তানিম আহমেদ, ঢাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ব্যক্তিগত স্বার্থের সংশ্লিষ্টতা থাকা সংসদ সদস্যরাও পদ পেয়েছেন। কমিটির সভাপতিও হয়েছেন কেউ কেউ। এ ছাড়া সদ্য সাবেক সরকারের ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন দায়িত্ব পালন করে আসা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে কমিটি গঠনে কার্যপ্রণালি বিধির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেছে। স্বার্থের সংঘাত তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক মন্ত্রী কমিটির সভাপতি হওয়ায় তাঁর সময়ে মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ না-ও আসতে পারে। এতে জবাবদিহির সম্ভাবনা কমে যায়।
অবশ্য জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেছেন, মন্ত্রণালয়ে কাজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে সদ্য সাবেক মন্ত্রীদের কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। যে কেউ ব্যবসা করতে পারেন, তবে দেখতে হবে, ব্যবসাটি সরকারের সঙ্গে কি না।
জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে আছে, এমন কোনো সদস্য সংসদীয় কমিটিতে নিযুক্ত হবেন না যাঁর ব্যক্তিগত, আর্থিক ও প্রত্যক্ষ স্বার্থ কমিটিতে বিবেচিত হতে পারে, এমন বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে। সংসদীয় কমিটির কাজ হলো বিল পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়া এবং কমিটির আওতাধীন মন্ত্রণালয়ের কাজ পর্যালোচনা, অনিয়ম ও গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে গত ৩০ জানুয়ারি। যাত্রা শুরুর পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যেই ৫০টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সব কটি গঠন করা হয়েছে। ৩৯টি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির মধ্যে ১৩টির সভাপতি হয়েছেন সদ্য বিদায়ী সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। তাঁদের মধ্যে ১২ জনই দায়িত্ব পালন করে আসা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি হয়েছেন।
সংসদীয় কমিটির সদস্যদের হলফনামা ঘেঁটে দেখা যায়, কয়েকটি কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিটিতে থাকা গুরুতর বিষয়। আমরা আশা করি, সরকার এটা পুনর্বিবেচনা করবে এবং সংসদ সদস্য আচরণবিধি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেবে।’
গবেষণায় দেখা যায়, নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, নবম জাতীয় সংসদের ৫১টি কমিটির মধ্যে ৬টি কমিটিতে এবং দশম সংসদের ৫০টি কমিটির মধ্যে ৫টি কমিটিতে সদস্যের কমিটি-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা ছিল। আগে কখনো কখনো কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক স্বার্থের অনুকূলে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পদাধিকারবলে সদস্য হওয়ায় এবং কোনো কোনো কমিটিতে পূর্বতন মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির সভাপতি হওয়ায় জবাবদিহি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও ওঠে।
দশম সংসদ নির্বাচনের পর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সংসদীয় কমিটি গঠন নিয়ে কিছু সুপারিশ করেছিল। এগুলোর মধ্যে ছিল কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের বাণিজ্যিক, আর্থিক সম্পৃক্ততার তথ্য প্রতিবছর হালনাগাদ করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা, কমিটির সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বার্থের দ্বন্দ্বসম্পর্কিত তথ্য সম্পূর্ণ যাচাই করা এবং কোনো সদস্য কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির পর কমিটি-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক স্বার্থসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া গেলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাঁকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার বিধান করা। বর্তমান বা পূর্বতন কোনো মন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি/সদস্যপদ না দেওয়ার বিধান করার সুপারিশও করা হয়েছিল।
তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা হয়েছে সদ্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে। তাঁর পেশা ব্যবসা, তৈরি পোশাকশিল্প ও অন্যান্য ব্যবসা আছে। কমিটির এক সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ও তাঁর পরিবার বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। আরেক সদস্য সুলতানা নাদিরা মধুমতি টাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন নোয়াখালী-১ আসনের সরকারদলীয় এমপি এইচ এম ইব্রাহীম। তিনি তৈরি পোশাকশিল্প (ব্লমিংডেল লি. ও রয়েল ড্রেসেস ইন্টারন্যাশনাল), বিদ্যুৎ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং শিপিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই কমিটির সদস্য শামীম ওসমানেরও তৈরি পোশাকশিল্পের (উইসডম নিটিং মিলস) ব্যবসা রয়েছে। আরেক সদস্য এস এম আল মামুনের রয়েছে শিপ ব্রেকিং ব্যবসা।
অবশ্য এইচ এম ইব্রাহীম গতকাল রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, ২০০৭ সালের পর তৈরি পোশাকশিল্প ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। তবে তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় কোম্পানির নাম আছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর পারিবারিক লঞ্চ ব্যবসা রয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসায় যুক্ত আছেন বলে জানা গেছে। এই কমিটির সভাপতি হয়েছেন মন্ত্রণালয়টির সদ্য সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আগেও এ-সংক্রান্ত কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, এখনো কোনো ব্যবসা করি না। তাই স্বার্থের সংঘাত নেই।’ তাঁর আমলের কোনো অনিয়ম নিয়ে আলোচনা হলে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তো থাকবে—এমন কথায় তিনি কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিম মাহমুদ আন্তর্জাতিক আইন ও জ্বালানিবিষয়ক পরামর্শক। আরেক সদস্য আবদুর রউফের পেট্রলপাম্পের ব্যবসা আছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী ঠিকাদারি ব্যবসা করেন।
টিপু মুনশি ও ইমরান আহমদ ছাড়াও সদ্য সাবেক আরও ১০ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছেড়ে আসা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন। তাঁরা হলেন এ কে আব্দুল মোমেন (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), আব্দুর রাজ্জাক (কৃষি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), শ ম রেজাউল করিম (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), বীর বাহাদুর উশৈসিং (পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), শরীফ আহমেদ (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি) এবং জাহিদ আহসান (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি)।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ওই মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি বা সদস্য হলে তাঁর সময়ে নেওয়া প্রকল্পের অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ না-ও আসতে পারে। আবার এলেও লোকদেখানো আলোচনা হতে পারে। তাই এমন কমিটির কাছে প্রাপ্তির সম্ভাবনা বাস্তবসম্মত নয়।
তবে সাবেক মন্ত্রীদের কমিটির সভাপতি করাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, সদ্য সাবেক মন্ত্রীদের মন্ত্রণালয়ে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। তাঁরা অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সংসদীয় কমিটিকে গতিশীল করতে পারবেন। ব্যবসা অনেকের আছে, যে কেউ ব্যবসা করতে পারেন। দেখতে হবে তাঁরা সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করছেন কি না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ব্যক্তিগত স্বার্থের সংশ্লিষ্টতা থাকা সংসদ সদস্যরাও পদ পেয়েছেন। কমিটির সভাপতিও হয়েছেন কেউ কেউ। এ ছাড়া সদ্য সাবেক সরকারের ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন দায়িত্ব পালন করে আসা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে কমিটি গঠনে কার্যপ্রণালি বিধির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেছে। স্বার্থের সংঘাত তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক মন্ত্রী কমিটির সভাপতি হওয়ায় তাঁর সময়ে মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ না-ও আসতে পারে। এতে জবাবদিহির সম্ভাবনা কমে যায়।
অবশ্য জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেছেন, মন্ত্রণালয়ে কাজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে সদ্য সাবেক মন্ত্রীদের কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। যে কেউ ব্যবসা করতে পারেন, তবে দেখতে হবে, ব্যবসাটি সরকারের সঙ্গে কি না।
জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে আছে, এমন কোনো সদস্য সংসদীয় কমিটিতে নিযুক্ত হবেন না যাঁর ব্যক্তিগত, আর্থিক ও প্রত্যক্ষ স্বার্থ কমিটিতে বিবেচিত হতে পারে, এমন বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে। সংসদীয় কমিটির কাজ হলো বিল পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়া এবং কমিটির আওতাধীন মন্ত্রণালয়ের কাজ পর্যালোচনা, অনিয়ম ও গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে গত ৩০ জানুয়ারি। যাত্রা শুরুর পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যেই ৫০টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সব কটি গঠন করা হয়েছে। ৩৯টি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির মধ্যে ১৩টির সভাপতি হয়েছেন সদ্য বিদায়ী সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। তাঁদের মধ্যে ১২ জনই দায়িত্ব পালন করে আসা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি হয়েছেন।
সংসদীয় কমিটির সদস্যদের হলফনামা ঘেঁটে দেখা যায়, কয়েকটি কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিটিতে থাকা গুরুতর বিষয়। আমরা আশা করি, সরকার এটা পুনর্বিবেচনা করবে এবং সংসদ সদস্য আচরণবিধি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেবে।’
গবেষণায় দেখা যায়, নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, নবম জাতীয় সংসদের ৫১টি কমিটির মধ্যে ৬টি কমিটিতে এবং দশম সংসদের ৫০টি কমিটির মধ্যে ৫টি কমিটিতে সদস্যের কমিটি-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা ছিল। আগে কখনো কখনো কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক স্বার্থের অনুকূলে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পদাধিকারবলে সদস্য হওয়ায় এবং কোনো কোনো কমিটিতে পূর্বতন মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির সভাপতি হওয়ায় জবাবদিহি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও ওঠে।
দশম সংসদ নির্বাচনের পর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সংসদীয় কমিটি গঠন নিয়ে কিছু সুপারিশ করেছিল। এগুলোর মধ্যে ছিল কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের বাণিজ্যিক, আর্থিক সম্পৃক্ততার তথ্য প্রতিবছর হালনাগাদ করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা, কমিটির সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বার্থের দ্বন্দ্বসম্পর্কিত তথ্য সম্পূর্ণ যাচাই করা এবং কোনো সদস্য কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির পর কমিটি-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক স্বার্থসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া গেলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাঁকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার বিধান করা। বর্তমান বা পূর্বতন কোনো মন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি/সদস্যপদ না দেওয়ার বিধান করার সুপারিশও করা হয়েছিল।
তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা হয়েছে সদ্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে। তাঁর পেশা ব্যবসা, তৈরি পোশাকশিল্প ও অন্যান্য ব্যবসা আছে। কমিটির এক সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ও তাঁর পরিবার বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। আরেক সদস্য সুলতানা নাদিরা মধুমতি টাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন নোয়াখালী-১ আসনের সরকারদলীয় এমপি এইচ এম ইব্রাহীম। তিনি তৈরি পোশাকশিল্প (ব্লমিংডেল লি. ও রয়েল ড্রেসেস ইন্টারন্যাশনাল), বিদ্যুৎ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং শিপিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই কমিটির সদস্য শামীম ওসমানেরও তৈরি পোশাকশিল্পের (উইসডম নিটিং মিলস) ব্যবসা রয়েছে। আরেক সদস্য এস এম আল মামুনের রয়েছে শিপ ব্রেকিং ব্যবসা।
অবশ্য এইচ এম ইব্রাহীম গতকাল রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, ২০০৭ সালের পর তৈরি পোশাকশিল্প ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। তবে তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় কোম্পানির নাম আছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর পারিবারিক লঞ্চ ব্যবসা রয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসায় যুক্ত আছেন বলে জানা গেছে। এই কমিটির সভাপতি হয়েছেন মন্ত্রণালয়টির সদ্য সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আগেও এ-সংক্রান্ত কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, এখনো কোনো ব্যবসা করি না। তাই স্বার্থের সংঘাত নেই।’ তাঁর আমলের কোনো অনিয়ম নিয়ে আলোচনা হলে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তো থাকবে—এমন কথায় তিনি কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিম মাহমুদ আন্তর্জাতিক আইন ও জ্বালানিবিষয়ক পরামর্শক। আরেক সদস্য আবদুর রউফের পেট্রলপাম্পের ব্যবসা আছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী ঠিকাদারি ব্যবসা করেন।
টিপু মুনশি ও ইমরান আহমদ ছাড়াও সদ্য সাবেক আরও ১০ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছেড়ে আসা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন। তাঁরা হলেন এ কে আব্দুল মোমেন (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), আব্দুর রাজ্জাক (কৃষি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), শ ম রেজাউল করিম (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), বীর বাহাদুর উশৈসিং (পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), শরীফ আহমেদ (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি) এবং জাহিদ আহসান (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি)।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ওই মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি বা সদস্য হলে তাঁর সময়ে নেওয়া প্রকল্পের অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ না-ও আসতে পারে। আবার এলেও লোকদেখানো আলোচনা হতে পারে। তাই এমন কমিটির কাছে প্রাপ্তির সম্ভাবনা বাস্তবসম্মত নয়।
তবে সাবেক মন্ত্রীদের কমিটির সভাপতি করাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, সদ্য সাবেক মন্ত্রীদের মন্ত্রণালয়ে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। তাঁরা অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সংসদীয় কমিটিকে গতিশীল করতে পারবেন। ব্যবসা অনেকের আছে, যে কেউ ব্যবসা করতে পারেন। দেখতে হবে তাঁরা সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করছেন কি না।
তানিম আহমেদ, ঢাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ব্যক্তিগত স্বার্থের সংশ্লিষ্টতা থাকা সংসদ সদস্যরাও পদ পেয়েছেন। কমিটির সভাপতিও হয়েছেন কেউ কেউ। এ ছাড়া সদ্য সাবেক সরকারের ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন দায়িত্ব পালন করে আসা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে কমিটি গঠনে কার্যপ্রণালি বিধির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেছে। স্বার্থের সংঘাত তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক মন্ত্রী কমিটির সভাপতি হওয়ায় তাঁর সময়ে মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ না-ও আসতে পারে। এতে জবাবদিহির সম্ভাবনা কমে যায়।
অবশ্য জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেছেন, মন্ত্রণালয়ে কাজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে সদ্য সাবেক মন্ত্রীদের কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। যে কেউ ব্যবসা করতে পারেন, তবে দেখতে হবে, ব্যবসাটি সরকারের সঙ্গে কি না।
জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে আছে, এমন কোনো সদস্য সংসদীয় কমিটিতে নিযুক্ত হবেন না যাঁর ব্যক্তিগত, আর্থিক ও প্রত্যক্ষ স্বার্থ কমিটিতে বিবেচিত হতে পারে, এমন বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে। সংসদীয় কমিটির কাজ হলো বিল পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়া এবং কমিটির আওতাধীন মন্ত্রণালয়ের কাজ পর্যালোচনা, অনিয়ম ও গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে গত ৩০ জানুয়ারি। যাত্রা শুরুর পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যেই ৫০টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সব কটি গঠন করা হয়েছে। ৩৯টি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির মধ্যে ১৩টির সভাপতি হয়েছেন সদ্য বিদায়ী সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। তাঁদের মধ্যে ১২ জনই দায়িত্ব পালন করে আসা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি হয়েছেন।
সংসদীয় কমিটির সদস্যদের হলফনামা ঘেঁটে দেখা যায়, কয়েকটি কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিটিতে থাকা গুরুতর বিষয়। আমরা আশা করি, সরকার এটা পুনর্বিবেচনা করবে এবং সংসদ সদস্য আচরণবিধি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেবে।’
গবেষণায় দেখা যায়, নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, নবম জাতীয় সংসদের ৫১টি কমিটির মধ্যে ৬টি কমিটিতে এবং দশম সংসদের ৫০টি কমিটির মধ্যে ৫টি কমিটিতে সদস্যের কমিটি-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা ছিল। আগে কখনো কখনো কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক স্বার্থের অনুকূলে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পদাধিকারবলে সদস্য হওয়ায় এবং কোনো কোনো কমিটিতে পূর্বতন মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির সভাপতি হওয়ায় জবাবদিহি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও ওঠে।
দশম সংসদ নির্বাচনের পর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সংসদীয় কমিটি গঠন নিয়ে কিছু সুপারিশ করেছিল। এগুলোর মধ্যে ছিল কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের বাণিজ্যিক, আর্থিক সম্পৃক্ততার তথ্য প্রতিবছর হালনাগাদ করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা, কমিটির সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বার্থের দ্বন্দ্বসম্পর্কিত তথ্য সম্পূর্ণ যাচাই করা এবং কোনো সদস্য কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির পর কমিটি-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক স্বার্থসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া গেলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাঁকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার বিধান করা। বর্তমান বা পূর্বতন কোনো মন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি/সদস্যপদ না দেওয়ার বিধান করার সুপারিশও করা হয়েছিল।
তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা হয়েছে সদ্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে। তাঁর পেশা ব্যবসা, তৈরি পোশাকশিল্প ও অন্যান্য ব্যবসা আছে। কমিটির এক সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ও তাঁর পরিবার বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। আরেক সদস্য সুলতানা নাদিরা মধুমতি টাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন নোয়াখালী-১ আসনের সরকারদলীয় এমপি এইচ এম ইব্রাহীম। তিনি তৈরি পোশাকশিল্প (ব্লমিংডেল লি. ও রয়েল ড্রেসেস ইন্টারন্যাশনাল), বিদ্যুৎ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং শিপিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই কমিটির সদস্য শামীম ওসমানেরও তৈরি পোশাকশিল্পের (উইসডম নিটিং মিলস) ব্যবসা রয়েছে। আরেক সদস্য এস এম আল মামুনের রয়েছে শিপ ব্রেকিং ব্যবসা।
অবশ্য এইচ এম ইব্রাহীম গতকাল রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, ২০০৭ সালের পর তৈরি পোশাকশিল্প ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। তবে তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় কোম্পানির নাম আছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর পারিবারিক লঞ্চ ব্যবসা রয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসায় যুক্ত আছেন বলে জানা গেছে। এই কমিটির সভাপতি হয়েছেন মন্ত্রণালয়টির সদ্য সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আগেও এ-সংক্রান্ত কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, এখনো কোনো ব্যবসা করি না। তাই স্বার্থের সংঘাত নেই।’ তাঁর আমলের কোনো অনিয়ম নিয়ে আলোচনা হলে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তো থাকবে—এমন কথায় তিনি কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিম মাহমুদ আন্তর্জাতিক আইন ও জ্বালানিবিষয়ক পরামর্শক। আরেক সদস্য আবদুর রউফের পেট্রলপাম্পের ব্যবসা আছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী ঠিকাদারি ব্যবসা করেন।
টিপু মুনশি ও ইমরান আহমদ ছাড়াও সদ্য সাবেক আরও ১০ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছেড়ে আসা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন। তাঁরা হলেন এ কে আব্দুল মোমেন (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), আব্দুর রাজ্জাক (কৃষি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), শ ম রেজাউল করিম (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), বীর বাহাদুর উশৈসিং (পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), শরীফ আহমেদ (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি) এবং জাহিদ আহসান (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি)।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ওই মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি বা সদস্য হলে তাঁর সময়ে নেওয়া প্রকল্পের অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ না-ও আসতে পারে। আবার এলেও লোকদেখানো আলোচনা হতে পারে। তাই এমন কমিটির কাছে প্রাপ্তির সম্ভাবনা বাস্তবসম্মত নয়।
তবে সাবেক মন্ত্রীদের কমিটির সভাপতি করাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, সদ্য সাবেক মন্ত্রীদের মন্ত্রণালয়ে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। তাঁরা অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সংসদীয় কমিটিকে গতিশীল করতে পারবেন। ব্যবসা অনেকের আছে, যে কেউ ব্যবসা করতে পারেন। দেখতে হবে তাঁরা সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করছেন কি না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ব্যক্তিগত স্বার্থের সংশ্লিষ্টতা থাকা সংসদ সদস্যরাও পদ পেয়েছেন। কমিটির সভাপতিও হয়েছেন কেউ কেউ। এ ছাড়া সদ্য সাবেক সরকারের ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন দায়িত্ব পালন করে আসা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে কমিটি গঠনে কার্যপ্রণালি বিধির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেছে। স্বার্থের সংঘাত তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক মন্ত্রী কমিটির সভাপতি হওয়ায় তাঁর সময়ে মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ না-ও আসতে পারে। এতে জবাবদিহির সম্ভাবনা কমে যায়।
অবশ্য জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেছেন, মন্ত্রণালয়ে কাজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে সদ্য সাবেক মন্ত্রীদের কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। যে কেউ ব্যবসা করতে পারেন, তবে দেখতে হবে, ব্যবসাটি সরকারের সঙ্গে কি না।
জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে আছে, এমন কোনো সদস্য সংসদীয় কমিটিতে নিযুক্ত হবেন না যাঁর ব্যক্তিগত, আর্থিক ও প্রত্যক্ষ স্বার্থ কমিটিতে বিবেচিত হতে পারে, এমন বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে। সংসদীয় কমিটির কাজ হলো বিল পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়া এবং কমিটির আওতাধীন মন্ত্রণালয়ের কাজ পর্যালোচনা, অনিয়ম ও গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে গত ৩০ জানুয়ারি। যাত্রা শুরুর পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যেই ৫০টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সব কটি গঠন করা হয়েছে। ৩৯টি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির মধ্যে ১৩টির সভাপতি হয়েছেন সদ্য বিদায়ী সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। তাঁদের মধ্যে ১২ জনই দায়িত্ব পালন করে আসা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি হয়েছেন।
সংসদীয় কমিটির সদস্যদের হলফনামা ঘেঁটে দেখা যায়, কয়েকটি কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কমিটিতে থাকা গুরুতর বিষয়। আমরা আশা করি, সরকার এটা পুনর্বিবেচনা করবে এবং সংসদ সদস্য আচরণবিধি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেবে।’
গবেষণায় দেখা যায়, নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, নবম জাতীয় সংসদের ৫১টি কমিটির মধ্যে ৬টি কমিটিতে এবং দশম সংসদের ৫০টি কমিটির মধ্যে ৫টি কমিটিতে সদস্যের কমিটি-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা ছিল। আগে কখনো কখনো কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক স্বার্থের অনুকূলে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ওঠে। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পদাধিকারবলে সদস্য হওয়ায় এবং কোনো কোনো কমিটিতে পূর্বতন মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির সভাপতি হওয়ায় জবাবদিহি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও ওঠে।
দশম সংসদ নির্বাচনের পর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সংসদীয় কমিটি গঠন নিয়ে কিছু সুপারিশ করেছিল। এগুলোর মধ্যে ছিল কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের বাণিজ্যিক, আর্থিক সম্পৃক্ততার তথ্য প্রতিবছর হালনাগাদ করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা, কমিটির সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বার্থের দ্বন্দ্বসম্পর্কিত তথ্য সম্পূর্ণ যাচাই করা এবং কোনো সদস্য কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির পর কমিটি-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক স্বার্থসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া গেলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাঁকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার বিধান করা। বর্তমান বা পূর্বতন কোনো মন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি/সদস্যপদ না দেওয়ার বিধান করার সুপারিশও করা হয়েছিল।
তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা হয়েছে সদ্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে। তাঁর পেশা ব্যবসা, তৈরি পোশাকশিল্প ও অন্যান্য ব্যবসা আছে। কমিটির এক সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ও তাঁর পরিবার বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। আরেক সদস্য সুলতানা নাদিরা মধুমতি টাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন নোয়াখালী-১ আসনের সরকারদলীয় এমপি এইচ এম ইব্রাহীম। তিনি তৈরি পোশাকশিল্প (ব্লমিংডেল লি. ও রয়েল ড্রেসেস ইন্টারন্যাশনাল), বিদ্যুৎ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং শিপিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই কমিটির সদস্য শামীম ওসমানেরও তৈরি পোশাকশিল্পের (উইসডম নিটিং মিলস) ব্যবসা রয়েছে। আরেক সদস্য এস এম আল মামুনের রয়েছে শিপ ব্রেকিং ব্যবসা।
অবশ্য এইচ এম ইব্রাহীম গতকাল রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, ২০০৭ সালের পর তৈরি পোশাকশিল্প ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। তবে তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় কোম্পানির নাম আছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর পারিবারিক লঞ্চ ব্যবসা রয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসায় যুক্ত আছেন বলে জানা গেছে। এই কমিটির সভাপতি হয়েছেন মন্ত্রণালয়টির সদ্য সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আগেও এ-সংক্রান্ত কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, এখনো কোনো ব্যবসা করি না। তাই স্বার্থের সংঘাত নেই।’ তাঁর আমলের কোনো অনিয়ম নিয়ে আলোচনা হলে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তো থাকবে—এমন কথায় তিনি কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিম মাহমুদ আন্তর্জাতিক আইন ও জ্বালানিবিষয়ক পরামর্শক। আরেক সদস্য আবদুর রউফের পেট্রলপাম্পের ব্যবসা আছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী ঠিকাদারি ব্যবসা করেন।
টিপু মুনশি ও ইমরান আহমদ ছাড়াও সদ্য সাবেক আরও ১০ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছেড়ে আসা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন। তাঁরা হলেন এ কে আব্দুল মোমেন (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), আ হ ম মুস্তফা কামাল (অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি), এম এ মান্নান (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), আব্দুর রাজ্জাক (কৃষি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), শ ম রেজাউল করিম (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), বীর বাহাদুর উশৈসিং (পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি), শরীফ আহমেদ (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি) এবং জাহিদ আহসান (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি)।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ওই মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি বা সদস্য হলে তাঁর সময়ে নেওয়া প্রকল্পের অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ না-ও আসতে পারে। আবার এলেও লোকদেখানো আলোচনা হতে পারে। তাই এমন কমিটির কাছে প্রাপ্তির সম্ভাবনা বাস্তবসম্মত নয়।
তবে সাবেক মন্ত্রীদের কমিটির সভাপতি করাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, সদ্য সাবেক মন্ত্রীদের মন্ত্রণালয়ে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। তাঁরা অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সংসদীয় কমিটিকে গতিশীল করতে পারবেন। ব্যবসা অনেকের আছে, যে কেউ ব্যবসা করতে পারেন। দেখতে হবে তাঁরা সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করছেন কি না।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২২ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ব্যক্তিগত স্বার্থের সংশ্লিষ্টতা থাকা সংসদ সদস্যরাও পদ পেয়েছেন। কমিটির সভাপতিও হয়েছেন কেউ কেউ। এ ছাড়া সদ্য সাবেক সরকারের ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন দায়িত্ব পালন করে আসা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে কমিটি গঠনে ক
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ব্যক্তিগত স্বার্থের সংশ্লিষ্টতা থাকা সংসদ সদস্যরাও পদ পেয়েছেন। কমিটির সভাপতিও হয়েছেন কেউ কেউ। এ ছাড়া সদ্য সাবেক সরকারের ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন দায়িত্ব পালন করে আসা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে কমিটি গঠনে ক
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২২ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ব্যক্তিগত স্বার্থের সংশ্লিষ্টতা থাকা সংসদ সদস্যরাও পদ পেয়েছেন। কমিটির সভাপতিও হয়েছেন কেউ কেউ। এ ছাড়া সদ্য সাবেক সরকারের ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন দায়িত্ব পালন করে আসা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে কমিটি গঠনে ক
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২২ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ব্যক্তিগত স্বার্থের সংশ্লিষ্টতা থাকা সংসদ সদস্যরাও পদ পেয়েছেন। কমিটির সভাপতিও হয়েছেন কেউ কেউ। এ ছাড়া সদ্য সাবেক সরকারের ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন দায়িত্ব পালন করে আসা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে কমিটি গঠনে ক
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
২২ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫