলেছিল। উদ্ধার কাজ অনেক দূর এগিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির ইনস্যুরেন্স কাভারেজ না থাকার অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ রাখে। সেই সঙ্গে জাহাজটি জেটিতে থাকায় ক্ষতিপূরণ বাবদ দিনে ৪৫ লাখ ভারতীয় রুপি আদায়ের দাবি করে। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অবাস্তব।
জাহাজটি উদ্ধারে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতা এবং দিনে ৪৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করা হয়। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে ৫১ কোটি টাকা দামের জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
কলকাতার মেরিন ক্লাবে আটকে থাকা নাবিকের হলেন ক্যাপ্টেন এ কে এম মুছা, মাস্টার মো. আসগর আলী, অনিমেষ সিকদার, ফাহিম ফয়সাল, শাহ ফরান খান, মো. ফরহাদ সিকদার, মো. সহিদুল আলম, আবু বকর, মো. ইমরান হোনাইন, মো. নাজমুস সাদাত, মো. আল আমিন, মোটরম্যান মো. মিজানুর রহমান, মো. আরিফুর রহমান, শাহ মাহ্বুবুর রহমান হৃদয় ও বাবুর্চি মো. আব্দুল হক।
নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘আমি দুই দিন জাহাজের মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। শিগগিরই জাহাজের ক্যাপ্টেন ও চিফ ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪