Ajker Patrika

পাখিপ্রেমীর পদচারণে মুখর নয়াবাটি মোড়

শামিমুজ্জামান, খুলনা
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ২২
পাখিপ্রেমীর পদচারণে  মুখর নয়াবাটি মোড়

নগরীর খালিশপুরের নয়াবাটি মোড়ে বসে পাখির হাট। এ হাটের পাখি যায় সারা দেশে। প্রতি শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পোষা পাখির ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেন।

এখানে পাওয়া যায় সোয়া চন্দন, লক্ষা, সিরাজী, কিং, জ্যাকোবিন, গোল্ডেন সুইট ইত্যাদি পাখি। এ ছাড়া মেলে শালিক, ঘুঘু, টিয়া, ময়না, টার্কিসহ দেশি-বিদেশি পোষা পাখিও। প্রতি শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে হাট, চলে দুপুর পর্যন্ত। আর তাই শুক্রবার এলেই পাখির ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর হয় নয়াবাটি।

নগরীর খালিশপুর নয়াবাটি মোড়ে কোন পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই সম্পূর্ণ পাখি বিক্রেতাদের নিজের প্রয়োজনেই গড়ে উঠেছে পাখির হাট। এ হাটের নেই কোনো কমিটি। দেওয়া লাগেনা কোনো টোল বা চাঁদা। ঝামেলা ছাড়াই পাখি বিক্রি করা যায়। প্রতি শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, ঝিনাইদহ কুষ্টিয়া, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পোষা পাখির ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেন।

নয়াবাটি মোড় থেকে গোলচত্বর পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশ জুড়ে সারিবদ্ধভাবে খাঁচায় কবুতরসহ নানা পাখি বেচা-কেনা চলে।

কবুতর নিয়ে হাটে এসেছেন বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার শামীম হোসেন। তিনি জানান, দক্ষিণ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পাখির হাট এটি। সারা দেশ থেকে এখানে ক্রেতা আসেন। ঝামেলা ছাড়াই এখানে কবুতর বিক্রি করা যায়। দামও ভাল, হাটে কোন টোল দেওয়া লাগে না। স্থানীয়ভাবে কোন ঝামেলা নেই। যে কারণে তিনি খুলনার এই হাটে এসেছেন।

একই কথা বলেন মো. জিল্লুর রহমান। তিনি এসেছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে। গত ৫ বছর ধরে তিনি এই হাটে আসেন পাখি বিক্রি করতে। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে এত বড় পাখির হাট আর নেই। এখানে প্রতি শুক্রবার অন্তত ৫০০ বিক্রেতা হরেক রকম কবুতর পোষা পাখি ও পাখির খাঁচা নিয়ে আসেন। ক্রেতা আসে অগণিত। বিক্রিও হয় ভাল।

অপর বিক্রেতা শিমুল গোলদার জানান, হাটে লক্ষা, সিরাজী, হোমার, হাউস পেজার, কিংপোটার, বল কবুতর, পেনসিল পুটার, লাহোড়ি, শর্টপিচ, ফিলব্যাক, রাশিয়ার ভোগলা ডামলা, রেসার হুমারসহ বিভিন্ন ধরনের কবুতর রয়েছে। সোয়া চন্দন, জ্যাকোবিন, কোটাবলসহ বিভিন্ন জাতের কবুতর ওঠে। কবুতরের জাতভেদে দাম ভিন্ন। ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে লাখ টাকার কবুতরও পাওয়া যায়। সব শ্রেণির ক্রেতা আসেন এখানে।

যশোর থেকে কবুতর কিনতে এসেছেন মো. আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, শখের বসে তিনি কবুতর পোষেন। এই হাটে আসলে বিভিন্ন প্রকার কবুতর পাওয়া যায়। দামও তুলনামূলক কম। গত ৫ বছর ধরে তিনি এই হাটে আসেন। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তাহমিদ এসেছে বিদেশি পাখি ও খাঁচা কিনতে। তিনি বলেন, দোকানে দাম বেশি। তাই এই হাট থেকে পাখি কেনেন নিয়মিত।

এখানে শুধু পাখি ক্রেতা বিক্রেতা লাভবান হন এমন নয়, এই হাটকে কেন্দ্র করে এলাকার মুদি দোকানি, চা বিক্রেতা, রিকশা ও ইজিবাইক চালক সবাই লাভবান হন। এ প্রসঙ্গে খালিশপুরের ইজিবাইক চালক আব্দুস সোবহান বলেন, সকাল থেকে তার ব্যস্ততা বাড়ে পাখি ক্রেতাদের আনা নেওয়ায়। রোজগারও ভাল হয়। অন্যদিন ৮০০ বা ৯০০ টাকা আয় হলেও এদিন দেড় হাজার টাকার মতো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুলিশের তিন পদে অতিরিক্ত: তিনজনে একজন বাড়তি

ইরানে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা জানত রাশিয়া, তেহরানে বিতর্ক তুঙ্গে

ভারতে পোশাকের অর্ডার স্থগিত করছে মার্কিন ক্রেতারা, বাংলাদেশ-ভিয়েতনামে কারখানা স্থানান্তরের পরামর্শ

ট্রেনের কেবিনের বালিশ, চাদর, কম্বলের ভাড়া দ্বিগুণ করার চিন্তা

ডোপ টেস্টে পজিটিভ, চবিতে শিক্ষকতা থেকে বাদ দুই প্রার্থী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত