Ajker Patrika

লাভজনক হওয়ায় বাড়ছে আগ্রহ

নানিয়ারচর (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৯
Thumbnail image

রাঙামাটির নানিয়ারচরে চলতি মৌসুমে ব্যাপকভাবে বোরো চাষ হয়েছে। ধানের দাম ভালো পেয়ে বোরো আবাদে উৎসাহী হয়েছেন উপজেলার কৃষকেরা। এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় প্রথম মৌসুমে ১ হাজার ২ হেক্টরে আমন ধান রোপণ হয়। এতে ফলন হয়েছে ২ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আমনের বিআর-২৫ ও বিরি ধান ৪৯ বেশি উৎপাদন হয়েছিল। এখন বোরো চাষের মৌসুম চলছে। এবার ৫১১ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে লাভজনক হওয়ায় ৭০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে এর আবাদ আশা করা হচ্ছে।

বোরো মৌসুমে বেশি চাষ হচ্ছে বোরো উফশী জাতের ২৮,২৯ ও বিনা ১০ জাতের ধান। পাশাপাশি উফশী নতুন জাত ৯২ ও ৮৯ চাষ হচ্ছে। এসবের চাষের পরিমাণও বেশ দেখা যাচ্ছে। বোরো ধানের হাইব্রিডের হিরা ২, হিরা ৫, নবীন—এসব ধান চাষ হচ্ছে ব্যাপক।

স্বল্প সময়ে এ ধান চাষ করার পাশাপাশি অন্য ফসল আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এতে ধান চাষে একদিকে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন; পাশাপাশি অন্য ফসলের আবাদ করে বাড়তি আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন চাষিরা।

বিধান চাকমা নামের এক চাষি জানান, প্রথমবারের মতো তাঁর জমিতে আমন-৩৯ চাষ করে মণপ্রতি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা হারে চাল বিক্রি করা গেছে। এ ছাড়া ধান থেকে আসা কুঁড়া মণে ৫০০ টাকা আর খড়ও বিক্রি করা গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টিপু সুলতান এ ব্যাপারে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছর উপজেলায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছিল। এবার ধারণা ছিল ৫১১ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হবে। দেখা যাচ্ছে, লাভজনক হওয়ায় এবার ৭০০ থেকে ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে। এখানকার মাটি উর্বর হওয়ায় ফলন হয় বেশি। এ জন্য এই বোরো চাষে চাষিদের আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত