মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জে গভীর রাতে আবাসিক ভবনের কক্ষে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাই-বোন নিহত হয়েছে এবং তাদের বাবা ও মার অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার পশ্চিম চর মুক্তারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ভাই-বোন হলো ইয়াসিন খান (৫) ও নোহর (৩)। আহতরা হলেন তাদের বাবা মো. কাউসার খান (৪২) ও মা শান্তা বেগম (৩৮)। অগ্নিকাণ্ডে প্রতিবেশী আরেক শিশুও দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা বেশি গুরুতর না হওয়ায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেশীরা জানান, আহত কাউসার আবুল খায়ের কোম্পানি লিমিটেডের রিভার ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন। চাকরির সুবিধার্থে পরিবারসহ তিনি সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার এই ভাড়া বাসার দ্বিতীয় তলায় বসবাস করতেন।
সরেজমিনের দেখা গেছে, স্থানীয় ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের মালিকানাধীন চতুর্থ তলা ভবনটির দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিটে (ফ্ল্যাটে) দরজা-জানালাসহ ঘরে থাকা মালামাল পুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে অসাবধানতাবশত রান্নাঘরের চুলা থেকে বের হয়ে ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীসহ স্থানীয়রা জানান, ভোর সাড়ে চারটার দিকে আহত কাউসার খানদের বাড়িতে বিকট শব্দ শুনতে পান তাঁরা। এ সময় তাঁদের ঘরের অগ্নিদগ্ধ সবাই চিৎকার করছিলেন। পরে প্রতিবেশীরা বের হয়ে দেখতে পান তাঁদের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটটিতে আগুন জ্বলছে। তখন তাৎক্ষণিক তাঁরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তাঁদের আসতে দেরি হওয়ায় পানি ঢেলে নিজেরাই আগুন নিভিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠায়।
আহত কাউসারের প্রতিবেশী শাহ সিমেন্টের মেশিন অপারেটর আবদুস সামাদ বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে কাউসার খানের বাসায় এসে দেখি তাঁদের ঘরের ভেতর আগুন জ্বলছিল। আমরা বেশ কয়েকজন মিলে ঘরের দরজায় ধাক্কা দিলে কাউসার খান নিজেই দরজা খুলে দেন। এ সময় আমরা ঘর থেকে চারজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠাই।
গতকাল রাতে কাউসার খানের ভগ্নিপতি আব্দুল্লা আল মাসুদ দুই শিশু নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে এই ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মুন্সিগঞ্জ তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গ্যাসের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। তবে এমন হতে পারে, অসাবধানতাবশত পরিবারটি গ্যাসের চুলা চালু রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিল। রাতে কোনো কারণে বৈদ্যুতিক সুইচ অন করেছে কিংবা মশার কয়েল জ্বালিয়েছে, সেখান থেকে হয়তো আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।’
মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. আবু ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেছি, বাসার দরজা-জানালার থাই গ্লাসসহ বিছানা তোশক, চাদর ও মশারি সব আগুনে পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যেকোনোভাবে বাসার কক্ষে গ্যাস জমা হয়। পরে মশার কয়েল বা বিদ্যুতের সুইচ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।’
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাজিব খান বলেন, ভবনের কক্ষে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এতে অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. হাসিব সরকার বলেন, কী কারণে এমন বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মুন্সিগঞ্জে গভীর রাতে আবাসিক ভবনের কক্ষে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাই-বোন নিহত হয়েছে এবং তাদের বাবা ও মার অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার পশ্চিম চর মুক্তারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ভাই-বোন হলো ইয়াসিন খান (৫) ও নোহর (৩)। আহতরা হলেন তাদের বাবা মো. কাউসার খান (৪২) ও মা শান্তা বেগম (৩৮)। অগ্নিকাণ্ডে প্রতিবেশী আরেক শিশুও দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা বেশি গুরুতর না হওয়ায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেশীরা জানান, আহত কাউসার আবুল খায়ের কোম্পানি লিমিটেডের রিভার ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন। চাকরির সুবিধার্থে পরিবারসহ তিনি সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার এই ভাড়া বাসার দ্বিতীয় তলায় বসবাস করতেন।
সরেজমিনের দেখা গেছে, স্থানীয় ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের মালিকানাধীন চতুর্থ তলা ভবনটির দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিটে (ফ্ল্যাটে) দরজা-জানালাসহ ঘরে থাকা মালামাল পুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে অসাবধানতাবশত রান্নাঘরের চুলা থেকে বের হয়ে ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীসহ স্থানীয়রা জানান, ভোর সাড়ে চারটার দিকে আহত কাউসার খানদের বাড়িতে বিকট শব্দ শুনতে পান তাঁরা। এ সময় তাঁদের ঘরের অগ্নিদগ্ধ সবাই চিৎকার করছিলেন। পরে প্রতিবেশীরা বের হয়ে দেখতে পান তাঁদের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটটিতে আগুন জ্বলছে। তখন তাৎক্ষণিক তাঁরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তাঁদের আসতে দেরি হওয়ায় পানি ঢেলে নিজেরাই আগুন নিভিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠায়।
আহত কাউসারের প্রতিবেশী শাহ সিমেন্টের মেশিন অপারেটর আবদুস সামাদ বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে কাউসার খানের বাসায় এসে দেখি তাঁদের ঘরের ভেতর আগুন জ্বলছিল। আমরা বেশ কয়েকজন মিলে ঘরের দরজায় ধাক্কা দিলে কাউসার খান নিজেই দরজা খুলে দেন। এ সময় আমরা ঘর থেকে চারজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠাই।
গতকাল রাতে কাউসার খানের ভগ্নিপতি আব্দুল্লা আল মাসুদ দুই শিশু নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে এই ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মুন্সিগঞ্জ তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গ্যাসের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। তবে এমন হতে পারে, অসাবধানতাবশত পরিবারটি গ্যাসের চুলা চালু রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিল। রাতে কোনো কারণে বৈদ্যুতিক সুইচ অন করেছে কিংবা মশার কয়েল জ্বালিয়েছে, সেখান থেকে হয়তো আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।’
মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. আবু ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেছি, বাসার দরজা-জানালার থাই গ্লাসসহ বিছানা তোশক, চাদর ও মশারি সব আগুনে পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যেকোনোভাবে বাসার কক্ষে গ্যাস জমা হয়। পরে মশার কয়েল বা বিদ্যুতের সুইচ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।’
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাজিব খান বলেন, ভবনের কক্ষে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এতে অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. হাসিব সরকার বলেন, কী কারণে এমন বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪