Ajker Patrika

অর্থাভাবে চোখ হারাতে বসেছে আহত ছাত্র

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ১৯
Thumbnail image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে একটি আমবাগানে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেলের বিস্ফোরণে আহত স্কুলছাত্র অর্থাভাবে চোখ হারাতে বসেছে। সম্প্রতি সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে ইমন।

ওই স্কুলছাত্রের নাম রিমন ওরফে ইমন (১১)। সে শিবগঞ্জ পৌর চতুরপুর মহল্লার আনারুল ইসলামের ছেলে ও আলীডাঙা জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

গত বুধবার বিকেলে শিবগঞ্জ পৌর চতুরপুর মহল্লায় ইমনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে-একটি ঘরে বিছানায় শুয়ে আছে ইমন। পাশেই বসে আছে মা শিউলি বেগম। ইমনের এখন পড়ার টেবিলে থাকার কথা। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা তাকে সবকিছু থেকে দূরে রেখেছে।

জানা গেছে, ১৮ মার্চে দুপুরের খাবার খেয়ে ইমন ও তাঁর ছোট ভাই ইকবাল শিবগঞ্জ স্টেডিয়াম সংলগ্ন পশ্চিম দিকের আমবাগানে গাছের পাতা ও ডালপালা কুড়াতে যায়। এ সময় একটি পরিত্যক্ত ককটেল দেখে পা দিয়ে লাথি মারলে সেটি বিস্ফোরিত হয়। এতে রিমনের বাম চোখসহ শরীরের বিভিন্নস্থান জখম হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত ইকবালকে দেওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসা। কিন্তু ইমনের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। টানা পাঁচ দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আসে সে।

ইমনের মা শিউলি বেগম বলেন, ছেলের চিকিৎসার জন্য বাড়ির চারটি ছাগল বিক্রি করা হয়। একই সঙ্গে আশপাশের লোকজনদের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসকেরা বলেছেন-এক মাস পর আবার ছেলেকে দেখিয়ে নিয়ে আসতে হবে।

ইমনের মা আরও বলেন, তিন মাস পর ছেলের অপারেশন করাতে হবে। স্বামী একজন ভ্যান চালক। মাঝেমধ্যে তাঁত শিল্পের কাজ করে কোনো মতে সংসার চলে তাঁদের। কিন্তু ছেলে চিকিৎসা করাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন স্কুলছাত্রের অসহায় মা-বাবা।

শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ বলেন, পরিত্যক্ত ককটেল বিস্ফোরণে শিশু আহতের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত