Ajker Patrika

পাঁচ মাসে ১৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি

আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ৩২
পাঁচ মাসে ১৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি

চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসেই রাজস্ব ঘাটতি ১৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি পড়েছে ভ্যাট খাতে। তবে গেল অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের তুলনায় গত পাঁচ মাসে প্রায় ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হালনাগাদ রাজস্ব আহরণের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

রাজস্ব আয়ে গেল দুই অর্থবছরেই বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে এনবিআর। তবে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় হওয়ায় সব কিছু খুলে দেওয়ায় রাজস্ব আয় বাড়বে বলে আশা সংস্থাটির। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে শুল্ক খাতের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৩৮ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা। আর এ সময় পর্যন্ত আদায় হয়েছে ৩৩ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি পড়েছে ৪ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা।

ভ্যাট খাতের লক্ষ্যমাত্রা ৪২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৩৬ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। ঘাটতি পড়েছে ৫ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। এদিকে ঘাটতি পড়লেও শুল্ক ও ভ্যাট থেকে তা কম আয়কর খাতে। এ খাতের ৩২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৯ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। ঘাটতি ২ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে গেল পাঁচ মাসে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এনবিআরের তিনটি বিভাগ আদায় করতে সক্ষম হয়েছে ১ লাখ ২৬৭ কোটি টাকা। ফলে মোট ঘাটতি হয়েছে ১৩ হাজার ৯৯ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে এনবিআরের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফিরতে শুরু করেছে। এখন ঘাটতি থাকলেও সামনের দিনগুলোয় রাজস্ব আয় কাঙ্ক্ষিত মাত্রা পাবে বলে মনে করেন তিনি।

 

ভ্যাট ফাঁকির মামলা

ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে। অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমার ওপর ১ কোটি ৯ লাখ ৭৬ হাজার ১ টাকা পরিশোধ করেছে। কিন্তু তাদের প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৭৮ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৫ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করা হয়েছে।

 

ব্যাংক হিসাব তলব

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরীর দুই ছেলে হামিম রাইস চৌধুরী ও হাজিক রাইস চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব করেছে এনবিআর। ব্যাংক হিসাবের পাশাপাশি হামিম ও হাজিক চৌধুরীর নামে যেকোনো সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, সঞ্চয়পত্র, এবং অন্য যেকোনো ধরনের স্কিম বা হিসাব থাকলে তার বিবরণীও জমা দিতে বলা হয়েছে। এমনকি বন্ধ হয়ে গেছে এমন হিসাব থাকলেও তা জমা দিতে বলেছে এনবিআর।

এইচআরসি গ্রুপের মালিকানায় রিয়েল এস্টেট, ব্যাংক, ইনস্যুরেন্সসহ বিভিন্ন খাতের ২৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত